খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর থানায় দ্রুুততম সময়ের মধ্যে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ছিনতাইকৃত ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ ছিনতাই ও ডাকাত চক্রের ১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার(৮ই ডিসেম্বর) দুপুরে গোলাবাড়ি ইউনিয়নের গন্ধসঢ়;জ পাড়া বলপেয়া আদাম থেকে আটক করে পুলিশ। তবে অন্য পলাতক আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও গতিশীল রাখার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল ফৌজদারী মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার, দীর্ঘদিনের বিলম্বিত পরোয়ানা তামিল, অভ্যাসগত চোর-ডাকাত চক্রের বর্তমান অবস্থান নির্ধারণ ও তথ্য সংগ্রহসহ বিভিন্ন প্রকার উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে জেলার সকল পর্যায়ের অফিসার ও ফোর্সদের জোর নির্দেশনা প্রদান করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি সদর থানার একটি চৌকস আভিযানিক টিম এএসআই শ্যামল নেতৃত্বে ছিনতাই মামলার ১জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার সময় বিকাশ ব্যবসায়ী মেনন ধর বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে খাগড়াছড়ি সদর থানাধীন ৩নং পৌর ওয়ার্ডস্থ খাগড়াছড়ি গেইট এর সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৩ জন ব্যক্তি তাকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে বাদীর নিকটে থাকা ব্যাগের ভিতর নগদ ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা, মোবাইলফোন এবং ট্যাবসহ ব্যাগটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় গত ১৭ নভেম্বর নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। মামলা রুজুর পরবতীর্তে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল’র সার্বিক দিকনির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খাগড়াছড়ি থানার চৌকস আভিযানিক টিম ২টা ৩০মিনিটে খাগড়াছড়ি সদর থানাধীন গঞ্জপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাটিরাঙ্গা তবলছড়ির গোরাঙ্গ পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের ছেলে ছিনতাই ও ডাকাত চক্রের সদস্য মো: মীর হোসেন(২৬)-কে আটক করা হয় এবং তার হেফাজত থেকে ছিনতাই হওয়া ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে ছিনতাইচক্রের অন্যতম সদস্য মীর হোসেনের বাসায় তল্লাসী চালিয়ে বিভিন্ন সময় চুরি, ছিনতাই করা ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক তার, টিভি, ফ্রিজসহ খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি করে নিয়ে আসা জিনিসপত্র পাওয়া যায়। পরে অনেকে প্রমাণ সাপেক্ষে ভুক্তভোগীরাদের জিনিসপত্র হস্তান্তর করা হয়। অনেকে চুরি যাওয়া জিনিসপত্র ফিরে পাওয়ার জন্য থানায় যোগাযোগ রাখছে ভুক্তভোগীরা।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো: আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামী মো: মীর হোসেন(২৬) ঘটনার কথা স্বীকার করেছে এবং আরও দুই সহযোগীসহ এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে। আটককৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন এবং ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, ভবিষ্যতে অনুরূপ যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ যথাযথ আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সদা তৎপর রয়েছে।