নগর প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগরে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকায় অনুমোদনহীন ও নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। এবার অনুমোদনহীন এসব ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এজন্য টিম গঠন করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে অথরাইজড-২ এর আওতাধীন কয়েকটি এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা কিছু স্থাপনা চউক আদালতের নেতৃত্বে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরকম আরো বহু স্থাপনা এবং অনুমোদিত ও নক্সার ব্যতয়কৃত অসংখ্য স্থাপনা রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ।

সিডিএ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুনের পর থেকে নগরে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে নকশাবহির্ভূত ও অনুমোদনহীন অনেকগুলো ভবন গড়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে ভবন নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠায় অভিযানে নামছে সিডিএ। অভিযান জোরদার করতে সিডিএর দুই অথরাইজড অফিসারের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে দু’টি ভিজিল্যান্স টিম। ইতিমধ্যে একটি টিম মাঠে নামলেও অপরটি চলতি সপ্তাহের শুরুতে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সিডিএ। তবে এখনও উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়নি। টিমগুলো সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহের পর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

সিডিএ’র গঠিত একটি ভিজিল্যান্স টিমের প্রধান মোহাম্মদ হাসান এ প্রতিনিধিকেকে বলেন, ‘গঠিত দু’টি ভিজিল্যান্স টিমের মধ্যে একটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমাদের টিম আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে কাজ শুরু করবে। এজন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি, সমন্বয় করে কাজ করবো আমরা।’

সিডিএ’র ভিজিল্যান্স টিমের প্রধান অথরাইজড অফিসার-২ মো.তানজীব হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, আমি ইতোমধ্যে আমার এলাকাধীন বেশ কিছু অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি, একইসাথে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিশাল অংকের অর্থ দন্ডও দিয়েছি।

সিডিএ সংশ্লিষ্ট একটি সুত্রে জানা গেছে, সুদীর্ঘ কুড়ি বছর যাবত জনবল সংকটের কারণে ইমারত পরিদর্শক নিয়োগ দেয়া সম্ভব না হওয়ায় সংশ্লিষ্ঠ ইমারত পরিদশর্করা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় অবৈধ নির্মাণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।বেশ কয়েক বছর আগে ৫ জন ইমারত পরিদর্শকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে পদায়ন করা সত্বেও তাদেরকে ইমারত পরিদর্শক পদে বহাল তবিয়তে রেখে দেওয়ায় তাদের অসহযোগীতায় অনুমোদিত নক্সার দালানগুলো ব্যত্যয়কৃতভাবে নির্মিত হচ্ছে। এই ৫ জনকে তাদের স্বপদে বহাল করে নতুনদেরকে পদায়ন করলে ইমারত নির্মাণে স্বচ্ছতা ফিরে আসবে।এছাড়াও উল্লেখিত ৫ পরিদর্শক অথরাইজড বিভাগে ন্যাস্ত থাকলেও তারা সেখানে হাজিরা খাতায় দস্তখত করেনা।তারা হলেন-মিজানুর রহমান,তোফায়েল আহাম্মদ,আবদুর রশীদ,সৈকত চন্দ্র পাল ও কামরুল ইসলাম চৌধূরী।এই পদে তারা ২০/২৫ বছর চাকুরী করছে।ফলে সাইট পরিদর্শনে তাদের গাফেলতিসহ নানা অনিয়মে তারা নিম্মজিত।

নগরে কোনও ভবন কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে সিডিএ থেকে অনুমোদন নিতে হয় উল্লেখ করে মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘কেউ কেউ এ নিয়ম না মেনে ইচ্ছেমতো স্থাপনা তৈরি করেছেন। আবার কেউ নকশার অনুমোদন নিয়েছেন এক রকম, ভবন নির্মাণ করেছেন ভিন্ন। এসব নকশাবহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবো আমরা।’

গত কয়েক মাসে কতটি এমন ভবন তৈরি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে তালিকা আমরা এখনও করিনি। সরেজমিনে মাঠে গিয়ে তালিকা তৈরি করলে বোঝা যাবে, নকশাবহির্ভূত ও অনুমোদনহীন কতটি ভবন আছে।’

নগরে নকশাবহির্ভূত ও অনুমোদনহীন কতটি ভবন আছে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘সেটি তালিকা দেখে বলতে হবে। তবে পরিকল্পিত নগর গড়তে অনুমোদনহীন ও নকশাবহির্ভূত ভবন অপসারণের বিকল্প নেই। নানা কারণে গত কয়েক মাস অবৈধ এবং নকশাবহির্ভূত স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এখন থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। যাতে নতুন করে কেউ নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণ করতে না পারে। যেগেুলো হয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।’

সিডিএ জানিয়েছে, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরুর বা স্থগিত কাজ শুরুর ১৫ দিন আগে সিডিএকে জানানোর কথা থাকলেও তা করেন না অধিকাংশ ভবন মালিক।

সিডিএর বোর্ড সদস্য সাংবাদিক জসিম উদ্দীন কচি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিগত সময়ে চট্টগ্রামে ভবন নির্মাণে নিয়ম মানা হয়নি। এভাবে চলতে দেওয়া উচিত নয়। এখন সব কিছু নিয়মের মধ্যে আসা উচিত।’শুধু তাই নয়,গত কয়েক বছরে নগরে “বাইন্যা সিন্ডিকেট” কর্তৃক যে সমস্ত বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো চউকের আইনভঙ্গ করে নির্মিত হয়েছে। এসব স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও বিধিসম্মতভাবে ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচিন।

নগর প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগরে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকায় অনুমোদনহীন ও নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। এবার অনুমোদনহীন এসব ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এজন্য টিম গঠন করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে অথরাইজড-২ এর আওতাধীন কয়েকটি এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা কিছু স্থাপনা চউক আদালতের নেতৃত্বে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরকম আরো বহু স্থাপনা এবং অনুমোদিত ও নক্সার ব্যতয়কৃত অসংখ্য স্থাপনা রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ।

সিডিএ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুনের পর থেকে নগরে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে নকশাবহির্ভূত ও অনুমোদনহীন অনেকগুলো ভবন গড়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে ভবন নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠায় অভিযানে নামছে সিডিএ। অভিযান জোরদার করতে সিডিএর দুই অথরাইজড অফিসারের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে দু’টি ভিজিল্যান্স টিম। ইতিমধ্যে একটি টিম মাঠে নামলেও অপরটি চলতি সপ্তাহের শুরুতে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সিডিএ। তবে এখনও উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়নি। টিমগুলো সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহের পর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

সিডিএ’র গঠিত একটি ভিজিল্যান্স টিমের প্রধান মোহাম্মদ হাসান এ প্রতিনিধিকেকে বলেন, ‘গঠিত দু’টি ভিজিল্যান্স টিমের মধ্যে একটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমাদের টিম আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে কাজ শুরু করবে। এজন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি, সমন্বয় করে কাজ করবো আমরা।’

সিডিএ’র ভিজিল্যান্স টিমের প্রধান অথরাইজড অফিসার-২ মো.তানজীব হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, আমি ইতোমধ্যে আমার এলাকাধীন বেশ কিছু অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি, একইসাথে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিশাল অংকের অর্থ দন্ডও দিয়েছি।

সিডিএ সংশ্লিষ্ট একটি সুত্রে জানা গেছে, সুদীর্ঘ কুড়ি বছর যাবত জনবল সংকটের কারণে ইমারত পরিদর্শক নিয়োগ দেয়া সম্ভব না হওয়ায় সংশ্লিষ্ঠ ইমারত পরিদশর্করা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় অবৈধ নির্মাণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।বেশ কয়েক বছর আগে ৫ জন ইমারত পরিদর্শকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে পদায়ন করা সত্বেও তাদেরকে ইমারত পরিদর্শক পদে বহাল তবিয়তে রেখে দেওয়ায় তাদের অসহযোগীতায় অনুমোদিত নক্সার দালানগুলো ব্যত্যয়কৃতভাবে নির্মিত হচ্ছে। এই ৫ জনকে তাদের স্বপদে বহাল করে নতুনদেরকে পদায়ন করলে ইমারত নির্মাণে স্বচ্ছতা ফিরে আসবে।এছাড়াও উল্লেখিত ৫ পরিদর্শক অথরাইজড বিভাগে ন্যাস্ত থাকলেও তারা সেখানে হাজিরা খাতায় দস্তখত করেনা।তারা হলেন-মিজানুর রহমান,তোফায়েল আহাম্মদ,আবদুর রশীদ,সৈকত চন্দ্র পাল ও কামরুল ইসলাম চৌধূরী।এই পদে তারা ২০/২৫ বছর চাকুরী করছে।ফলে সাইট পরিদর্শনে তাদের গাফেলতিসহ নানা অনিয়মে তারা নিম্মজিত।

নগরে কোনও ভবন কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে সিডিএ থেকে অনুমোদন নিতে হয় উল্লেখ করে মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘কেউ কেউ এ নিয়ম না মেনে ইচ্ছেমতো স্থাপনা তৈরি করেছেন। আবার কেউ নকশার অনুমোদন নিয়েছেন এক রকম, ভবন নির্মাণ করেছেন ভিন্ন। এসব নকশাবহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবো আমরা।’

গত কয়েক মাসে কতটি এমন ভবন তৈরি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে তালিকা আমরা এখনও করিনি। সরেজমিনে মাঠে গিয়ে তালিকা তৈরি করলে বোঝা যাবে, নকশাবহির্ভূত ও অনুমোদনহীন কতটি ভবন আছে।’

নগরে নকশাবহির্ভূত ও অনুমোদনহীন কতটি ভবন আছে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘সেটি তালিকা দেখে বলতে হবে। তবে পরিকল্পিত নগর গড়তে অনুমোদনহীন ও নকশাবহির্ভূত ভবন অপসারণের বিকল্প নেই। নানা কারণে গত কয়েক মাস অবৈধ এবং নকশাবহির্ভূত স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এখন থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। যাতে নতুন করে কেউ নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণ করতে না পারে। যেগেুলো হয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।’

সিডিএ জানিয়েছে, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরুর বা স্থগিত কাজ শুরুর ১৫ দিন আগে সিডিএকে জানানোর কথা থাকলেও তা করেন না অধিকাংশ ভবন মালিক।

সিডিএর বোর্ড সদস্য সাংবাদিক জসিম উদ্দীন কচি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিগত সময়ে চট্টগ্রামে ভবন নির্মাণে নিয়ম মানা হয়নি। এভাবে চলতে দেওয়া উচিত নয়। এখন সব কিছু নিয়মের মধ্যে আসা উচিত।’শুধু তাই নয়,গত কয়েক বছরে নগরে “বাইন্যা সিন্ডিকেট” কর্তৃক যে সমস্ত বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো চউকের আইনভঙ্গ করে নির্মিত হয়েছে। এসব স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও বিধিসম্মতভাবে ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচিন।