মো.এমরান হোসেন, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ঐতিহাসিক ১০ই মাঘ ওরশকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ন্যায় এবছরও বসেছে ঐতিহ্যবাহী মাঘের মেলা। এই মাঘের মেলায় মাইজভাণ্ডার-নাজিরহাট রাস্তার পাশে জুড়ে উঠেছে হালদা নদীর চরের মুলা। আশেক ভক্তরা এ মুলাকে ‘ভান্ডারী মুলা ‘নামে ডাকে। এখানে উৎসবের মতো বিকিকিনি হচ্ছে এ মুলা,বিকিকিনি চলবে ওরশ পরবর্তী দুই দিন পর্যন্ত।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকার প্রবর্তক হযরত শাহছুফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর প্রধান দিবশ ১০ মাঘ ২৪ জানুয়ারী। ওরশ শরীফে দুই দিন আগে থেকে হালদা চরে উৎপাদিত বড় বড় মুলা বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন মুলা বাজারে। স্থানীয় কৃষকরা চাষ করেছে এ মুলা। এমনটি জানিয়েছেন, কয়েকজন বিক্রি করতে আসা কৃষক।

তারা বলেন, এসব বড় বড় মূলাকে স্থানীয় ভাষায় জাপানি মূলা বলা হয়। এখানে কোনো মূলার ওজন ৫ কেজি, আবার কোন মূলার ওজন ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হচ্ছে।এক জোড়া মূলা বিক্রি হয় ১০০টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

মুলা ক্রয় করা মো.আলমগীর,জয়নাল আবেদীন,মো. জাফর আলম সাকিব বলেন, এ মূলা কেনার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি। ভান্ডারি মূলার স্বাদের সাথে কোনো তুলনা হয় না। গরুর হাড় মাংসের সাথে এই মূলা রান্না করা হয়। দরবারে আসলে ভান্ডারি মূলা কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ির গৃহিনীদের আগাম আবদার থাকে।

চট্টগ্রাম নগর থেকে আগত মো.সোলাইমান ও ডা. খোকন শীল বলেন, আনুমানিক ১০কেজি ওজনের দু’টি মূলা কিনেছেন ২৫০ টাকা দিয়ে। এই মূলা বাড়িতে নিয়ে ছাগলের হাড়-মাংসের সাথে রান্না হবে। নাজিরহাট পৌরসভার নাসির মোহাম্মদ ঘাট হালদার চরে কৃষক সোহেল উদ্দিন বলেন,প্রবাস থেকে ফিরে মুলা চাষে মনোযোগি হয়। ৪বছর ধরে ওরশের মেলায় ভান্ডারি মুলা বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। এবার হবো ইনশাআল্লাহ। খিরাম সত্তা খালের চরের কয়েকজন কৃষক জমিতে চাষকৃত মুলা ওরশে বিক্রি করছেন বলে জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন,হালদার চরের মাটির উর্বর বেশি। তাই মুলার আকৃতি বড় হয়। ফটিকছড়িতে এবার ৫৫০হেক্টর জমিতে মুলার চাষ হয়েছে।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন,প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। এটিকে ফটিকছড়ির মানুষ ভান্ডারী মুলা বলতে ভালোবাসে। ১০ মাঘের ওরশে মুলার বাজারজাত হয়। প্রায় ১০ কোটি টাকার মুলা ব্যবসা হবে বলে তিনি জানান।

মো.এমরান হোসেন, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ঐতিহাসিক ১০ই মাঘ ওরশকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ন্যায় এবছরও বসেছে ঐতিহ্যবাহী মাঘের মেলা। এই মাঘের মেলায় মাইজভাণ্ডার-নাজিরহাট রাস্তার পাশে জুড়ে উঠেছে হালদা নদীর চরের মুলা। আশেক ভক্তরা এ মুলাকে ‘ভান্ডারী মুলা ‘নামে ডাকে। এখানে উৎসবের মতো বিকিকিনি হচ্ছে এ মুলা,বিকিকিনি চলবে ওরশ পরবর্তী দুই দিন পর্যন্ত।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকার প্রবর্তক হযরত শাহছুফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর প্রধান দিবশ ১০ মাঘ ২৪ জানুয়ারী। ওরশ শরীফে দুই দিন আগে থেকে হালদা চরে উৎপাদিত বড় বড় মুলা বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন মুলা বাজারে। স্থানীয় কৃষকরা চাষ করেছে এ মুলা। এমনটি জানিয়েছেন, কয়েকজন বিক্রি করতে আসা কৃষক।

তারা বলেন, এসব বড় বড় মূলাকে স্থানীয় ভাষায় জাপানি মূলা বলা হয়। এখানে কোনো মূলার ওজন ৫ কেজি, আবার কোন মূলার ওজন ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হচ্ছে।এক জোড়া মূলা বিক্রি হয় ১০০টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

মুলা ক্রয় করা মো.আলমগীর,জয়নাল আবেদীন,মো. জাফর আলম সাকিব বলেন, এ মূলা কেনার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি। ভান্ডারি মূলার স্বাদের সাথে কোনো তুলনা হয় না। গরুর হাড় মাংসের সাথে এই মূলা রান্না করা হয়। দরবারে আসলে ভান্ডারি মূলা কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ির গৃহিনীদের আগাম আবদার থাকে।

চট্টগ্রাম নগর থেকে আগত মো.সোলাইমান ও ডা. খোকন শীল বলেন, আনুমানিক ১০কেজি ওজনের দু’টি মূলা কিনেছেন ২৫০ টাকা দিয়ে। এই মূলা বাড়িতে নিয়ে ছাগলের হাড়-মাংসের সাথে রান্না হবে। নাজিরহাট পৌরসভার নাসির মোহাম্মদ ঘাট হালদার চরে কৃষক সোহেল উদ্দিন বলেন,প্রবাস থেকে ফিরে মুলা চাষে মনোযোগি হয়। ৪বছর ধরে ওরশের মেলায় ভান্ডারি মুলা বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। এবার হবো ইনশাআল্লাহ। খিরাম সত্তা খালের চরের কয়েকজন কৃষক জমিতে চাষকৃত মুলা ওরশে বিক্রি করছেন বলে জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন,হালদার চরের মাটির উর্বর বেশি। তাই মুলার আকৃতি বড় হয়। ফটিকছড়িতে এবার ৫৫০হেক্টর জমিতে মুলার চাষ হয়েছে।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন,প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। এটিকে ফটিকছড়ির মানুষ ভান্ডারী মুলা বলতে ভালোবাসে। ১০ মাঘের ওরশে মুলার বাজারজাত হয়। প্রায় ১০ কোটি টাকার মুলা ব্যবসা হবে বলে তিনি জানান।