দি ক্রাইম ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাংগঠনিক উস্কানিমূলক নির্দেশনা দেওয়ার পর চট্টগ্রামে গত ১৬ জুলাই জিইসি মোড় থেকে মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ চলাকালীন সময় বেশ কয়েকজনকে দেখা যায় অবৈধ ধারালো ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে ছাত্রজনতার উপর হামলা করার চিত্র। সেই দিনের সংঘটিত সংঘর্ষে নিহত ৩ জনের মধ্যে ২জনই মারা গেছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর হামলাকারী অস্ত্রধারী ক্যাডারদের মধ্যে ছিলেন খুলশী থানা যুবলীগের সংগঠক কাজী মোহাম্মদ কায়সার উদ্দিন,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রাজেশ বড়ুয়া ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৌমেন বড়ুয়াসহ আরো অনেকেই।
জানা যায়, উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা নগর যুবলীগের সহ- সভাপতি,ওমর গনি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও চসিক কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে আরও জানা যায়,৪আগষ্ট কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে নগরের নিউ মার্কেট মোড়ে অবস্থান নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালাই এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ বলছে,অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের,মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,মহিউদ্দিন বাচ্চু,আ জ ম নাছির উদ্দীন,আরশাদুল আলম বাচ্চু,নরুল আজম রনি সহ চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগরীর বেশ কিছু আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে গনহত্যা ও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ খুন গুম এবং গনহত্যার উস্কানিদাতা হিসেবে নগরীর বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দীন বলেন, সিএমপি’র বিভিন্ন থানায় মামলা হচ্ছে। ছাত্র জনতার উপর গনহত্যা ও গনহত্যার উস্কানিদাতার বিরুদ্ধে কোন ভুক্তভোগী মামলা দায়ের করতে চাইলে দেশের চলমান আইনী প্রক্রিয়ায় তাদের মামলা আমলে নেয়া হচ্ছে এবং গ্রেফতারের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে।