নগর প্রতিবেদক: ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল সেই ঐক্য ধরে রাখা এখন খুবই জরুরি। না পারলে ভারত প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনে যাবে। আজ শনিবার(২৫ জানুয়ারি)সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবর্ধনা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এই মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি।

তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ-ছাত্রজনতার মধ্যে ঐক্যের ফাটল ধরায় ভারত একের পর এক ষড়যন্ত্র কার্ড খেলে যাচ্ছে। গত দুদিন ধরে তারা আরেকটি নতুন কার্ড খেলছে, সেটি হলো প্রফেসর ইউনুস সরকারের ভুয়া পদত্যাগ। ভারত ইউনুস সরকারের ভুয়া পদত্যাগ তৈরি করে, সেটি ভাইরাল করার চেষ্টা করেছে।

মাহমুদুর রহমান বলেন, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রথম শহিদ ওয়াসিমসহ সব শহীদদের প্রাণভরে স্মরণ করছি। কোনো শহীদদের মধ্যে দলমত ভাগ করিনি। সবাই একই ক্যাটাগরির। আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আপনারা ভাববেন না, ভারত এত বড় কূটনৈতিক পরাজয় মেনে নিবে? গত ৫ মাস ধরে তারা প্রতিনিয়ত কার্ড খেলে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। চট্টগ্রামেও-তো ইসকন কার্ড খেলা হয়েছে। এখান থেকেই সংখ্যালঘু কার্ড খেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার শারীরিক উপস্থিত না থাকলেও, জুলাই আন্দোলনে চিন্তার উপস্থিতি ছিল। ৫ আগস্টে আমাদের যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, সেই ঐক্য ফাটল ধরেছে। এই ফাটল ধরার কারণে ভারতীয় সামাজ্যবাদ ষড়যন্ত্র কার্ড খেলতে পারছে। সাহস করছে। আমরা যদি ৫ আগস্টের ঐক্য ধরে রাখতে পারতাম এতদিন ভারত ৫ আগস্টের পরিবর্তন কে গ্রহণ করতো, এই দেশের পরিবর্তন মেনে নিতো। যেহেতু ঐক্য ধরে রাখতে পারিনি, সেজন্য তারা কার্ড খেলার সুযোগ পাচ্ছে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটাতে চায়। এই জন্য রাজনীতিবিদ ও ছাত্রজনতার দায় রয়েছে। বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের দায় বেশি।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ১/১১ পর রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা হওয়ার প্রধান কারণ ছিলো, আমি বুঝতে পেরেছিলাম জেনারেল মইন যে আর্মি ক্যু-টা করেছিলেন, সেটি ভারতের নির্দেশে করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীরতা যে ভারতের কাছে বিকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটি আমি বুঝতে পেরেছিলাম। সেসময় আমি রাজনৈতিক মাঠে আসলাম। ওইসময় আমার মনে আছে দেশের মধ্যে একমাত্র চট্টগ্রামে প্রথম প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছিল। ওই সমাবেশের আয়োজনে ছিলেন বর্তমান সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সেটিই ছিল ১/১১ সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ সমাবেশ। পেশাজীবী পরিষদের ব্যানারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ লড়াই করেছি।

বক্তব্য রাখেন আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্টের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ, দৈনিক আমার দেশ এর মফস্বল সম্পাদক আবু দারদা জোবায়ের, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, শামসুল হক হায়দারী, মুস্তফা নঈম, গোলাম মাওলা মুরাদ, শাহনেওয়াজ রিটন, পেশাজীবী নেতা ডা. খুরশিদ জামিল, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মানজার এ খোরশেদ আলম, ইঞ্জিনিয়র সেলিম মোহাম্মদ জানে আলম প্রমুখ।

নগর প্রতিবেদক: ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল সেই ঐক্য ধরে রাখা এখন খুবই জরুরি। না পারলে ভারত প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনে যাবে। আজ শনিবার(২৫ জানুয়ারি)সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবর্ধনা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এই মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি।

তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ-ছাত্রজনতার মধ্যে ঐক্যের ফাটল ধরায় ভারত একের পর এক ষড়যন্ত্র কার্ড খেলে যাচ্ছে। গত দুদিন ধরে তারা আরেকটি নতুন কার্ড খেলছে, সেটি হলো প্রফেসর ইউনুস সরকারের ভুয়া পদত্যাগ। ভারত ইউনুস সরকারের ভুয়া পদত্যাগ তৈরি করে, সেটি ভাইরাল করার চেষ্টা করেছে।

মাহমুদুর রহমান বলেন, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রথম শহিদ ওয়াসিমসহ সব শহীদদের প্রাণভরে স্মরণ করছি। কোনো শহীদদের মধ্যে দলমত ভাগ করিনি। সবাই একই ক্যাটাগরির। আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আপনারা ভাববেন না, ভারত এত বড় কূটনৈতিক পরাজয় মেনে নিবে? গত ৫ মাস ধরে তারা প্রতিনিয়ত কার্ড খেলে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। চট্টগ্রামেও-তো ইসকন কার্ড খেলা হয়েছে। এখান থেকেই সংখ্যালঘু কার্ড খেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার শারীরিক উপস্থিত না থাকলেও, জুলাই আন্দোলনে চিন্তার উপস্থিতি ছিল। ৫ আগস্টে আমাদের যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, সেই ঐক্য ফাটল ধরেছে। এই ফাটল ধরার কারণে ভারতীয় সামাজ্যবাদ ষড়যন্ত্র কার্ড খেলতে পারছে। সাহস করছে। আমরা যদি ৫ আগস্টের ঐক্য ধরে রাখতে পারতাম এতদিন ভারত ৫ আগস্টের পরিবর্তন কে গ্রহণ করতো, এই দেশের পরিবর্তন মেনে নিতো। যেহেতু ঐক্য ধরে রাখতে পারিনি, সেজন্য তারা কার্ড খেলার সুযোগ পাচ্ছে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটাতে চায়। এই জন্য রাজনীতিবিদ ও ছাত্রজনতার দায় রয়েছে। বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের দায় বেশি।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ১/১১ পর রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা হওয়ার প্রধান কারণ ছিলো, আমি বুঝতে পেরেছিলাম জেনারেল মইন যে আর্মি ক্যু-টা করেছিলেন, সেটি ভারতের নির্দেশে করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীরতা যে ভারতের কাছে বিকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটি আমি বুঝতে পেরেছিলাম। সেসময় আমি রাজনৈতিক মাঠে আসলাম। ওইসময় আমার মনে আছে দেশের মধ্যে একমাত্র চট্টগ্রামে প্রথম প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছিল। ওই সমাবেশের আয়োজনে ছিলেন বর্তমান সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সেটিই ছিল ১/১১ সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ সমাবেশ। পেশাজীবী পরিষদের ব্যানারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ লড়াই করেছি।

বক্তব্য রাখেন আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্টের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ, দৈনিক আমার দেশ এর মফস্বল সম্পাদক আবু দারদা জোবায়ের, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, শামসুল হক হায়দারী, মুস্তফা নঈম, গোলাম মাওলা মুরাদ, শাহনেওয়াজ রিটন, পেশাজীবী নেতা ডা. খুরশিদ জামিল, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মানজার এ খোরশেদ আলম, ইঞ্জিনিয়র সেলিম মোহাম্মদ জানে আলম প্রমুখ।