খন রঞ্জন রায়: পৃথিবীর অস্তিত্ব, স্বাভাবিকতা ও জীবনের ছত্রে ছত্রে অনুকূল উপাদান বজায় রাখার অনিবার্য নিয়ামক শক্তি ‘পরিবেশ’। সজীব এবং নির্জীব সাথে কৌতূহলোদ্দীপক সকল উপাদানগুলি টিকে থাকা, উন্নতি করা এবং বিবর্তনের উপর বিবেকী প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন সবকিছুই পরিবেশের অন্তভূর্ক্ত।
ভূত্বক, বারিমণ্ডল, বায়ুমণ্ডল এবং জীবমণ্ডল নিয়ে গবেষণা কুশলতার অনুসন্ধান এবং উদ্ঘাটন আমাদের জীবনচক্রের প্রেরণা ও পাথেয়। অশেষ জ্ঞানানুরাগ পরিবেশকে প্রধানত দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং মানুষের তৈরি পরিবেশ। প্রকৃতি নিজে নিজে জোরকদমে হেঁটে বিচিত্র চরিত্রের সমাবেশ ঘটিয়ে চলতে থাকা প্রাকৃতিক পরিবেশ।
পাহাড়-পর্বত, ঝর্ণা-নদী, গাছগাছালির সংঘবদ্ব-সামষ্ঠিক সৃষ্টিই প্রকৃতি। বুক চিতিয়ে চলতে থাকা এইসব মানুষ সৃষ্টি করতে পারে না। এরা মানুষের নির্মম অত্যাচার সহ্য করে। মার খায়। কখনো হেরে যায়। কিন্তু মারা যায়নি। কোনমতে দিন গুজরান করে টিকে থাকে। কখনো কখনো দাপুটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। প্রকৃতি কর্তৃক মানুষের আগ্রাসন বিরোধী প্রতিবাদে বসবাসের ধরণী অনেক সময় কেঁপে ওঠে। তবু মানুষ এই প্রকৃতিকে ঠেলতে ঠেলতে তাদের অস্তিত্বের কিনারায় পৌঁছে দেয়। মানুষ তার জীবনধারণের বিশ্বাসের ভীতে দাঁড়িয়ে দৈনন্দিন জীবনের সংগীত গায়। তাদের নৃশংস অত্যাচারে রকমারি জোরজুলুমে, নানান কায়দাকানুনে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে।
দালান-কোঠা, নগরায়ণ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বন্দর, ইত্যাদি মনুষ্য তৈরি পরিবেশের সাদা হাতির কালো মাহুত হয়ে ওঠে। পরিবেশ দূষণে প্রাকৃতিক কিছু ঘটনা থাকলেও মানবসৃষ্ট কারণই প্রধানত দায়ী। চাষের জন্য মাঠ, বনের কাঠ, সবুজ পাহাড়, নরম নদী, খাল-বিল, জলাশয়, ডোবা অযাচিত দখল করে, লুটপাট করে শিল্প-সভ্যতা গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রাকৃতিক এই পরিবেশের উৎখাতের কাহিনি হরহামেশায় পত্র-পত্রিকায় ডাউস খবর হয়। ইন্দন জোগানো কিছু ব্যক্তিবর্গের কৃতকর্মের শাগরেদ আমরা সকলেই হই। তাড়িয়ে উপভোগ করি। তিলতিল করে ধ্বংস করা প্রকৃতি আপাত মামুলি ভাবলেও পরিবেশের সূক্ষ্ণ প্রতিরোধ আমাদের চোখে পড়ে না, কানে ঢোকে না। কোন এক সময় এই প্রকৃতি আমাদের প্রমোদগীতি কৃতকর্মের বিরুদ্ধে আক্ষরিক অর্থেই প্রতিবাদের দানা বাঁধে।
জান কবুল করা এই প্রকৃতি মানুষের প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে কখনো সুচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোনোর পথ খুঁজে। পরিবেশের স্নায়ুমুখী লড়াই কখনো আমাদের পাকাধানে মই দিয়ে শোধ তুলে। মানুষের খাদ্যশৃংখলার সাওয়াল করা তথ্যে দেখা যায় পরিবেশ দূষণের জন্য বিশেষভাবে দায়ী ১২টি মারাত্মক রাসায়নিক দ্রব্য। তীব্র উচ্চারণে এদেরকে ডার্টি ডজন বা নোংরা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। নিপুন নড়াচড়া করা এই ১২টি উপাদানের মধ্যে ৮টিই কীটনাশক অলড্রিন, ২টি শিল্পজাত রাসায়নিক দ্রব্য বাকী ২টি কারখানায় উৎপন্ন অনাকাক্সিক্ষত রাসায়নিক উপজাত।
বিষাক্ত এই রাসায়নিক পদার্থগুলি পরিবেশের সাথে আলগোছে ঢুকে যায়। পৃথিবীব্যাপী সব পরিবেশের সব ধরনের জীবজন্তুর খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে। কোন বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যই একে অপরকে ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া একক স্বার্থসিদ্ধি করতে পারে না। প্রাকৃতিক পরিবেশের মূল সংকটের প্রেক্ষাপট ঘনিয়ে ওঠে ওখান থেকেই। ক্রমগুরুত্ববান এইসব বিষক্রিয়ার অনন্য সংযোজন সমাজসভ্যতার নিদারুন অবক্ষয়।
জীবনবাদী জ্ঞানে শিক্ষা নিয়ে গবেষণা ছকের বৃত্ত ভেঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির নব নব চূড়া স্পর্শ করে। দৈশিক ও বৈশ্বিক ধাত্রী ও ধরিত্রীর নাভিশ্বাসের মূল কারণ হয় এইসব বিষ প্রয়োগ। সাম্প্রতিক নিদর্শনে দেখা যায় বনভূমি উজাড়ের হার দ্বিগুণগতি সম্পন্ন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দারিদ্র, খাদ্যাভাব পরিত্রাণের আশায় বনভূমি উজাড় করা হয় ব্যাপকভাবে। অনেক সময় উজাড়ি বনে রাবার, সয়াবিন, পাম অয়েলের বাগান করে বিশ্বমানবের দুর্ভাগ্য আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
আমাদের প্রকৃতির মিশ্র বৃষ্টিপাতের জঙ্গল, বৃষ্টিপাতের জঙ্গল এবং নিরক্ষীয় জঙ্গল সব ভূতত্ত্বকেই দুঃস্বপ্নের অতীত সৃষ্টি করা হচ্ছে লীলায়-অবলীলায়। মূল কলকাঠি নাড়ানো খ্যাতকীর্তির কিছু ব্যক্তিবর্গ গর্বিত ও আনন্দিত হলেও নিজেদের অজান্তে যে বিশ্বব্যাপী প্রশ্বাসের বায়ু দূষিত হচ্ছে তার খেয়াল ইচ্ছা করেই রাখে না। মানবতার দীক্ষা তাদের মনোভাবের বাইরে। বৈষ্ণব কবির কালোজয়ী বাণী “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” তাদের মর্মমূলে পৌঁছে না। তাদের এই নীতিবিগর্হিত বিলাসী কর্মের শিকার হয়ে
মানব সমাজে ত্রুটিপূর্ণ শিশুর জন্ম, ভ্রুণ বিকাশের নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হওয়া, আর শরীর-স্বাস্থ্যে মারাত্মক রোগ-ব্যাধির মূলদায়ী হওয়াতো গবেষণালব্ধ প্রতিষ্ঠিত সত্য। বাঁকিয়ে চুরিয়ে বলা হলেও মানবস্বাস্থ্য পরিপূর্ণভাবে পরিবেশগত স্বাস্থ্যের উপর নির্ভরশীল। মানুষের জীবনধারণের অন্ধের যষ্টি প্রাকৃতিক পরিবেশ। অথচ কতভাবেই না মানুষ পরিবেশের উপর খবরদারি কায়েম করে জীবনজীবিকার হিল্লোলে বিরোধভাস সৃষ্টি করছে।
পরিবেশ-প্রতিবেশ নষ্ট হওয়ার সুক্ষ্ণ হাতিয়ার অদৃশ্য কিছু কর্মকাণ্ড। এর বাইরে জমিদার, জোতদার, মরদদের দ্বারা সহ্য-সীমানার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত আগ্রাসী কিছু কাজকাম প্রতিবেশকে ভেঙ্গে চুরমার করছে। শিল্প বর্জের কারণে দেশের নদ-নদী, জলাশয়, ফসলের জমি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণ নদী জলাদারকে সংকোচিত করছে। ব্রীজ-কালভার্ট-জলাশয় খেকোদের সুবিধাভোগের মোহর ছাপ মেরে দেয়। পরিকল্পনাহীন বাঁধ নির্মাণের খেলায় নামিয়ে দিয়ে নিয়ন্ত্রণকারীরাও তুরীর মেজাজে কলের পতুল হয়।
পরিকল্পনাহীন অযাতিত কর্মে-পরিবেশ অবক্ষয়ের কারণে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে। মুখোশ পরানো এইসব মানবিক, মূল্যবোধহীন, নির্বিক সিদ্ধান্ত প্রতিবেশ ক্ষতি সাধনের একগুচ্ছ প্রতিচিত্র। ঘরবাড়ি-গাছপালা, মাটি, বায়ু, সূর্যের আলো, জীবজন্তু, বন্ধুবান্ধব, নদীনালা, পশুপাখিসহ মানুষের জীবনাচারের পার্শ্ববর্তী-নিকটবর্তী সবকিছ্ইু প্রতিবেশের অংশবিশেষ। আমাদের দেহের মাতাল ছন্দকে বোধের এক পার্থিব মাত্রায় প্রবাহমান রাখে মাটি, পানি ও বায়ু।
মানুষের জীবন সবসময় চেনা ছকে বাঁধা থাকতে পারে না। আদিবাসী, মূলবাসী, বনবাসী, উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, অরণ্যচারী, জনজাতি অপরাপর প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যে নামেই ডাকা হোক না কেন সবার জীবনযাত্রার তুরুপের তাস প্রকৃতি। মানবদেহের খোদায় করা চোখ, ঘনকালো কোঁকড়া চুল, মেদহীন ঝড়ঝড়ে শরীর কিংবা রুক্ষ মেজাজ রোমাঞ্চে মারকাটারি মেজাজের ঝাঁজ সবকিছুর বীজমন্ত্র প্রাকৃতিক পরিবেশ। জীবনের ক্ষমতায়নের হাতিয়ার নিবিড় উষ্ণতায় মুড়ে জড়িয়ে আছে পারিপার্শ্বিক অনুসঙ্গ। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণির বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন খাদ্য, পানি, বাতাস ইত্যাদি।
অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য সতেজ বাতাস, পরিষ্কার পানি এবং নির্মল প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ হিসাবে কলকাঠি-চাবিকাঠি নাড়ায়। ইতিহাসের যুক্তিসিদ্ধ দৃঢ় উদ্যোগে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার ফলশ্রুতি- পরিবেশ দূষণ। নিরন্তর কর্মপ্রয়াসে প্রযুক্তির আমোচ্য টানে পরিবেশগত বিষয়ে মানবসভ্যতার সমগ্র অর্জন এখন হুমকির সম্মুখীন। শিল্পায়নের অনন্য আখ্যান মহীরুহপ্রতিম নগরায়ণ। অবিবেকী বৃক্ষ নিধনসহ নানা কারণে পরিবেশ দূষণের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। এতে প্রাণি ও উদ্ভিদজগতের শিকড়ের টানে গভীরভাবে ক্ষতিকর প্রভাব পরছে। বিলাসী এই শিকারে বায়ু, পানি, শব্দ, গ্যাস, ওজোনস্তর. আর্সেনিক, গ্রিনহাউস ইফেক্ট ইত্যাদির বিরূপ প্রভাবে প্রকৃতি রুদ্ররূপ ধারণ করছে।
উদাসীন মানুষেরা নিষ্ঠুরভাবে পরিবেশকে বিনাশ করছে। তাদের কৃতকর্মের ফলে পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, ভূমিকম্প, খরা, মরুকরণ-নদীভাঙ্গণ ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুুর্যোগ দিন দিন অনন্য রেকর্ডের অধিকারী হচ্ছে। মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত নির্দোষ এই পরিবেশকে সংরক্ষণ ও রক্ষায় বিশ্বব্যাপী দৃষ্টান্তস্থানীয় আইনকানুন-বিধিবিধান প্রণয়ন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশেও জাতীয় পরিবেশনীতি ২০১৮ প্রণয়ন করে পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণকল্পে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ, মানোনয়ন, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ, নিরাপত্তা বিধান করাকে রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে একটি অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করা হয়েছে। মানবজীবন, প্রাণিজগৎ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ন্যায় ভাবনার দীপশিখা হিসাবে বিশ্বের অনেক দেশ স্মৃতিতাড়িত হয়।
১৯৬৮ সালে সুইডেন সরকার জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে পরিবেশ বিষয়ে আইন, প্রজ্ঞা ও স্বাধীন চিন্তা করার জন্য একটি চিঠি পাঠায়। প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে লেখা এই চিঠিকে কঠোর ব্রত হিসাবে গ্রহণ করে জাতিসংঘ। আলোচ্যসূচিতে অন্তভূর্ক্ত করে খুঁজতে শুরু করে সমাধানের উপায়। নিরপেক্ষ বিচারবুদ্ধি নিয়ে সদস্যরাষ্ট্রগুলির সম্মতিতে ১৯৭২ সালে সুইডেনের স্টকহোমে জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন আয়োজন করে।
পরিসরের দিক থেকে দশ দিনব্যাপী এই সম্মেলন, পরিবেশ বিষয়ে ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের স্বীকৃতি লাভ করে।
নীতি-আদর্শ-মেধা ও প্রজ্ঞার স্থায়ী ছাপ ফেলা এই সম্মেলনকে ন্যায়ানুগ ভিত্তি ভেবে ১৯৭৪ সালের পরবর্তী সম্মেলনে জাতিসংঘ ৫ জুনকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ঘোষণা করে। বাসযোগ্য পৃথিবীর আবেদন অনিবার্য রেখে পরিবেশগত দৃঢ় অবস্থান স্পষ্ট করে ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।
১৯৭৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত এই ৪৭ বছরে অন্তত ১০ বার ঝিম ধরানো সুর নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে পরিবেশের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে মাইলফলক ছুয়েছে। বাদবাকি বছরগুলি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, কানাডা, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আলজেরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ইতালি, লেবানন, ব্রাজিল তুরস্কসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ পরিবেশ সংক্রান্ত দরবারি বয়ান চালিয়েছে।
রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনা সৃষ্টির বাজনদার হিসাবে এই দিবস পরিবেশ দূষণের অভিসন্ধির বিরুদ্ধে মানসিক দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যাক, নির্দিষ্ট দেশের সম্মুখীন পরিবেশগত আলাদা আলাদা সমস্যার নিরুপণ করে বিরল প্রতিরোধে এগিয়ে আসুক, সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তাব্যক্তিরা নড়েচড়ে বসুক, বাসঅযোগ্য বিপর্যয় চুকাতে সংশোধনমূলক সচেতনার দুর্লভ চিত্রমালা জনসম্মুখে প্রকাশ হোক, মনুষ্য সৃষ্ট পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে প্রবল আত্মসম্মানজ্ঞানসম্পন্ন বিবেকবোধ জাগ্রত হোক, আইনকানুন-নীতি-আদর্শ বাস্তবে প্রতিফলনের প্রতিশ্রুতির হাত প্রসারিত হোক, সামাজিক প্রজ্ঞায় জুড়ে পরিবেশ রক্ষার নজরদারি বাড়ুক, সমাজসম্পৃক্তি ঘটুক- এই দৃশ্য ও সংলাপ যেন প্রতিদিন লক্ষ্য করি এমন নেশায় বুঁদ হচ্ছি।