রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিদায় হজ ও গাদীরে খুম দিবস উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুন) রাজশাহীর নগর ভবনের পশ্চিমে গ্রেটার রোডে অবস্থিত শাহ ডাইন কমিউনিটি সেন্টারে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভি।

ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের রাজশাহী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ওই সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিদায় হজে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত জনসমুদ্রের উদ্দেশে রাসুল (সা.) এক যুগান্তকারী ভাষণ দেন। এ ভাষণে বিশ্বমানবতার সবকিছুর দিক নির্দেশনা ছিল। মুসলমানরা যাতে তাদের দীন থেকে বিচ্যুত না হয়, সেজন্য ছিল বিশেষ দিক নির্দেশনা। মহানবী (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণে বলেন, তোমরা যতদিন পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বায়েতকে অনুসরণ করবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না।

গাদীরে খুম দিবস প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, এদিন মহানবী (সা.) আলী (রা.) কে খিলাফতে অধিষ্ঠিত করেন। বিদায় হজের কয়েক দিন পর মহানবী (সা.) মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত আলী (রা.) নিজের খলিফা বা প্রতিনিধি বলে ঘোষণা করেছিলেন। দিনটি ছিল দশম হিজরির ১৮ জিলহজ। বিদায় হজের পর রাসুল (সা.) মদিনায় ফেরার পথে গাদীরে খুম নামক স্থানে আল্লাহর নির্দেশে এক অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হযরত আলী (রা.) কে মুমিনদের নেতা হিসেবে মনোনীত করেন। ওই ঐতিহাসিক ঘটনার ৮০ কিংবা ৮৪ দিন পর রাসুল (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। বিদায় হজ শেষ হওয়ার পর তিনি মদিনা অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন ইহরাম পরা অবস্থায়। সঙ্গে ছিল সোয়া লাখ সাহাবি। পথে ১৮ জিলহজ মদিনার নিকটবর্তী গাদীরে খুম নামক স্থানে উপস্থিত হলে পবিত্র কুরআনের শেষ আয়াতের আগের আয়াত তথা সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজিল হয়।

ওই আয়াতে মহান আল্লাহ তা’য়ালা এরশাদ করেছেন, ‘হে রসুল (সা.), পৌঁছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তার পয়গাম কিছুই পৌঁছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ দেখান না।’ আল্লাহর পক্ষ থেকে এই নির্দেশ নাজিলের পর রাসুল (সা.) গাদীরে খুম নামক স্থানে আল্লাহর ওই ঘোষণাটি উম্মতকে জানিয়ে দেন অভিষেক উৎসবের আয়োজন করে। যখন রাসুল (সা.) গাদীরে খুম নামক এলাকায় এসে থামলেন, তখন তিনি সবাইকে একত্রিত করলেন এবং আলী (রা.) এর হাত ধরে উপরে তুলে জনতার উদ্দেশে বললেন, তোমরা কি জান, আমি মুমিনদের নিজেদের প্রাণের চেয়েও বেশি প্রিয়? লোকেরা বললেন, হ্যাঁ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ, আমি যার প্রিয় এই আলীও তার প্রিয়। হে আল্লাহ যে তাকে বন্ধু বানায় তুমিও তাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো, আর যে তার সঙ্গে শত্রুতা করে তুমিও তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো।

এদিন সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ রাসুলে-আকরাম ইসলামিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা বিভাগের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মাদ আলী মোর্তজা। ইমামিয়া ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মন্ডলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ওসমান গনী, বগুড়ার আল মাহদী শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক হুজ্জাতুল ইসলাম মো. মোজাফফর হুসাইন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পবিত্র কুরআন ও আহলে বাইত শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক হুজ্জাতুল ইসলাম ড. আবদুল্লাহ প্রমুখ।

অন্যদের মধ্যে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সুগার মিলস লিমিটেডের কৃষি বিভাগের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর সিদ্দিকুর রহমান, রাজশাহী কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আ জ ম মনিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডের প্রাক্তন কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ সুফি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক, রাজশাহীর আলিয়া মাদরাসা ও আল মোস্তফা ইউনিভার্সিটির ফারসি ভাষা বিভাগের শিক্ষক ড. আব্দুল হান্নান ইমামি এবং রাজশাহীর মোহাম্মাদ আমীন ফারসি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক শেখ আলী আকবর প্রমুখ। এছাড়া সেমিনারে কুইজ অনুষ্ঠানের পরিচালনা করেন রাজশাহীর মোহাম্মাদ আমীন ফারসি শিক্ষাকেন্দ্রের সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধান মোহাম্মাদ মাজিদুল ইসলাম।

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিদায় হজ ও গাদীরে খুম দিবস উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুন) রাজশাহীর নগর ভবনের পশ্চিমে গ্রেটার রোডে অবস্থিত শাহ ডাইন কমিউনিটি সেন্টারে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভি।

ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের রাজশাহী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ওই সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিদায় হজে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত জনসমুদ্রের উদ্দেশে রাসুল (সা.) এক যুগান্তকারী ভাষণ দেন। এ ভাষণে বিশ্বমানবতার সবকিছুর দিক নির্দেশনা ছিল। মুসলমানরা যাতে তাদের দীন থেকে বিচ্যুত না হয়, সেজন্য ছিল বিশেষ দিক নির্দেশনা। মহানবী (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণে বলেন, তোমরা যতদিন পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বায়েতকে অনুসরণ করবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না।

গাদীরে খুম দিবস প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, এদিন মহানবী (সা.) আলী (রা.) কে খিলাফতে অধিষ্ঠিত করেন। বিদায় হজের কয়েক দিন পর মহানবী (সা.) মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত আলী (রা.) নিজের খলিফা বা প্রতিনিধি বলে ঘোষণা করেছিলেন। দিনটি ছিল দশম হিজরির ১৮ জিলহজ। বিদায় হজের পর রাসুল (সা.) মদিনায় ফেরার পথে গাদীরে খুম নামক স্থানে আল্লাহর নির্দেশে এক অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হযরত আলী (রা.) কে মুমিনদের নেতা হিসেবে মনোনীত করেন। ওই ঐতিহাসিক ঘটনার ৮০ কিংবা ৮৪ দিন পর রাসুল (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। বিদায় হজ শেষ হওয়ার পর তিনি মদিনা অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন ইহরাম পরা অবস্থায়। সঙ্গে ছিল সোয়া লাখ সাহাবি। পথে ১৮ জিলহজ মদিনার নিকটবর্তী গাদীরে খুম নামক স্থানে উপস্থিত হলে পবিত্র কুরআনের শেষ আয়াতের আগের আয়াত তথা সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজিল হয়।

ওই আয়াতে মহান আল্লাহ তা’য়ালা এরশাদ করেছেন, ‘হে রসুল (সা.), পৌঁছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তার পয়গাম কিছুই পৌঁছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ দেখান না।’ আল্লাহর পক্ষ থেকে এই নির্দেশ নাজিলের পর রাসুল (সা.) গাদীরে খুম নামক স্থানে আল্লাহর ওই ঘোষণাটি উম্মতকে জানিয়ে দেন অভিষেক উৎসবের আয়োজন করে। যখন রাসুল (সা.) গাদীরে খুম নামক এলাকায় এসে থামলেন, তখন তিনি সবাইকে একত্রিত করলেন এবং আলী (রা.) এর হাত ধরে উপরে তুলে জনতার উদ্দেশে বললেন, তোমরা কি জান, আমি মুমিনদের নিজেদের প্রাণের চেয়েও বেশি প্রিয়? লোকেরা বললেন, হ্যাঁ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ, আমি যার প্রিয় এই আলীও তার প্রিয়। হে আল্লাহ যে তাকে বন্ধু বানায় তুমিও তাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো, আর যে তার সঙ্গে শত্রুতা করে তুমিও তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো।

এদিন সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ রাসুলে-আকরাম ইসলামিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা বিভাগের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মাদ আলী মোর্তজা। ইমামিয়া ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মন্ডলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ওসমান গনী, বগুড়ার আল মাহদী শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক হুজ্জাতুল ইসলাম মো. মোজাফফর হুসাইন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পবিত্র কুরআন ও আহলে বাইত শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক হুজ্জাতুল ইসলাম ড. আবদুল্লাহ প্রমুখ।

অন্যদের মধ্যে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সুগার মিলস লিমিটেডের কৃষি বিভাগের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর সিদ্দিকুর রহমান, রাজশাহী কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আ জ ম মনিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডের প্রাক্তন কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ সুফি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক, রাজশাহীর আলিয়া মাদরাসা ও আল মোস্তফা ইউনিভার্সিটির ফারসি ভাষা বিভাগের শিক্ষক ড. আব্দুল হান্নান ইমামি এবং রাজশাহীর মোহাম্মাদ আমীন ফারসি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক শেখ আলী আকবর প্রমুখ। এছাড়া সেমিনারে কুইজ অনুষ্ঠানের পরিচালনা করেন রাজশাহীর মোহাম্মাদ আমীন ফারসি শিক্ষাকেন্দ্রের সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধান মোহাম্মাদ মাজিদুল ইসলাম।