দি ক্রাইম ডেস্ক: রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অন্যতম সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে হামলাকারীরা লাঠি ও রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম শহীদ রাবির ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের লেভেল-২ এর দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে। চার বছর ধরে তিনি শহরের ষষ্ঠীতলার ‘কিউট ছাত্রাবাসে’ থাকেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রাবাসে গিয়ে ২০ থেকে ২৫ জন বহিরাগত তাকে মারধর করে বলে জানান সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর দেড়টায় রাবির প্যারিস রোডে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্টুডেন্টস রাইটস অ্যাসোসিয়েশন। মানববন্ধন থেকে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ জানান, রাতে তিনি তার কক্ষে বসে ভাত খাচ্ছিলেন। তখন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ছাত্রাবাসে এসে প্রতিটি কক্ষের দরজা ধাক্কা দিয়ে কাউকে খুঁজছিলেন। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বাইরে থেকে এক ব্যক্তি ছাত্রাবাসে এসে লুকিয়ে আছেন। খাবার খাওয়ার পর তিনি রুম থেকে বেরিয়ে নিজেও আগন্তুক ব্যক্তিকে খুঁজতে শুরু করেন। এরপর চারতলার রান্নাঘরে শামিম নামের ওই ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। যারা শামিমকে খুঁজতে এসেছিলেন তাদের কাছে তাকে হস্তান্তর করার জন্য তাদের ডাকছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে ছাত্রাবাসে ঢুকে শামিমের পক্ষের ২০-২৫ ব্যক্তি। তারা কোনকিছু না শুনেই সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ ও ছাত্রাবাসের মালিক রোকন উদ্দীনকে মারধর শুরু করেন।

সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ আরও জানান, তাকে রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। বহিরাগত ব্যক্তিরা মারধর করে চলে যাওয়ার পর তিনি হাসপাতালে যান। রডের আঘাতে হাত ভেঙেছে বলে আশঙ্কা করলেও এক্স-রে রিপোর্টে হাত ভাঙেনি বলে জানা যায়। পরে হাসপাতাল থেকে ছাত্রাবাসে চলে যান। পরিবার ও বড় ভাইদের সঙ্গে আলোচনার পর মামলা করবেন তিনি।

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, প্রেমঘটিত বিষয়ে দুই তরুণ হৃদয় ও মোস্তাক মিল্টনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। রাতে হৃদয় ওই এলাকায় মিল্টনকে ধরে আনে। সেখানে হৃদয়ের দুলাভাই শামিমও আসেন। খবর পেয়ে মিল্টনের লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় হৃদয়ের দুলাভাই শামিম গিয়ে ওই ছাত্রাবাসে লুকিয়ে পড়েন। পরে শামিমের লোকজন তাকে উদ্ধারে ছাত্রাবাসে ঢুকে দেখেন সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদের হাতে আটক রয়েছেন শামিম। সমন্বয়কই তাকে আটকে রেখেছেন, এই ধারণা করে তাকে মারধর করা হয়েছে। আসলে এটা ভুল বোঝাবুঝি।

ওসি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশও গিয়েছিল। নুরুল চাইলে মামলা করতে পারেন। তিনি মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দি ক্রাইম ডেস্ক: রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অন্যতম সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে হামলাকারীরা লাঠি ও রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম শহীদ রাবির ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের লেভেল-২ এর দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে। চার বছর ধরে তিনি শহরের ষষ্ঠীতলার ‘কিউট ছাত্রাবাসে’ থাকেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রাবাসে গিয়ে ২০ থেকে ২৫ জন বহিরাগত তাকে মারধর করে বলে জানান সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর দেড়টায় রাবির প্যারিস রোডে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্টুডেন্টস রাইটস অ্যাসোসিয়েশন। মানববন্ধন থেকে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ জানান, রাতে তিনি তার কক্ষে বসে ভাত খাচ্ছিলেন। তখন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ছাত্রাবাসে এসে প্রতিটি কক্ষের দরজা ধাক্কা দিয়ে কাউকে খুঁজছিলেন। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বাইরে থেকে এক ব্যক্তি ছাত্রাবাসে এসে লুকিয়ে আছেন। খাবার খাওয়ার পর তিনি রুম থেকে বেরিয়ে নিজেও আগন্তুক ব্যক্তিকে খুঁজতে শুরু করেন। এরপর চারতলার রান্নাঘরে শামিম নামের ওই ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। যারা শামিমকে খুঁজতে এসেছিলেন তাদের কাছে তাকে হস্তান্তর করার জন্য তাদের ডাকছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে ছাত্রাবাসে ঢুকে শামিমের পক্ষের ২০-২৫ ব্যক্তি। তারা কোনকিছু না শুনেই সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ ও ছাত্রাবাসের মালিক রোকন উদ্দীনকে মারধর শুরু করেন।

সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ আরও জানান, তাকে রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। বহিরাগত ব্যক্তিরা মারধর করে চলে যাওয়ার পর তিনি হাসপাতালে যান। রডের আঘাতে হাত ভেঙেছে বলে আশঙ্কা করলেও এক্স-রে রিপোর্টে হাত ভাঙেনি বলে জানা যায়। পরে হাসপাতাল থেকে ছাত্রাবাসে চলে যান। পরিবার ও বড় ভাইদের সঙ্গে আলোচনার পর মামলা করবেন তিনি।

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, প্রেমঘটিত বিষয়ে দুই তরুণ হৃদয় ও মোস্তাক মিল্টনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। রাতে হৃদয় ওই এলাকায় মিল্টনকে ধরে আনে। সেখানে হৃদয়ের দুলাভাই শামিমও আসেন। খবর পেয়ে মিল্টনের লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় হৃদয়ের দুলাভাই শামিম গিয়ে ওই ছাত্রাবাসে লুকিয়ে পড়েন। পরে শামিমের লোকজন তাকে উদ্ধারে ছাত্রাবাসে ঢুকে দেখেন সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদের হাতে আটক রয়েছেন শামিম। সমন্বয়কই তাকে আটকে রেখেছেন, এই ধারণা করে তাকে মারধর করা হয়েছে। আসলে এটা ভুল বোঝাবুঝি।

ওসি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশও গিয়েছিল। নুরুল চাইলে মামলা করতে পারেন। তিনি মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’