ঢাকা ব্যুরো: বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোন ছাড় নয়। ছোট-বড় কিংবা প্রতিবেশী যেই বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করবে জীবন দিয়ে হলেও ওলামায়ে কেরাম তা প্রতিহত করবে। ভারতের প্রতি আমাদের কোন বিদ্বেষ নেই। তাই ভারতের সরকার ও জনগণেরও উচিত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।
ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননার মধ্যে দিয়ে সার্বভৌমত্বকে হুমকির প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর)বেলা ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আধিপত্যবাদবিরোধী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলপূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের নির্বাহী মহাসচিব শাইখুল হাদিস মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানরা হাজার বছর ধরে ইসলামের উদার দর্শন সুফিধারায় বিশ্বাসী। আর তাই এদেশের মানুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আবদ্ধ। অথচ ভারত সরকার এবং তাদের গণমাধ্যমগুলো সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি অপচেষ্টা করছে।
সার্বভৌমত্ব রক্ষা সুন্নি ওলামা পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক সমাবেশ শায়খ সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আযহারীর সভাপতিত্বে ও মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসার প্রভাষক শায়খ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন কাদেরী।
বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী এড. হেলাল উদ্দিন, আহলে সুন্নাতে দপ্তর সচিব মুফতি আবদুল হাকিম নঈমী, মাওলানা হাবিবুর রহমান কাদেরী, সিএ ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা মুফতি মাসউদ হোসাইন, জাবের হোসাইন প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, যারা নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তাদের অন্যদের নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত নয়। বাবরী মসজিদ ধ্বংস, গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ইতিহাসের মত কোন কালো অধ্যায় বাংলাদেশের নেই।
এসময় বক্তারা সকল ধর্মের মানুষের কাছে অত্যান্ত শ্রদ্ধার তীর্থস্থান আজমীর শরীফের হযরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (রহ.)’র মাজারকে হিন্দু মন্দিরের অংশ দাবি করে হিন্দু সেনা প্রধান বিষ্ণু গুপ্তর মামলা দায়ের করায় তীব্র নিন্দা জানান।