লাইফস্টাইল ডেস্ক: মনোবিদরা বলেন, অতিরিক্ত পরিপূর্ণতাবাদী হলে অতিরিক্ত সৌন্দর্যচর্চার মানসিকতা তৈরি হয়। নিজেকে নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করার জন্য অতিরক্ত সৌন্দর্যচর্চাকে তারা নিজেকে ভালোবাসার বহি:প্রকাশ হিসেবে দেখেন। এবং স্বাভাবিক মনে করেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অতিরিক্ত সৌন্দর্যচর্চা মোটেও স্বাভাবিক বিষয় না। যিনি নিজের শরীর নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তিত থাকেন, তার দৈনন্দিন জীবনে নানা নেতিবাচক ফলাফল লক্ষ্য করা যায়। এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে—
এক. কোনো কাজে মনোযোগ দিতে না পারা। দুই. হতাশায় ভোগা। তিন. নিজেকে আড়াল করে রাখা। চার. নিজের গুণগুলো কাজে লাগাতে না পারা। পাঁচ. আত্মসমালোচনা করা। ছয়. নিজের ক্ষতি করতে চাওয়া প্রভৃতি।
মানুষের নিখুঁত হওয়ার প্রচেষ্টা আত্মবিশ্বাসহীনতা তৈরি করতে পারে। নিখুঁত সুন্দর হওয়ার জন্য একজন মানুষ অত্যধিক শরীরচর্চা, বেশি বা কম পরিমাণ খাদ্যগ্রহণে উদ্বুদ্ধ হন। এ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত পারফেকশনিজমের ফলে ব্যক্তির মনে উদ্বেগ তৈরি হয়। এই সমস্যাকে ‘অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার’ বলা হয়ে থাকে।
মানুষ পুরোপুরি নিখুঁত হতে পারে না। কিন্তু শারীরিক গঠন বা গড়ন প্রত্যেক মানুষেরই একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। আশার কথা হচ্ছে, বেশির ভাগ মানুষই নিজেদের শারীরিক গঠন যেমন আছে, তেমন নিয়েই স্বস্তিবোধ করেন। আর কিছু মানুষ আছেন অহেতুক চিন্তা করেন। যা থেকে একপর্যায়ে মানসিক রোগ সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে মনোনোবিজ্ঞানীর সহায়তা নিতে হবে। নিয়মিত কাউন্সেলিং সেশন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় কাউন্সেলিং একটি দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া। সপ্তাহে ১টি করে প্রায় ১২টা সেশন নিতে হতে পারে।
তথ্যসূত্র: রোর মিডিয়া এবং মনের বন্ধু