আনোয়ারা প্রতিনিধি॥ ঈদকে সামনে রেখে আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলায় তৎপর হয়ে উঠেছে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন করছে তারা। বিদেশ থেকে ব্যাংক মাধ্যমে রেমিটেন্স না পাটিয়ে প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর হিড়িক এ মাসে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। ফলে সরকার প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে রহস্যজনক কারণে পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

হুন্ডি ব্যবসায়ীরা শুধু উপজেলায় তৎপর তা নয়। মহানগর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলাতে তাদের ব্যাপক তৎপড়তা রয়েছে।

পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলছেন, অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশ তৎপর থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণের অভাবে তাদের গ্রেফতার করা যায় না। এরা শুধু হুন্ডি ব্যবসা করে তা নয়, বৈধ একটি ব্যবসার আড়ালে এ ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। ফলে এদের আইনের আওতায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলায় রমজান শুরুর পর থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে।

প্রতি ঈদে টাকার ব্যাপক চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে এসব হুন্ডি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে।

হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, চাতরী চৌমুহনী বাজার, বটতলী বাজার, আনোয়ারা সদর সহ পুরো উপজেলায় এদের একাধিক প্রতিনিধি রয়েছে। ৮-১০ জন কর্মচারী যাদের কাজ নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে গ্রাহকদের টাকা বুঝিয়ে দেয়া। গ্রহীতারা দ্রুত টাকা পাওয়া ও কমিশন কমের কারণে অনেক প্রবাসী তাদের কষ্টার্জিত টাকা ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে তাদের পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়- স্বজনের কাছে পাঠিয়ে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদিআরব, আরব আমিরাত, কাতার, দুবাই, ওমান, কুয়েত, মালেশিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় কয়েক লাখ কর্মরত আছে। এদের মধ্যে অনেক বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে পারেন না। ফলে বাধ্য হয়ে তারা টাকা পাঠান হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বহন করা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেও তৎপর হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ চক্র। এ চক্র অনেক সময় মোটা অংকের টাকা লুটে নিলে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে থানা পুলিশের আশ্রয় নেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক হুন্ডি ব্যবসায়ী জানান, গত ৩০ দিনে দু’বার ঝাপটাবাজ প্রায় ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ভয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়া সম্ভব হয়নি।

হুন্ডি ব্যবসায়ীদের অবৈধ অপতৎপরতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে উর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রতিবছরে ঈদ উপলক্ষে এদের তৎপরতা বাড়ে। দুই উপজেলায় হুন্ডি ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে রয়েছে। এরা বিভিন্ন কৌশলে লেনদেন করে বলে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেনা।

আনোয়ারা প্রতিনিধি॥ ঈদকে সামনে রেখে আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলায় তৎপর হয়ে উঠেছে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন করছে তারা। বিদেশ থেকে ব্যাংক মাধ্যমে রেমিটেন্স না পাটিয়ে প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর হিড়িক এ মাসে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। ফলে সরকার প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে রহস্যজনক কারণে পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

হুন্ডি ব্যবসায়ীরা শুধু উপজেলায় তৎপর তা নয়। মহানগর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলাতে তাদের ব্যাপক তৎপড়তা রয়েছে।

পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলছেন, অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশ তৎপর থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণের অভাবে তাদের গ্রেফতার করা যায় না। এরা শুধু হুন্ডি ব্যবসা করে তা নয়, বৈধ একটি ব্যবসার আড়ালে এ ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। ফলে এদের আইনের আওতায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলায় রমজান শুরুর পর থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে।

প্রতি ঈদে টাকার ব্যাপক চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে এসব হুন্ডি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে।

হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, চাতরী চৌমুহনী বাজার, বটতলী বাজার, আনোয়ারা সদর সহ পুরো উপজেলায় এদের একাধিক প্রতিনিধি রয়েছে। ৮-১০ জন কর্মচারী যাদের কাজ নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে গ্রাহকদের টাকা বুঝিয়ে দেয়া। গ্রহীতারা দ্রুত টাকা পাওয়া ও কমিশন কমের কারণে অনেক প্রবাসী তাদের কষ্টার্জিত টাকা ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে তাদের পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়- স্বজনের কাছে পাঠিয়ে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদিআরব, আরব আমিরাত, কাতার, দুবাই, ওমান, কুয়েত, মালেশিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় কয়েক লাখ কর্মরত আছে। এদের মধ্যে অনেক বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে পারেন না। ফলে বাধ্য হয়ে তারা টাকা পাঠান হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বহন করা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেও তৎপর হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ চক্র। এ চক্র অনেক সময় মোটা অংকের টাকা লুটে নিলে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে থানা পুলিশের আশ্রয় নেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক হুন্ডি ব্যবসায়ী জানান, গত ৩০ দিনে দু’বার ঝাপটাবাজ প্রায় ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ভয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়া সম্ভব হয়নি।

হুন্ডি ব্যবসায়ীদের অবৈধ অপতৎপরতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে উর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রতিবছরে ঈদ উপলক্ষে এদের তৎপরতা বাড়ে। দুই উপজেলায় হুন্ডি ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে রয়েছে। এরা বিভিন্ন কৌশলে লেনদেন করে বলে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেনা।