লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়েনের রাকসা গ্রামে পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি লুটপাট সহ স্ত্রীকে শ্রীলতাহানির অভিযোগে স্বামী বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২ টায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ পারভেজ হোসেন।
তিনি জানান, গত ০৭ আগষ্ট সকাল অনুমান ১১টার আমি রাকসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান করা কালে একই ইউনিয়নের মোঃ আশাদুল ইসলাম (৩৪), মোঃ স্বপন আলী (৩৬), মোঃ সবুজ হোসেন (২৭),মোঃ রাকিব হোসেন (৩৫), মোঃ তোহা হোসেন (২৮), মোঃ মাসুম হোসেন (২৮) আমার নিকট চাঁদা হিসাবে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হ’লে একই তারিখ সন্ধ্যায় আসিবে বলিয়া চলে যায়। হঠাৎ রাত অনুমান সাড়ে ১২ টার বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া হাতে পিস্তল, রামদা ও বাঁশের লাঠি নিয়া আমার বসতবাড়ীতে এসে আমার নিকট হইতে ১ লাখ টাকা চাঁদা হিসাবে দাবী করে। আমি বিবাদীদের উক্ত টাকা প্রদানে অস্বীকার করিলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। তখন আমার স্ত্রী মোছাঃ শাহনাজ বেগম (২৬) আগাইয়া আসিয়া তাকেও গালিগালাজ করিতে থাকে । নিষেধ করিলে তাহাদের নিকট থাকা বাশের লাঠি দিয়া এলোপাথারীভাবে মারপিট করিয়া আমার সমস্ত শরীরে জখম করে। তখন আমর স্ত্রী বিবাদীদের বাধা দিতে গেলে বিবাদীগণ আমার স্ত্রীর পরণে থাকা সালোয়ার টানা-হেচড়া করিয়া আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী করে। মারপিট করা কালে ১নং বিবাদী আমার ঘরে থাকা সুজুকি জিকছার ১৫৫ সিসি মোটর সাইকেল, ঘরের আলমারীর ড্রয়ারে রাখা নগদ ১৬ হাজার টাকা, একটি রুপার ব্যাচলেট, স্ত্রীর গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন জোর পূর্বক নিয়া নেয়। তখন আমার ও আমার স্ত্রীর চিৎকারে আসে পাশের পড়শীরা আস্তে থাকলে তারা চলে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ভয়ভীতি ও এই ঘটনার কথা কেউ যেনো জানতে না পারে বলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন।
আমি পরদিন থানায় অভিযোগ দিলে ঘটনার দশ দিন পর আমাকে লালপুর থানার এসআই আব্দুল আলীম আমার বাইক উদ্ধার করলেও আজ আঠারো দিন অতিবাহিত হবার পরও আমাকে বাইকটি ফেরত দেয়নি এবং রহস্যজনককারণে এখনো পর্যন্ত থানায় মামলাটি রেকর্ড করেনি।