সোহেল রানা, ঢাকা: রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃত ৯ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বনানী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তারা মাদক মামলার আসামি। অথচ বনানী থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার উপর হামলার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- মোঃ জুয়েল মিয়া (২৭), মোঃ জসিম জোমাদ্দার (৩২), মোঃ রানা মিয়া (৩৫), তারা মিয়া (২৯)ও জিল্লুর রহমান (২৯)।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর বনানী থানা এলাকায় গত ১৯/০৭/২০২৪ তারিখে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে ১৮ জুলাই বনানী থানা পুলিশের তথ্য মতে, বেলা ৩.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, খুনি স্বৈরশাসক এবং স্বৈরশাসকের সহযোগী, সন্ত্রাসী এবং আইন অমান্যকারী উল্লেখ করে বনানী থানাধীন কড়াইল এলাকা থেকে উল্লেখিত আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণের পর বিজ্ঞ আদালত আসামিদেরকে কারাগারে পাঠায়।

ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনও এলাকাবাসী জানায়, ওই দিন রাত সাড়ে তিনটা বা পৌনে চারটার দিকে কড়াইল বস্তিতে সেনাবাহিনী র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সে সময় উল্লেখিত আসামিসহ ৯ জনকে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন আরও বলেন, আটকের সময় আটককৃতদের কাছে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি এবং এবং পুলিশ বনানী থানায় নেয়ার পর শুধু শুধু ভুক্তভোগীদের ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগ গ্রেফতার দেখিয়েছে।

তারা আরও জানান, আটককৃতরা কেউ কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পক্ষেই তাদের অবস্থান ছিল। পুলিশ কি কারণে কিসের উপর ভিত্তি করে দু’মাস আগের ভাঙচুর লুটপাট এবং ছাত্র-জনতার ওপর হামলার একটি পেন্ডিং মামলায় যৌথ বাহিনীর আটকৃত ৯ জনের মধ্যে তাদের ৫ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ারকে মুঠোফোনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃতদেরকে কোন মামলায় আটক করা হয়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এখনো মামলার সিদ্ধান্ত হয়নি পুরাতন মামলা দিব।

পরবর্তীতে রাত আনুমানিক দশটার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়-“বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের নেতৃত্বে সুনির্দিষ্ট তথ্যর ভিত্তিতে করাইল বস্তি এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচলনা করে ৯ জন শীর্ষ ও মামলাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তল্লাশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বেশ কিছু পরিমান হেরোইন ও মাদক ব্যবসায়ীদের অবৈধ অর্থ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের পর উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অর্থসহ গ্রেফতারকৃতদের পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

এদিকে, মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেফতার নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হলে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। গণ-অভ্যুত্থান দমন করতে পতিত সরকার নিষ্ঠুর বল প্রয়োগ করলে বহু প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে দীর্ঘদিনের দুঃশাসনে বহু মানুষ অপহরণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এসব নিপীড়নের বিচার করতে বদ্ধপরিকর। তবে সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করতে চায়, মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়। এসব মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, কড়াইল বস্তি থেকে গ্রেফতার সেই ৯ আসামির মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই বেলা ২টার দিকে রিক্সা নিয়ে যাওয়ার সময়, মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা তথা স্বৈরশাসকের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারী ও জনগণের ওপর অবৈধ অস্ত্রদ্বারা এলোপাতাড়ি ভাবে গুলি ছুড়তে থাকে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। উক্ত গুলিতে ভিকটিম সহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ফলে অনেকে আঘাত প্রাপ্ত হয়। ভিকটিমের বুকের বাম পাশে ২টি গুলি লেগে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়িলেও আসামিগণ এলোপাথারী গুলি চালানো অব্যাহত রাখে।

বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত হত্যা, দুর্নীতিসহ সব অপরাধের বিচার হোক এটা দেশের সবাই চায়। কিন্তু অপরাধীকে শনাক্ত না করে এ রকম খেয়াল-খুশিমতো মামলা করলে যেমন নিরাপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার হবেন, তেমনি ন্যায়বিচারের পথও রুদ্ধ হবে। এ ধরনের মামলা ছাত্র আন্দোলনের ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সোহেল রানা, ঢাকা: রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃত ৯ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বনানী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তারা মাদক মামলার আসামি। অথচ বনানী থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার উপর হামলার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- মোঃ জুয়েল মিয়া (২৭), মোঃ জসিম জোমাদ্দার (৩২), মোঃ রানা মিয়া (৩৫), তারা মিয়া (২৯)ও জিল্লুর রহমান (২৯)।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর বনানী থানা এলাকায় গত ১৯/০৭/২০২৪ তারিখে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে ১৮ জুলাই বনানী থানা পুলিশের তথ্য মতে, বেলা ৩.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, খুনি স্বৈরশাসক এবং স্বৈরশাসকের সহযোগী, সন্ত্রাসী এবং আইন অমান্যকারী উল্লেখ করে বনানী থানাধীন কড়াইল এলাকা থেকে উল্লেখিত আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণের পর বিজ্ঞ আদালত আসামিদেরকে কারাগারে পাঠায়।

ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনও এলাকাবাসী জানায়, ওই দিন রাত সাড়ে তিনটা বা পৌনে চারটার দিকে কড়াইল বস্তিতে সেনাবাহিনী র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সে সময় উল্লেখিত আসামিসহ ৯ জনকে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন আরও বলেন, আটকের সময় আটককৃতদের কাছে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি এবং এবং পুলিশ বনানী থানায় নেয়ার পর শুধু শুধু ভুক্তভোগীদের ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগ গ্রেফতার দেখিয়েছে।

তারা আরও জানান, আটককৃতরা কেউ কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পক্ষেই তাদের অবস্থান ছিল। পুলিশ কি কারণে কিসের উপর ভিত্তি করে দু’মাস আগের ভাঙচুর লুটপাট এবং ছাত্র-জনতার ওপর হামলার একটি পেন্ডিং মামলায় যৌথ বাহিনীর আটকৃত ৯ জনের মধ্যে তাদের ৫ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ারকে মুঠোফোনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃতদেরকে কোন মামলায় আটক করা হয়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এখনো মামলার সিদ্ধান্ত হয়নি পুরাতন মামলা দিব।

পরবর্তীতে রাত আনুমানিক দশটার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়-“বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের নেতৃত্বে সুনির্দিষ্ট তথ্যর ভিত্তিতে করাইল বস্তি এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচলনা করে ৯ জন শীর্ষ ও মামলাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তল্লাশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বেশ কিছু পরিমান হেরোইন ও মাদক ব্যবসায়ীদের অবৈধ অর্থ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের পর উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অর্থসহ গ্রেফতারকৃতদের পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

এদিকে, মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেফতার নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হলে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। গণ-অভ্যুত্থান দমন করতে পতিত সরকার নিষ্ঠুর বল প্রয়োগ করলে বহু প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে দীর্ঘদিনের দুঃশাসনে বহু মানুষ অপহরণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এসব নিপীড়নের বিচার করতে বদ্ধপরিকর। তবে সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করতে চায়, মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়। এসব মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, কড়াইল বস্তি থেকে গ্রেফতার সেই ৯ আসামির মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই বেলা ২টার দিকে রিক্সা নিয়ে যাওয়ার সময়, মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা তথা স্বৈরশাসকের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারী ও জনগণের ওপর অবৈধ অস্ত্রদ্বারা এলোপাতাড়ি ভাবে গুলি ছুড়তে থাকে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। উক্ত গুলিতে ভিকটিম সহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ফলে অনেকে আঘাত প্রাপ্ত হয়। ভিকটিমের বুকের বাম পাশে ২টি গুলি লেগে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়িলেও আসামিগণ এলোপাথারী গুলি চালানো অব্যাহত রাখে।

বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত হত্যা, দুর্নীতিসহ সব অপরাধের বিচার হোক এটা দেশের সবাই চায়। কিন্তু অপরাধীকে শনাক্ত না করে এ রকম খেয়াল-খুশিমতো মামলা করলে যেমন নিরাপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার হবেন, তেমনি ন্যায়বিচারের পথও রুদ্ধ হবে। এ ধরনের মামলা ছাত্র আন্দোলনের ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।