ঢাকা ব্যুরো: বঙ্গ-ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের মালিকানা নিয়ে বিভিন্ন জটিলতা দূরীকরণে এবং সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে গতকাল বুধবার (০৪ সেপ্টম্বর) সকালে ঢাকা ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) মার্কেটের দু’জন অংশিদার এডভোকেট সৈয়দা শাহিন আরা লাইলী ও তার বোন সৈয়দা শিরিনা ইসলাম শিউলি সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গ-ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের মালিক ছিলেন আমার মা ও বাবা। আমরা ছয় জন ভাই বোন। বড় ভাই শামছুল ইসলাম লাবলুর ছেলে সজল। দীর্ঘদিন ধরে সজল ও তার বাবা আমার বাবা মারা যাওয়ার পর এককভাবে সম্পত্তি দখল করতে আসছিল। সজল ও তার বাবা মাদকাসক্ত হওয়ায় আমার মা সৈয়দা মমতাজ ইসলামকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করত। আমরা যখন ভাগ- বাটোয়ারার কথা বলতাম তখন আমাদের উপরও অত্যাচার নেমে আসত এবং বন্দুক নিয়ে আমাদেরকে মারতে উদ্যত হতো। আমরা ৫ ভাই বোনের যে সম্পদ পেয়েছি তার থেকে দুই ডবল সজলরা অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছে। কয়েকদিন পর পর এইভাবে ছাত্র এনে মার্কেটে অশান্তির সৃষ্টি করে।

তিনি আরো বলেন, এই সজল যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের সাথে অর্থ ও মাদকের বিনিময়ে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে। সজল একজন মাদক সেবী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে ক্রিসটাল আইস, ইয়াবা সহ অন্যান্য মাদকের ব্যবসা করে। সে যাত্রাবাড়ীতে মাদক ক্রিসটাল আইস সহ পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে জেল খেটেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সজলের সাথে আমাদের মার্কেটের দোকানের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সজলের বিরুদ্ধে মার্কেটের দোকানদার ইয়াছিনের কাছ থেকে ৮০হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় মাদক মামলা নং-০৮/০৫/৩/২০২২, শাহবাগ থানায় চাদাবাজীর মামলা নং-৩২, তাং-২২/১/২০২১ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য বরাবর তার বিরুদ্ধে একটি আবেদন দেওয়া হয়। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের সময় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক সৈকতের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। শয়ন ও সৈকতের মাধ্যমে অমর একুশে হল ছাত্রলীগ নেতা রাজ, মনন, সোহাগ আবীর, জুনায়েদ, জিহাদ ও দীপুকে দিয়ে চাঁদাবাজী সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল।

গত০৩ সেপ্টম্বরের ঘটনা সজল ইউসুলের ওয়াই-ফাই লাইন কিছু ছাত্র নিয়ে কেটে দেয়। ইউসুফ দু’জন লোক পাঠায় সজলকে এ ঘটনা জানানোর জন্য। কিন্তু সজল তার রুমে থাকা ছাত্রদের নিয়ে সেই দুই লোককে মেরে অজ্ঞান করে ফেলে। এবং তাদেরকে রুমে ঢুকাইয়া তালা মেরে রাখে। ইউসুফ জিজ্ঞাসা করতে গেলে তারা ইউসুফকে মারতে শুরু করে এমন সময় মার্কেটের লোকজন এসে ইউসুফ ও তার দু’কর্মচারীকে উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য যে, এখানে বার বার আমার বোন কাউন্সিলর চামেলীর কথা ও ওর স্বামীর কথা বলা হয়েছে। অথচ ঘটনাস্থলে আমার ছোটভাই স্বপন সহ কেউই উপস্থিত ছিলনা। বর্তমান সরকারের কাছে ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, এত মামলা থাকার পরেও কেন তারা সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছে না।

ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূইয়া।

ঢাকা ব্যুরো: বঙ্গ-ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের মালিকানা নিয়ে বিভিন্ন জটিলতা দূরীকরণে এবং সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে গতকাল বুধবার (০৪ সেপ্টম্বর) সকালে ঢাকা ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) মার্কেটের দু’জন অংশিদার এডভোকেট সৈয়দা শাহিন আরা লাইলী ও তার বোন সৈয়দা শিরিনা ইসলাম শিউলি সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গ-ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের মালিক ছিলেন আমার মা ও বাবা। আমরা ছয় জন ভাই বোন। বড় ভাই শামছুল ইসলাম লাবলুর ছেলে সজল। দীর্ঘদিন ধরে সজল ও তার বাবা আমার বাবা মারা যাওয়ার পর এককভাবে সম্পত্তি দখল করতে আসছিল। সজল ও তার বাবা মাদকাসক্ত হওয়ায় আমার মা সৈয়দা মমতাজ ইসলামকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করত। আমরা যখন ভাগ- বাটোয়ারার কথা বলতাম তখন আমাদের উপরও অত্যাচার নেমে আসত এবং বন্দুক নিয়ে আমাদেরকে মারতে উদ্যত হতো। আমরা ৫ ভাই বোনের যে সম্পদ পেয়েছি তার থেকে দুই ডবল সজলরা অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছে। কয়েকদিন পর পর এইভাবে ছাত্র এনে মার্কেটে অশান্তির সৃষ্টি করে।

তিনি আরো বলেন, এই সজল যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের সাথে অর্থ ও মাদকের বিনিময়ে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে। সজল একজন মাদক সেবী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে ক্রিসটাল আইস, ইয়াবা সহ অন্যান্য মাদকের ব্যবসা করে। সে যাত্রাবাড়ীতে মাদক ক্রিসটাল আইস সহ পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে জেল খেটেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সজলের সাথে আমাদের মার্কেটের দোকানের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সজলের বিরুদ্ধে মার্কেটের দোকানদার ইয়াছিনের কাছ থেকে ৮০হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় মাদক মামলা নং-০৮/০৫/৩/২০২২, শাহবাগ থানায় চাদাবাজীর মামলা নং-৩২, তাং-২২/১/২০২১ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য বরাবর তার বিরুদ্ধে একটি আবেদন দেওয়া হয়। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের সময় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক সৈকতের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। শয়ন ও সৈকতের মাধ্যমে অমর একুশে হল ছাত্রলীগ নেতা রাজ, মনন, সোহাগ আবীর, জুনায়েদ, জিহাদ ও দীপুকে দিয়ে চাঁদাবাজী সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল।

গত০৩ সেপ্টম্বরের ঘটনা সজল ইউসুলের ওয়াই-ফাই লাইন কিছু ছাত্র নিয়ে কেটে দেয়। ইউসুফ দু’জন লোক পাঠায় সজলকে এ ঘটনা জানানোর জন্য। কিন্তু সজল তার রুমে থাকা ছাত্রদের নিয়ে সেই দুই লোককে মেরে অজ্ঞান করে ফেলে। এবং তাদেরকে রুমে ঢুকাইয়া তালা মেরে রাখে। ইউসুফ জিজ্ঞাসা করতে গেলে তারা ইউসুফকে মারতে শুরু করে এমন সময় মার্কেটের লোকজন এসে ইউসুফ ও তার দু’কর্মচারীকে উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য যে, এখানে বার বার আমার বোন কাউন্সিলর চামেলীর কথা ও ওর স্বামীর কথা বলা হয়েছে। অথচ ঘটনাস্থলে আমার ছোটভাই স্বপন সহ কেউই উপস্থিত ছিলনা। বর্তমান সরকারের কাছে ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, এত মামলা থাকার পরেও কেন তারা সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছে না।

ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূইয়া।