ঢাকা ব্যুরো: নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে বিএসিই টেনিং সেন্টার মাঠে সেভ দ্য চিলড্রেন ইনাটারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায়, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কনসোর্টিয়ামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় পেয়ার ভলেনটিয়ার সমাবেশ-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সেভ দ্য চিলড্রেনের হেলথ ও নিউট্রেশন সেক্টরের পরিচালক ডাঃ লিমা রহমান বলেন, এইচআইভি এইডস এর ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীদের বৈষম্য নিরসন ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যৌনকর্মীদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্সের বিরূদ্ধে যৌনকর্মীদের সংগঠিত করতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করছে। তাদের এই প্রচেষ্টা অব্যহত রাখার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেভ দ্য চিলড্রেনের এইচআইভি এইডস প্রোগ্রামের চীপ অফ পার্টি ডা: রনওক খান বলেন, পেয়ার আউটরিচ ওয়ার্কাররা এইচআইভি পজেটিভ রোগীদের কাউন্সিলিং ও স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনতে ও এইচআইভি সংক্রমন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের কিøনিক্যাল সার্ভিসের টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট প্রোগাম অফিসার মো: নাছির উদ্দিন ও ডা: জান্নাতুল মারফীর সঞ্চালনায় সমাবেশে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার সালিমা সুলতানা, এইচআইভি এইডস প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার (অপারেশন) মো: মির্জা মঈনুল ইসলাম, কিøনিক্যাল সার্ভিসের টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট ডা: আহমেদ মোত্তাসিম বিল্লাহ, সিএসএস’র টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট মোরশেদা আক্তার, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের সহকারী পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা: নায়লা পারভীন, কেয়ার বাংলাদেশের প্রতিনিধি আখতার জাহান শিল্পী এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ফিমেল সেক্স ওয়ার্কার ইন্টারভেনশনের টিম লিডার মো: কামরুজ্জামান ছাড়াও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কনসোর্টিয়ামের ফিমেল সেক্স ওযার্কার ইন্টারভেনশনের সহযোগী সংস্থা ইপশা, নারী মুক্তি সংঘের ৯ টি ডিআইসি ও ১৬ টি আউটলেটের পেয়ার আউটরিচ ওয়ার্কারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সেক্স নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরোও বলেন, এই রোগের প্রভাব মহামারী আকারে না থাকলেও এর বিস্তার এখনো বিদ্যমান। যৌনকর্মীদের এবং সুঁই-এর মাধ্যমে মাদকগ্রহণকারীদের মত ঝুঁকিপূর্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে অনিরাপদ যৌনাচারন ও অনিরাপদ সুই-সিরিঞ্জ ব্যবহারের হার এখনও আশংকা জনক। যা আমাদের দেশে এইচআইভি সংক্রমনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম (এনএএসপি) এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে এইডস মুক্ত করার লক্ষ্যে সেভ দ্য চিলড্রেনের কারিগরি সহযোগিতায়, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কনসোর্টিয়াম ”ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির জন্য এইচআইভি প্রতিরোধে অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম” বাস্তবায়নে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে পেয়ার আউটরিচ ওয়ার্কারসহ সমাজের সকল স্তরের জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সমাপনী বক্তব্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, এইচআইভি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা স্বপ্ন দেখি ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর বুকে এইডসমুক্ত একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে পরিচিত হবে বাংলাদেশ।