খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায়, আনসার, পুলিশের পাশাপাশি থাকবে সেনাবাহিনী। এসময় এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার(২৬ সেপ্টেম্বর ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাটিরাঙ্গা জোনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত মাসিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ১৫ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি সেনাবাহিনীর মাটিরাঙ্গা জোনে অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: কামরুল হাসান পিএসসি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কথা উল্লেখ করে জোন কমান্ডার বলেন, সেনাবাহিনী দেশের একটি স্তম্ভ। পাহাড়ে একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি বা বাঙ্গালীরা যদি সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চিন্তা করে, তাহলে দিন শেষে কিন্তু রাষ্ট্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সোসাইটিকে ভালো রাখার দায়িত্ব আমদের সবার। গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জনান তিনি।
এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি, পৌর বিএনপি সভপতি শাহ জালাল কাজল, জামায়াতে ইসলামী সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক অফিসার ডা. মিলটন ত্রিপুরা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পার্বত্যাঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে পাহাড়ি-বাঙ্গালী কেউ শান্তিতে নাই। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, গুম, খুন, হত্যা ও চাঁদাবাজি রোধে এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে পার্বত্যাঞ্চল থেকে প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্প পুন:স্থাপনের দাবি জানান বক্তারা।
এসময় পদস্থ সেনা কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারিরী প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে খাগড়াছড়ির শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার(২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সম্মেলন কক্ষে এ প্রস্তুুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) ফেরদৌসী বেগম,পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, রিজিয়ন কমান্ডারের প্রতিনিধি জিটু আই মেজর মো: জাবির সোবহান মিয়াদসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস, সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রতিনিধি, জেলার সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন প্রকার গুজবে কান না দিয়ে উৎসব স্বয়ংসম্পূর্ন করাই লক্ষ্য। দেশটা আমাদের সকল সম্প্রদায়ের, তাই দেশ গঠনে সুন্দরের জন্য দায়িত্ব টাও আমাদের। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অ-প্রীতিকর ঘটনা যেনো না ঘটে প্রত্যেকে মিলে আনন্দের সাথে দুর্গাপূজার উৎসবটি সম্পন্ন করতে পারেন, সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
বক্তারা আরও বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উপলক্ষ্যে জেলার ৯টি উপজেলার ৬১টি দূর্গা পূজা মন্ডপসমূহের নিরাপত্তা ও আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে সবাই সহযোগিতা করবেন। হিন্দু সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ধেসঢ়;ন পালন করতে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন প্রশাসন।