নগর প্রতিবেদক: চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর জামালখান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সমাবেশে বিভিন্ন ধর্মীয় পুরোহিত এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। তারা সবার সম্মিলিতভাবে জানান যে, বাংলাদেশে সকলের সমান অধিকার থাকা উচিত। “১৯৭১ সালে দলমত নির্বিশেষে আমরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। এখানে সরকার যাবে, সরকার আসবে, কিন্তু আমাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত থাকতে হবে। ধর্মীয় দোহাই দিয়ে দমনপীড়নের মাধ্যমে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। আমরা সংখ্যালঘু হলেও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে সকলেই বাঙালি হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই।”
সমাবেশে নারীদের এবং শিশুদের উপস্থিতি ছিলো উল্লেখযোগ্য। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এত মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, সনাতনী সম্প্রদায় তাদের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বক্তারা বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যাব। আমাদের ওপর যে দমনপীড়ন চলছে, তার অবসান চাই।”

May be an image of 1 person and crowd

বৃষ্ঠি উপেক্ষা করে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই কর্মসূচিতে অনেকেই মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানান। তাঁদের অনেকের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমরা কেন স্বাধীন নই’, ‘আমার মন্দিরে হামলা কেন?’, ‘দেশ ছাড়তে হুমকি কেন? রাষ্ট্র জবাব চাই’, ‘মানবসেবা যাদের ধর্ম, তাদের ওপর হামলা কেন?’, ‘বাঁচতে হলে লড়তে হবে’, ‘আঘাত আসবে যেখানে, প্রতিরোধ হবে সেখানে’। কর্মসূচি চলাকালে চেরাগী পাহাড়মুখী সড়কে গাড়ি চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকে।

May be an image of 1 person and crowd

কর্মসূচিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুসহ জাতিগত সংখ্যালঘুদের মন্দিরে হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব ঘটনার বিচার করতে হবে। দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ না হলে বিচার না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

May be an image of one or more people and crowd

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দলটির নেতাদের ঘরবাড়ি, অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়, কোথাও কোথাও আগুন দেওয়া হয়। এসবের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ফেসবুকেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতি রাতেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা চট্টগ্রামের মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা পাহারা দিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।

প্রধান দাবিগুলো:-

সমাবেশে বক্তারা তাদের লিখিত বিবৃতিতে মূল দাবিগুলি তুলে ধরেন: ধর্মীয় আক্রমণ ও মন্দির ভাঙচুরের যথাযথ তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা। সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি রক্ষায় সরকারি উদ্যোগের বাস্তবায়ন করা।তারা জোর দিয়ে বলেন যে, প্রশাসনকে তাদের দাবির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সমাবেশ শেষে একটি মিছিলের মাধ্যমে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং তাদের দাবি পূরণের জন্য জোরালো আহ্বান জানান।

নগর প্রতিবেদক: চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর জামালখান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সমাবেশে বিভিন্ন ধর্মীয় পুরোহিত এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। তারা সবার সম্মিলিতভাবে জানান যে, বাংলাদেশে সকলের সমান অধিকার থাকা উচিত। “১৯৭১ সালে দলমত নির্বিশেষে আমরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। এখানে সরকার যাবে, সরকার আসবে, কিন্তু আমাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত থাকতে হবে। ধর্মীয় দোহাই দিয়ে দমনপীড়নের মাধ্যমে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। আমরা সংখ্যালঘু হলেও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে সকলেই বাঙালি হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই।”
সমাবেশে নারীদের এবং শিশুদের উপস্থিতি ছিলো উল্লেখযোগ্য। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এত মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, সনাতনী সম্প্রদায় তাদের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বক্তারা বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যাব। আমাদের ওপর যে দমনপীড়ন চলছে, তার অবসান চাই।”

May be an image of 1 person and crowd

বৃষ্ঠি উপেক্ষা করে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই কর্মসূচিতে অনেকেই মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানান। তাঁদের অনেকের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমরা কেন স্বাধীন নই’, ‘আমার মন্দিরে হামলা কেন?’, ‘দেশ ছাড়তে হুমকি কেন? রাষ্ট্র জবাব চাই’, ‘মানবসেবা যাদের ধর্ম, তাদের ওপর হামলা কেন?’, ‘বাঁচতে হলে লড়তে হবে’, ‘আঘাত আসবে যেখানে, প্রতিরোধ হবে সেখানে’। কর্মসূচি চলাকালে চেরাগী পাহাড়মুখী সড়কে গাড়ি চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকে।

May be an image of 1 person and crowd

কর্মসূচিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুসহ জাতিগত সংখ্যালঘুদের মন্দিরে হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব ঘটনার বিচার করতে হবে। দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ না হলে বিচার না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

May be an image of one or more people and crowd

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দলটির নেতাদের ঘরবাড়ি, অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়, কোথাও কোথাও আগুন দেওয়া হয়। এসবের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ফেসবুকেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতি রাতেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা চট্টগ্রামের মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা পাহারা দিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।

প্রধান দাবিগুলো:-

সমাবেশে বক্তারা তাদের লিখিত বিবৃতিতে মূল দাবিগুলি তুলে ধরেন: ধর্মীয় আক্রমণ ও মন্দির ভাঙচুরের যথাযথ তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা। সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি রক্ষায় সরকারি উদ্যোগের বাস্তবায়ন করা।তারা জোর দিয়ে বলেন যে, প্রশাসনকে তাদের দাবির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সমাবেশ শেষে একটি মিছিলের মাধ্যমে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং তাদের দাবি পূরণের জন্য জোরালো আহ্বান জানান।