দি ক্রাইম ডেস্ক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাব করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠনে নিবন্ধিত ১৭ দলের সবাই পাঁচের অধিক নাম প্রস্তাব করেছে। এছাড়া অন্য রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ের পক্ষ থেকেও তাদের পছন্দের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সব মিলে নতুন ইসি নিয়োগে সার্চ কমিটির কাছে তিন শতাধিক নাম এসেছে বলে জানান গেছে।

এসব নামের মধ্যে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তারা হলেন- নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান, সাবেক সচিব মহিবুল হক, সাবেক সচিব শফিকুল ইসলাম, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এস এম জাকারিয়া, সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতিদার আহমেদ, আছেন সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন এবং সমালোচিত আজিজ কমিশনের সময় ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্ব পালনকারী ড. মোহাম্মদ জকরিয়া।

এছাড়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও অধ্যাপক রুহুল আমিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী, ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, সাবেক যুগ্ম সচিব তাহমিদা আহমেদ, ড. এ ওয়াই এম একরামুল হক, মুনির চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সচিব আরিফুর রহমান, সাবেক আমলা শামীমা আহমেদ, মঞ্জুর কাদির, শাহনাজ বানু এবং সাবেক জেলা জজ শামীম আহমেদ ও এস এম নুরুজ্জামান প্রমুখ।

তবে সূত্র মতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য বিএনপি সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন ও সাবেক সচিব শফিকুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করেছে। বিএনপি জোটের বেশ কয়েকটি দলও এ দুজনের নামের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঞার নামও প্রস্তাব করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আবদুল লতিফ মাসুম, সাবেক কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবীর, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য তানজিনা ইসলাম, সাবেক সচিব মহিবুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতিদার আহমেদের নাম প্রস্তাব করেছে।

তবে বেশির ভাগ দল তাদের তালিকায় সুশীল সমাজ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিচারক, শিক্ষক, সিনিয়র সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও নারী প্রতিনিধির নাম উল্লেখ করেছে বলে কয়েকটি দলের সঙ্গে কথা বলে জানান গেছে।

ছয় দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিটি দলের পৃথকভাবে দেয়া প্রস্তাবের মধ্যেও সাবেক সচিব শফিকুল ইসলামের নাম রয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রস্তাব করেছে সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খানের নাম। নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপকসহ মোট ছয়জনের নাম প্রস্তাব করেছে। এই ছয়জনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের নাম রয়েছে।

সূত্র জানায়, বিএনপির হাইকমান্ড থেকে একটি তালিকা সমমনা দলগুলোকে দেয়া হয়। সেখান থেকে পছন্দ অনুযায়ী নাম প্রস্তাবের জন্য বলা হয়। সেই তালিকা থেকে কয়েকটি নাম অন্তর্ভুক্ত করে ওই সব দল নিজেদের মতো করে তালিকা করে জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও এ বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা মুখ খুলতে নারাজ। আবার আরেকটি পক্ষ দাবি করে, তালিকা নিয়ে তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগাযোগই হয়নি। তারা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে তালিকা চূড়ান্ত করেছেন। সেখানে কাকতালীয়ভাবে অনেকের নাম মিলে যেতে পারে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, তারা নিজেদের দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এবং সবার সিদ্ধান্ত মতে তালিকা করে জমা দিয়েছেন। সেখানে বিএনপি বা কারও নামের সঙ্গে মিলে গেলে, সেটা কাকতালীয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন কমিশনার পদের জন্য আটজনের নাম প্রস্তাব করে জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট ও এলডিপি পৃথকভাবে নাম প্রস্তাব করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। পাঁচটি পদের জন্য পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এছাড়া জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ লেবার পার্টিসহ অন্য অনিবন্ধিত দলের পক্ষ থেকেও নামের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নাম প্রস্তাব করার শেষ দিন ছিল গত বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত অনুসন্ধান কমিটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে নাম প্রস্তাব করার জন্য রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টির কাছে কোনো নাম চায়নি অনুসন্ধান কমিটি। এসব দল বাদে বিএনপিসহ ১৭টি দল ও জোট, পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই নাম জমা দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। আইন অনুযায়ী, ২১ নভেম্বরের মধ্যে সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে। এর মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পদত্যাগ করে। এরপর গত ৩১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।

দি ক্রাইম ডেস্ক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাব করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠনে নিবন্ধিত ১৭ দলের সবাই পাঁচের অধিক নাম প্রস্তাব করেছে। এছাড়া অন্য রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ের পক্ষ থেকেও তাদের পছন্দের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সব মিলে নতুন ইসি নিয়োগে সার্চ কমিটির কাছে তিন শতাধিক নাম এসেছে বলে জানান গেছে।

এসব নামের মধ্যে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তারা হলেন- নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান, সাবেক সচিব মহিবুল হক, সাবেক সচিব শফিকুল ইসলাম, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এস এম জাকারিয়া, সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতিদার আহমেদ, আছেন সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন এবং সমালোচিত আজিজ কমিশনের সময় ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্ব পালনকারী ড. মোহাম্মদ জকরিয়া।

এছাড়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও অধ্যাপক রুহুল আমিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী, ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, সাবেক যুগ্ম সচিব তাহমিদা আহমেদ, ড. এ ওয়াই এম একরামুল হক, মুনির চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সচিব আরিফুর রহমান, সাবেক আমলা শামীমা আহমেদ, মঞ্জুর কাদির, শাহনাজ বানু এবং সাবেক জেলা জজ শামীম আহমেদ ও এস এম নুরুজ্জামান প্রমুখ।

তবে সূত্র মতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য বিএনপি সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন ও সাবেক সচিব শফিকুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করেছে। বিএনপি জোটের বেশ কয়েকটি দলও এ দুজনের নামের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঞার নামও প্রস্তাব করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আবদুল লতিফ মাসুম, সাবেক কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবীর, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য তানজিনা ইসলাম, সাবেক সচিব মহিবুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতিদার আহমেদের নাম প্রস্তাব করেছে।

তবে বেশির ভাগ দল তাদের তালিকায় সুশীল সমাজ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিচারক, শিক্ষক, সিনিয়র সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও নারী প্রতিনিধির নাম উল্লেখ করেছে বলে কয়েকটি দলের সঙ্গে কথা বলে জানান গেছে।

ছয় দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিটি দলের পৃথকভাবে দেয়া প্রস্তাবের মধ্যেও সাবেক সচিব শফিকুল ইসলামের নাম রয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রস্তাব করেছে সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খানের নাম। নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপকসহ মোট ছয়জনের নাম প্রস্তাব করেছে। এই ছয়জনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের নাম রয়েছে।

সূত্র জানায়, বিএনপির হাইকমান্ড থেকে একটি তালিকা সমমনা দলগুলোকে দেয়া হয়। সেখান থেকে পছন্দ অনুযায়ী নাম প্রস্তাবের জন্য বলা হয়। সেই তালিকা থেকে কয়েকটি নাম অন্তর্ভুক্ত করে ওই সব দল নিজেদের মতো করে তালিকা করে জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও এ বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা মুখ খুলতে নারাজ। আবার আরেকটি পক্ষ দাবি করে, তালিকা নিয়ে তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগাযোগই হয়নি। তারা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে তালিকা চূড়ান্ত করেছেন। সেখানে কাকতালীয়ভাবে অনেকের নাম মিলে যেতে পারে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, তারা নিজেদের দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এবং সবার সিদ্ধান্ত মতে তালিকা করে জমা দিয়েছেন। সেখানে বিএনপি বা কারও নামের সঙ্গে মিলে গেলে, সেটা কাকতালীয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন কমিশনার পদের জন্য আটজনের নাম প্রস্তাব করে জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট ও এলডিপি পৃথকভাবে নাম প্রস্তাব করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। পাঁচটি পদের জন্য পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এছাড়া জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ লেবার পার্টিসহ অন্য অনিবন্ধিত দলের পক্ষ থেকেও নামের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নাম প্রস্তাব করার শেষ দিন ছিল গত বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত অনুসন্ধান কমিটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে নাম প্রস্তাব করার জন্য রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টির কাছে কোনো নাম চায়নি অনুসন্ধান কমিটি। এসব দল বাদে বিএনপিসহ ১৭টি দল ও জোট, পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই নাম জমা দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। আইন অনুযায়ী, ২১ নভেম্বরের মধ্যে সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে। এর মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পদত্যাগ করে। এরপর গত ৩১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।