নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার (০৪ জুন) মোদীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে দেশের উন্নতি, অর্থনীতি এবং বিকাশের কথা। সেই সঙ্গে তাঁর সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথাও। সেই সব প্রকল্প থেকে কত মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, তাঁর পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষনে ‘জয় শ্রীরাম’ নেই। তাঁর বক্তৃতায় ‘মোদী সরকার’ নেই। তাঁর বক্তৃতায় ‘গ্যারান্টি’ নেই। তাঁর বক্তৃতায় ‘বিজেপি’ও নেই। তা হলে আছে কী?

ভোটে জিতে উঠে ‘জয় জগন্নাথ’ দিয়ে মঙ্গলবার বক্তৃতা শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদী। দেশে তৃতীয় বার এনডিএ কেন্দ্রে সরকার গড়ার জাদুসংখ্যা পেরিয়ে যাওয়ার পর মোদীর ৩৪ মিনিটের বক্তৃতায় এক বারও ‘জয় শ্রীরাম’বলেনি। বিজেপি নয়, জোর দিলেন এনডিএ নামক জোটের উপর। তাঁর ভাষণে বার বার শোনা গেল এনডিএ-র কথা। সঙ্গে বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ধন্যবাদ।

এ বারের ভোট প্রচারে বার বার মোদীর মুখে ‘৪০০ পার’ স্লোগান শোনা গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মোদী তথা বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছিলেন, বিজেপি একাই ৩৭০ পেরিয়ে যাবে। এক ধাপ এগিয়ে মোদী সেই দাবি করেছিলেন একেবারে লোকসভার ভিতরে! সেই লোকসভাতেই মোদীকে যেতে হবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে! কারণ, মঙ্গলবার রাতে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মোদীর বিজেপি আটকে গিয়েছে ২৪০ আসনের গন্ডিতে। আর তাঁর দলের নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৩০০ আসনের গণ্ডিও পার করতে পারেনি। অর্থাৎ, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে পারছে না বিজেপি। তাদের যেতে হচ্ছে কোয়ালিশন সরকারে।

অনেকের মতে, সেই কারণেই মঙ্গলবারের বক্ত়ৃতায় বিজেপির থেকে এনডিএ-এর উপর বেশি জোর দিয়েছেন মোদী।

মোদীর বক্তৃতায় এসেছে দেশের উন্নতি, অর্থনীতি এবং বিকাশের কথা। সেই সঙ্গে তাঁর সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথাও। সেই সব প্রকল্প থেকে কত মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, তার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি।

মোদী বলেন,‘‘তৃতীয় বার এনডিএ-র সরকার গঠন নিশ্চিত। মানুষ পূর্ণ বিশ্বাস রেখেছে বিজেপি এবং এনডিএ-র উপর।’’ এনডিএ-র জয়কে ‘গণতন্ত্রে’র জয় বলে উল্লেখ করেছেন মোদী।

মোদীর কথায়, ‘‘১৯৬২ সালের পর এই প্রথম কোনও জোট টানা তিন বার সরকার গড়তে চলেছে। তৃতীয় বার এনডিএ যে আশীর্বাদ পেয়েছে, তার সামনে আমি মাথা নত করছি। এনডিএ সরকার একের পর এক প্রকল্প চালু করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমরা ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র থেকে বাইরে নিয়ে এসেছি। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দারিদ্র দেশে অতীত হয়ে যাচ্ছে, তত ক্ষণ আমরা থামব না। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ বানানোর জন্য এনডিএ সরকার নিরন্তন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’’ একই সঙ্গে আগামী দিনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিলেন মোদী।

লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি দেশের চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে হয় বিজেপি, নয় এনডিএ জয় পেয়েছে। ওড়িশায় প্রথম বার সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। অন্ধ্রপ্রদেশে জয় পেয়েছে এনডিএ। সব জোট সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানান মোদী।

তিনি আরও বলেন, ‘‘বিরোধীরা একজোট হয়েও বিজেপির থেকে বেশি আসন জিততে পারেনি।’’ পাশাপাশি, কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, ‘‘চার রাজ্যের বিধানসভায় মনে হয় কংগ্রেসের জামানত জব্দ হয়েছে।’’ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলকে (বিরোধীদের) এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানান মোদী।

নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার (০৪ জুন) মোদীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে দেশের উন্নতি, অর্থনীতি এবং বিকাশের কথা। সেই সঙ্গে তাঁর সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথাও। সেই সব প্রকল্প থেকে কত মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, তাঁর পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষনে ‘জয় শ্রীরাম’ নেই। তাঁর বক্তৃতায় ‘মোদী সরকার’ নেই। তাঁর বক্তৃতায় ‘গ্যারান্টি’ নেই। তাঁর বক্তৃতায় ‘বিজেপি’ও নেই। তা হলে আছে কী?

ভোটে জিতে উঠে ‘জয় জগন্নাথ’ দিয়ে মঙ্গলবার বক্তৃতা শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদী। দেশে তৃতীয় বার এনডিএ কেন্দ্রে সরকার গড়ার জাদুসংখ্যা পেরিয়ে যাওয়ার পর মোদীর ৩৪ মিনিটের বক্তৃতায় এক বারও ‘জয় শ্রীরাম’বলেনি। বিজেপি নয়, জোর দিলেন এনডিএ নামক জোটের উপর। তাঁর ভাষণে বার বার শোনা গেল এনডিএ-র কথা। সঙ্গে বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ধন্যবাদ।

এ বারের ভোট প্রচারে বার বার মোদীর মুখে ‘৪০০ পার’ স্লোগান শোনা গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মোদী তথা বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছিলেন, বিজেপি একাই ৩৭০ পেরিয়ে যাবে। এক ধাপ এগিয়ে মোদী সেই দাবি করেছিলেন একেবারে লোকসভার ভিতরে! সেই লোকসভাতেই মোদীকে যেতে হবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে! কারণ, মঙ্গলবার রাতে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মোদীর বিজেপি আটকে গিয়েছে ২৪০ আসনের গন্ডিতে। আর তাঁর দলের নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৩০০ আসনের গণ্ডিও পার করতে পারেনি। অর্থাৎ, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে পারছে না বিজেপি। তাদের যেতে হচ্ছে কোয়ালিশন সরকারে।

অনেকের মতে, সেই কারণেই মঙ্গলবারের বক্ত়ৃতায় বিজেপির থেকে এনডিএ-এর উপর বেশি জোর দিয়েছেন মোদী।

মোদীর বক্তৃতায় এসেছে দেশের উন্নতি, অর্থনীতি এবং বিকাশের কথা। সেই সঙ্গে তাঁর সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথাও। সেই সব প্রকল্প থেকে কত মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, তার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি।

মোদী বলেন,‘‘তৃতীয় বার এনডিএ-র সরকার গঠন নিশ্চিত। মানুষ পূর্ণ বিশ্বাস রেখেছে বিজেপি এবং এনডিএ-র উপর।’’ এনডিএ-র জয়কে ‘গণতন্ত্রে’র জয় বলে উল্লেখ করেছেন মোদী।

মোদীর কথায়, ‘‘১৯৬২ সালের পর এই প্রথম কোনও জোট টানা তিন বার সরকার গড়তে চলেছে। তৃতীয় বার এনডিএ যে আশীর্বাদ পেয়েছে, তার সামনে আমি মাথা নত করছি। এনডিএ সরকার একের পর এক প্রকল্প চালু করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমরা ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র থেকে বাইরে নিয়ে এসেছি। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দারিদ্র দেশে অতীত হয়ে যাচ্ছে, তত ক্ষণ আমরা থামব না। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ বানানোর জন্য এনডিএ সরকার নিরন্তন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’’ একই সঙ্গে আগামী দিনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিলেন মোদী।

লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি দেশের চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে হয় বিজেপি, নয় এনডিএ জয় পেয়েছে। ওড়িশায় প্রথম বার সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। অন্ধ্রপ্রদেশে জয় পেয়েছে এনডিএ। সব জোট সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানান মোদী।

তিনি আরও বলেন, ‘‘বিরোধীরা একজোট হয়েও বিজেপির থেকে বেশি আসন জিততে পারেনি।’’ পাশাপাশি, কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, ‘‘চার রাজ্যের বিধানসভায় মনে হয় কংগ্রেসের জামানত জব্দ হয়েছে।’’ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলকে (বিরোধীদের) এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানান মোদী।