নগর প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান স্থানীয় জনগনের দ্বারা পরিচালিত হবে এবং স্থানীয় জনদুর্ভোগ ও সমস্যা সমাধানে মূখ্য ভুমিকা পালন করবে এ বিধিবিধান সংবিধানেই লেখা থাকলেও যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, তারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোকে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। বুধবার (০২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর নোবেল বিজীয় ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠিত হলে তাঁরাও সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে তাদের স্থানে সরকারি কর্মকর্তাদের খন্ডকালীন নিয়োগ প্রদান করেছেন। ফলে বিগত সরকারগুলোর মতো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোকে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দিয়ে তাদের ক্ষমতাকে আরও জোরদার করার মাধ্যমে স্থানীয় জনগনের স্ব-শাসিত উদ্যোগকে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে বলে মনে করছেন দেশের ক্রেতা ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিনাভোটে এবং অনেক স্থানে লোক দেখানো প্রহসনমুলক নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানাগুলো গঠিত হলেও ঢালাওভাবে সরকারি কর্মকর্তাদেরকে খন্ডকালীন ও প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে এর প্রতিকার সম্ভব নয়। প্রশাসক নিয়োগ স্বল্পকালীন হলেও সরকারি কর্মকর্তাগন এমনিতেই তাদের দায়িত্বভাবে জর্জরিত সেখানে স্থানীয় জনগনের দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও নির্দলীয় চরিত্র ফিরিয়ে আনতে ঐ এলাকার স্থানীয় দলনিরপেক্ষ সমাজকর্মী, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশাজীবিদের পক্ষ থেকে পূর্ণকালীন প্রশাসক নিয়োগ প্রদানের বিকল্প নেই।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ঢালাওভাবে জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ না করে যেসব জনপ্রতিনিধি কার্যক্রম পরিচালায় সক্ষম তাদেরকে দিয়ে পরিচালনা করা এবং যারা পলাতক, তাঁদের স্থলে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে প্রয়োজনীয় স্থানে কো-অপ্ট করার বিধান প্রবর্তন করে কার্যক্রম পরিচালনা করলে স্থানীয় সরকারের চরিত্র ও অবয়ব ঠিক থাকতো। এছাড়াও স্থানীয় জনগন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হতো না।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন হবার কারনে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতেন। আবার ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আইন সংশোধন করে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার কারণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোর বহুদলীয় চরিত্র বিলুপ্ত হয়। আর ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন, সেকারনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় সংস্থায় পরিনত হয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশনসমুহে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশনের জনসংখ্যা অনেকে বেশি, এই বিপুলসংখ্যক মানুষের নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য খন্ডকালীন প্রশাসকের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব নয়। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাগুলোকে যেভাবে আমলানির্ভর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে, তাতে এগুলো আর জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের চরিত্রে থাকছে না। তাই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোকে অবশ্যই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সংস্কার করে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও নির্দলীয় চরিত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

নগর প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান স্থানীয় জনগনের দ্বারা পরিচালিত হবে এবং স্থানীয় জনদুর্ভোগ ও সমস্যা সমাধানে মূখ্য ভুমিকা পালন করবে এ বিধিবিধান সংবিধানেই লেখা থাকলেও যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, তারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোকে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। বুধবার (০২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর নোবেল বিজীয় ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠিত হলে তাঁরাও সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে তাদের স্থানে সরকারি কর্মকর্তাদের খন্ডকালীন নিয়োগ প্রদান করেছেন। ফলে বিগত সরকারগুলোর মতো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোকে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দিয়ে তাদের ক্ষমতাকে আরও জোরদার করার মাধ্যমে স্থানীয় জনগনের স্ব-শাসিত উদ্যোগকে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে বলে মনে করছেন দেশের ক্রেতা ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিনাভোটে এবং অনেক স্থানে লোক দেখানো প্রহসনমুলক নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানাগুলো গঠিত হলেও ঢালাওভাবে সরকারি কর্মকর্তাদেরকে খন্ডকালীন ও প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে এর প্রতিকার সম্ভব নয়। প্রশাসক নিয়োগ স্বল্পকালীন হলেও সরকারি কর্মকর্তাগন এমনিতেই তাদের দায়িত্বভাবে জর্জরিত সেখানে স্থানীয় জনগনের দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও নির্দলীয় চরিত্র ফিরিয়ে আনতে ঐ এলাকার স্থানীয় দলনিরপেক্ষ সমাজকর্মী, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশাজীবিদের পক্ষ থেকে পূর্ণকালীন প্রশাসক নিয়োগ প্রদানের বিকল্প নেই।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ঢালাওভাবে জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ না করে যেসব জনপ্রতিনিধি কার্যক্রম পরিচালায় সক্ষম তাদেরকে দিয়ে পরিচালনা করা এবং যারা পলাতক, তাঁদের স্থলে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে প্রয়োজনীয় স্থানে কো-অপ্ট করার বিধান প্রবর্তন করে কার্যক্রম পরিচালনা করলে স্থানীয় সরকারের চরিত্র ও অবয়ব ঠিক থাকতো। এছাড়াও স্থানীয় জনগন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হতো না।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন হবার কারনে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতেন। আবার ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আইন সংশোধন করে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার কারণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোর বহুদলীয় চরিত্র বিলুপ্ত হয়। আর ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন, সেকারনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় সংস্থায় পরিনত হয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশনসমুহে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশনের জনসংখ্যা অনেকে বেশি, এই বিপুলসংখ্যক মানুষের নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য খন্ডকালীন প্রশাসকের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব নয়। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাগুলোকে যেভাবে আমলানির্ভর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে, তাতে এগুলো আর জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের চরিত্রে থাকছে না। তাই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোকে অবশ্যই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সংস্কার করে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও নির্দলীয় চরিত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।