রুবেল খান: আট বছর আগেও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ছিল বিবর্ণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে কৃত্রিম সৌন্দর্যের মেলবন্ধন ঘটিয়ে পাশেই গড়ে উঠা থিম পার্ক ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড এর কাছে অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছিল এই চিড়িয়াখানাটি।

এরমধ্যে ছিল পশু-পাখির সংকট। খালি পড়ে ছিল অনেক খাঁচা। মানুষের দানের টাকায় চলতো এই চিড়িয়াখানা। সে সময় দানে পাওয়া পশু-পাখিই ছিল সম্বল। চিড়িয়াখানাটিতে ছিল না সৌন্দর্যের ছোঁয়া। অনেকটা অযত্ন-অবহেলায় কোনোরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল যেন এই চিড়িয়াখানাটি। এ কারণে দর্শনার্থীদের কাছেও ছিল না এটির আলাদা আকর্ষণ।

কিন্তু ২০১৪ সালের আগে চিড়িয়াখানা আর বর্তমানের চিড়িয়াখানার মধ্যে গড়ে উঠেছে যেন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। দীর্ঘদিনের অবহেলিত এই চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানা এখন নতুন সাজে সজ্জিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম সৌন্দর্যের সমন্বয়ে অপরূপ সাজে সেজেছে এখন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। লাল, নীল, হলুদ ও সবুজসহ নানা রঙে রঙিন হয়ে পুরোই বদলে গেছে এই চিড়িয়াখানার চেহারা।

বদলে যাওয়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো রংধনু রঙে সজ্জিত আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথের সুউচ্চ ও সুবিশাল সিঁড়ি। নানা রঙে রঙিন এই সিঁড়ির পাশের দেয়ালে শিল্পীর আঁকা শিশুদের প্রিয় সব বন্যপ্রাণীর ছবি শোভা পাচ্ছে। নতুন করে আরো পাঁচ একর জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে এই দৃষ্টিনন্দন সিঁড়িটি। গত বছরের ৫ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসা দর্শকদের জন্য এই নান্দনিক সিঁড়িটি উন্মুক্ত করা দেয়া হয়েছে।

এক সময় এই চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় বাঘ ছিল না, অনেকগুলো খাঁচা শূণ্য পড়েছিল। অনেক পশু-পাখিও ছিল না। এখন এই চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, জেব্রা, সাপ, হরিণ, বানর, ভাল্লুক, উল্লুক, কুমির, শিয়াল, খরগোশ, ময়ূর, গয়াল, ঘোড়া ও নানা ধরণের পাখিসহ ৬৬ প্রজাতির ৬৩০টি দেশি-বিদেশি পশু-পাখি আছে। আরো আছে প্রাকৃতিক পক্ষীশালা। চিড়িয়াখানার সেই শূন্য খাঁচা এখন আর দেখা যায় না। প্রতিটি খাঁচা এখন পশু-পাখিতে পরিপূর্ণ।

চট্টগ্রামের কুমিরা এলাকা থেকে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে আসা মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আগে খুবই অবহেলিত ছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। অনেক খাঁচাই ফাঁকা ছিল। পশু-পাখির সংখ্যা এবং বৈচিত্রও কম ছিল। তাই দর্শনার্থীদের কাছে তেমন একটা আকর্ষণীয় ছিল না। কিন্তু এখন আগের চেয়ে খুব সুন্দর হয়েছে চিড়িয়াখানাটি।অনেককিছুই বদলে গেছে। এখন অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে।’

ঢাকা থেকে বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী শান্ত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘অনেক সুন্দর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। পাহাড়ের মধ্যে অনেক পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে এই চিড়িয়াখানাটি। দু’পাশে পশু-পাখির খাঁচা। আর মাঝখানে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ। এরমধ্যে নতুন যে নানা রঙের সিঁড়ি তৈরী করা হয়েছে, সেটি আমার কাছে আলাদা আকর্ষণীয় লেগেছে। সত্যিই আমি বিমুগ্ধ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য দেখে।’

এই চিড়িয়াখানাকে দর্শনার্থীদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করতে নতুন নতুন পরিকল্পনা ও পশুপাখি সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি হিসেবে আসছে লম্বা গলার জিরাফ, ক্যাঙারু, জলহস্তী, উট, দুম্বা এবং ওয়াইল্ড বিস্ট। তবে জায়গা সংকটের কারণে এখানে হাতি আনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘আমরা চিড়িয়াখানার অনেকগুলো জায়গা বেদখল থেকে উদ্ধার করেছি। সেই জায়গাগুলোতেই নতুন করে সিঁড়ি করা হয়। সিঁড়ির পাশে পুকুরের মত ডোবাটিতে জলহস্তি রাখবো। পাশের জঙ্গল একটাতে চিত্রহরিণ অন্যটিতে জিরাফ থাকার ব্যবস্থা করছি। খুব শীঘ্রই এই জায়গাগুলোতে জলহস্তি ও জিরাফ নিয়ে আসবো। তবে জায়গা সংকটের কারণে হাতি আনতে পারছি না আমরা। হাতি রাখার জন্য যে পরিমাণ জায়গা দরকার, সেই পরিমাণ জায়গা আমাদের নেই।’

বদলে যাওয়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বেড়েছে দর্শনার্থীর ভিড়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দুই থেকে তিন হাজার দর্শনার্থী হয় এখানে। ছুটির দিন বেশি ভিড় থাকে। ছুটির দিন সাত হাজার থেকে ১০ হাজার দর্শনার্থীও আসে। ঈদের সময় আরো বেশি দর্শনার্থী আসে এই চিড়িয়াখানায়। ঈদের সময় একদিনেই ১৬ হাজার দর্শনার্থী এখানে বেড়াতে এসেছেন।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঢুকতে এখন জনপ্রতি টিকিট করতে হয় ৫০ টাকায়। তবে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকিট লাগে না। এক সময় এই চিড়িয়াখানা মানুষের দানের টাকায় চললেও এখন টিকিটের টাকাতেই পরিচালিত হয় চিড়িয়াখানটি। ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকিট বিক্রির অর্থে মোট পাঁচ কোটি ৭৪ লাখ ৪৯ হাজার ২৪৭ টাকার উন্নয়নকাজ করেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা ও প্রবেশ টিকিট বিক্রির অর্থ থেকে এ চিড়িয়াখানায় আশাতীত উন্নয়ন হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পশুপাখি সংগ্রহের পাশাপাশি প্রাণীদের বংশ বিস্তারে বেশকিছু ইতিবাচক সাফল্য রয়েছে আমাদের। টিকিটের টাকা দিয়েই এখন চলছে পুরো চিড়িয়াখানার সকল খরচ।’

প্রসঙ্গত. ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ছয় একর পাহাড়ি জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। বর্তমানে এই চিড়িয়াখানার জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক দুই একরে। একসময় বাঘশূন্য হয়ে পড়া এই চিড়িয়াখানায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয় একজোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সেগুলো বংশ বৃদ্ধি করার পর এখন মোট বাঘের সংখ্যা ১২টিতে উন্নীত হয়েছে। তাই বাঘের জন্য দ্বিগুণ বড় প্রায় সাড়ে সাত হাজার বর্গফুটের একটি খাঁচা তৈরি করা হয়েছে।

রুবেল খান: আট বছর আগেও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ছিল বিবর্ণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে কৃত্রিম সৌন্দর্যের মেলবন্ধন ঘটিয়ে পাশেই গড়ে উঠা থিম পার্ক ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড এর কাছে অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছিল এই চিড়িয়াখানাটি।

এরমধ্যে ছিল পশু-পাখির সংকট। খালি পড়ে ছিল অনেক খাঁচা। মানুষের দানের টাকায় চলতো এই চিড়িয়াখানা। সে সময় দানে পাওয়া পশু-পাখিই ছিল সম্বল। চিড়িয়াখানাটিতে ছিল না সৌন্দর্যের ছোঁয়া। অনেকটা অযত্ন-অবহেলায় কোনোরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল যেন এই চিড়িয়াখানাটি। এ কারণে দর্শনার্থীদের কাছেও ছিল না এটির আলাদা আকর্ষণ।

কিন্তু ২০১৪ সালের আগে চিড়িয়াখানা আর বর্তমানের চিড়িয়াখানার মধ্যে গড়ে উঠেছে যেন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। দীর্ঘদিনের অবহেলিত এই চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানা এখন নতুন সাজে সজ্জিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম সৌন্দর্যের সমন্বয়ে অপরূপ সাজে সেজেছে এখন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। লাল, নীল, হলুদ ও সবুজসহ নানা রঙে রঙিন হয়ে পুরোই বদলে গেছে এই চিড়িয়াখানার চেহারা।

বদলে যাওয়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো রংধনু রঙে সজ্জিত আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথের সুউচ্চ ও সুবিশাল সিঁড়ি। নানা রঙে রঙিন এই সিঁড়ির পাশের দেয়ালে শিল্পীর আঁকা শিশুদের প্রিয় সব বন্যপ্রাণীর ছবি শোভা পাচ্ছে। নতুন করে আরো পাঁচ একর জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে এই দৃষ্টিনন্দন সিঁড়িটি। গত বছরের ৫ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসা দর্শকদের জন্য এই নান্দনিক সিঁড়িটি উন্মুক্ত করা দেয়া হয়েছে।

এক সময় এই চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় বাঘ ছিল না, অনেকগুলো খাঁচা শূণ্য পড়েছিল। অনেক পশু-পাখিও ছিল না। এখন এই চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, জেব্রা, সাপ, হরিণ, বানর, ভাল্লুক, উল্লুক, কুমির, শিয়াল, খরগোশ, ময়ূর, গয়াল, ঘোড়া ও নানা ধরণের পাখিসহ ৬৬ প্রজাতির ৬৩০টি দেশি-বিদেশি পশু-পাখি আছে। আরো আছে প্রাকৃতিক পক্ষীশালা। চিড়িয়াখানার সেই শূন্য খাঁচা এখন আর দেখা যায় না। প্রতিটি খাঁচা এখন পশু-পাখিতে পরিপূর্ণ।

চট্টগ্রামের কুমিরা এলাকা থেকে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে আসা মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আগে খুবই অবহেলিত ছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। অনেক খাঁচাই ফাঁকা ছিল। পশু-পাখির সংখ্যা এবং বৈচিত্রও কম ছিল। তাই দর্শনার্থীদের কাছে তেমন একটা আকর্ষণীয় ছিল না। কিন্তু এখন আগের চেয়ে খুব সুন্দর হয়েছে চিড়িয়াখানাটি।অনেককিছুই বদলে গেছে। এখন অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে।’

ঢাকা থেকে বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী শান্ত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘অনেক সুন্দর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। পাহাড়ের মধ্যে অনেক পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে এই চিড়িয়াখানাটি। দু’পাশে পশু-পাখির খাঁচা। আর মাঝখানে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ। এরমধ্যে নতুন যে নানা রঙের সিঁড়ি তৈরী করা হয়েছে, সেটি আমার কাছে আলাদা আকর্ষণীয় লেগেছে। সত্যিই আমি বিমুগ্ধ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য দেখে।’

এই চিড়িয়াখানাকে দর্শনার্থীদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করতে নতুন নতুন পরিকল্পনা ও পশুপাখি সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি হিসেবে আসছে লম্বা গলার জিরাফ, ক্যাঙারু, জলহস্তী, উট, দুম্বা এবং ওয়াইল্ড বিস্ট। তবে জায়গা সংকটের কারণে এখানে হাতি আনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘আমরা চিড়িয়াখানার অনেকগুলো জায়গা বেদখল থেকে উদ্ধার করেছি। সেই জায়গাগুলোতেই নতুন করে সিঁড়ি করা হয়। সিঁড়ির পাশে পুকুরের মত ডোবাটিতে জলহস্তি রাখবো। পাশের জঙ্গল একটাতে চিত্রহরিণ অন্যটিতে জিরাফ থাকার ব্যবস্থা করছি। খুব শীঘ্রই এই জায়গাগুলোতে জলহস্তি ও জিরাফ নিয়ে আসবো। তবে জায়গা সংকটের কারণে হাতি আনতে পারছি না আমরা। হাতি রাখার জন্য যে পরিমাণ জায়গা দরকার, সেই পরিমাণ জায়গা আমাদের নেই।’

বদলে যাওয়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বেড়েছে দর্শনার্থীর ভিড়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দুই থেকে তিন হাজার দর্শনার্থী হয় এখানে। ছুটির দিন বেশি ভিড় থাকে। ছুটির দিন সাত হাজার থেকে ১০ হাজার দর্শনার্থীও আসে। ঈদের সময় আরো বেশি দর্শনার্থী আসে এই চিড়িয়াখানায়। ঈদের সময় একদিনেই ১৬ হাজার দর্শনার্থী এখানে বেড়াতে এসেছেন।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঢুকতে এখন জনপ্রতি টিকিট করতে হয় ৫০ টাকায়। তবে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকিট লাগে না। এক সময় এই চিড়িয়াখানা মানুষের দানের টাকায় চললেও এখন টিকিটের টাকাতেই পরিচালিত হয় চিড়িয়াখানটি। ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকিট বিক্রির অর্থে মোট পাঁচ কোটি ৭৪ লাখ ৪৯ হাজার ২৪৭ টাকার উন্নয়নকাজ করেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা ও প্রবেশ টিকিট বিক্রির অর্থ থেকে এ চিড়িয়াখানায় আশাতীত উন্নয়ন হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পশুপাখি সংগ্রহের পাশাপাশি প্রাণীদের বংশ বিস্তারে বেশকিছু ইতিবাচক সাফল্য রয়েছে আমাদের। টিকিটের টাকা দিয়েই এখন চলছে পুরো চিড়িয়াখানার সকল খরচ।’

প্রসঙ্গত. ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ছয় একর পাহাড়ি জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। বর্তমানে এই চিড়িয়াখানার জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক দুই একরে। একসময় বাঘশূন্য হয়ে পড়া এই চিড়িয়াখানায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয় একজোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সেগুলো বংশ বৃদ্ধি করার পর এখন মোট বাঘের সংখ্যা ১২টিতে উন্নীত হয়েছে। তাই বাঘের জন্য দ্বিগুণ বড় প্রায় সাড়ে সাত হাজার বর্গফুটের একটি খাঁচা তৈরি করা হয়েছে।