ঢাকা ব্যুরো: নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল, ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বাতিল, অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাষ্ট পুনর্গঠন, অবসর বয়স ৬৫ বছর করা সহ চাকুরী জাতীয়করণের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের এক প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন।
প্রধান অতিথি বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল, ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বাতিল, অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাষ্ট পুনর্গঠন, অবসর বয়স ৬৫ বছর করা সহ চাকুরী জাতীয়করণ স্বল্প সময়ের মধ্যে হবে ইনশাআল্লাহ।
অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, নতুন কারিকুলাম ঘোষিত হওয়ার পর শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নতুন কারিকুলাম বাতিলের জন্য গত কয়েক বছর যাবৎ বুদ্ধি বৃত্তিক আন্দোলন চালিয়ে আসছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট এই আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছে এবং আন্দোলনকারীদের বিভিন্নভাবে সহাযোগিতা করেছে। সংগঠনটি আন্দোলনে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। পরবর্তীতে স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার পতনের জন্য ১ দফা দাবি নিয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সাথে রাজ পথে শরীক হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান দেশ স্বৈরচারমুক্ত। অন্তর্বতী সরকার গঠিত হয়েছে। সরকারের নিকট আমাদের দাবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ববর্তী সরকারের আমলের গঠিত হওয়ার সকল ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বাতিল করতে হবে। যে সমস্ত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহ প্রধান এবং কর্মচারিদের যে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে (এমপিও এর জন আবেদন) এইগুলো বাতিল করতে হবে। পূর্ববর্তী সরকারের আমলের সমস্ত নিয়োগ নীতি মালা বাতিল করতে হবে। আপাততঃ সমস্ত নিয়োগ স্থগিত রাখতে হবে। ১ জুলাই থেকে চাকুরির অবসর বয়স সীমা ৬৫ বছর করতে হবে। একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে যে সমস্ত শিক্ষক-কর্মচারী চাকুরিচ্যুত হয়েছেন তাদের পুনর্বহাল করে যাবতীয় বকেয়া বেতন সহ বেতন-ভাতাদি চালু করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সংগঠনের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন বলেন,এই মুহুর্তে প্রজ্ঞাপন জারি করে ফ্যাসিষ্ট সরকারের দেশ ধ্বংসের কারিকুলাম বাতিল করতে হবে এবং পাঠ্য পুস্তক সংশোধন করে সৃজনশীল পদ্ধতি প্রনয়ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, এম. এ. ছফা চৌধুরী, সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান মওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক কাজী মো. মাইন উদ্দীন, অধ্যাপক এ.কে.এম. আব্দুল আউয়াল, অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, মো. আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মোসাররফ হোসেন লিটন, অধ্যাপক এ. এস. এম. বাবুল, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক এস. এম. বায়েজিত, কারিগরি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুন উর রশিদ গাজী, ঢাকা মহানগর শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক আব্দুল হাকিম ও অধ্যাপক আ. ক. ম. রাকিব উদ্দীন খাঁন, শিক্ষাবার্তার সম্পাদক জনাব এ. এইচ. এম. সায়েদুজ্জামান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।