ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় ঘরের মেঝেতে পরে ছিল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ। পাশেই ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল স্বামীর লাশ। স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রাম থেকে এই দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন— রত্না বেগম (৩০) ও কামরুল ইসলাম (৩৫)। রত্না কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে এবং কামরুল একই ইউনিয়নের বর্তা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামছুল হুদা খান।
নিহতদের স্বজনদের বরাতে তিনি জানান, স্ত্রী রত্নার দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের সময় কাছাকাছি হওয়ায় তাকে নিয়ে শুক্রবার দুপুরে কামরুল নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি পালগাঁও আসেন। পরে রাতের খাবার শেষে তাদের প্রথম সন্তানকে নানীর কাছে রেখে স্বামী-স্ত্রী পাশের আলাদা একটি ঘরে ঘুমাতে যায়। কিন্তু রাত ১০টার দিকে ছেলেটি কান্না-কাটি শুরু করলে নানী মনোয়ারা বেগম ওই ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কেউ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। পরে ঘরের দরজা ভেঙে মেঝেতে রত্নার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশেই গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল কামরুলের মরদেহ।
ওসি আরও বলেন, স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ এসে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।