নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের নির্দেশনা, নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নে ২৪৯১ কোটি টাকা অনুমোদন চট্টগ্রামবাসীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নতুন বছরের উপহার বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।আজ রোববার (০৯ জানুয়ারী) বাদ আছর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য শোকরানা দোয়া মাহফিলে উক্ত মন্তব্য করেন সুজন।

এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ অনেক ভাগ্যবান। না চাইতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে অনেক কিছুই দিয়েছেন। কর্ণফুলীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, আউটার সিটি রিং রোড, ফ্লাইওভার, জলজট নিরসন, পানি সরবরাহ প্রকল্প, স্যুয়ারেজ, বে-টার্মিনালের মতো মেগা প্রকল্পগুলো একান্তই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার ফসল। আমরা তাই শোকরানা দোয়া মাহফিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি যাতে তিনি চট্টগ্রামবাসীর জন্য আরো বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প উপহার দিতে পারেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম প্রাচ্যের রাণী। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হলো এই চট্টগ্রাম। দেশের সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর হওয়ার কারণে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। আমদানি-রফতানি এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমে চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু উপযুক্ত দৃষ্টি আকর্ষনের অভাবে চট্টগ্রামবাসী পরিপূর্ণ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম শহরটি বন্দর নগরী হওয়ার কারণে সারাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক, ট্রেইলর, কাভাডভ্যানসহ বিভিন্ন গাড়ী নগরীতে প্রবেশ করে এবং বাহির হয়। দুঃখজনকভাবে চট্টগ্রাম শহরে একটি বাস এবং ট্রাক টার্মিনাল নেই। যে কারণে প্রতিনিয়ত যানজটে নিমজ্জ্বিত থাকছে চট্টগ্রাম নগরী। এতে করে নগরীর ট্রাফিক শৃংখলা ভেঙ্গে পড়ছে। নগরবাসীর অমূল্য শ্রমঘন্টার অপচয় হচ্ছে। তাছাড়া চট্টগ্রামে খেলার কোন মাঠ নেই। মাঠ নামে যেগুলো অবশিষ্ট আছে সেগুলো সারাবছর বিভিন্ন মেলার নামে বরাদ্দ করা থাকে। যে মাঠে খেলে একসময় নান্নু, নোবেল, আকরাম খান, তামিমের মতো খেলোয়াড়রা জাতীয় দলে স্থান পেয়েছিল, আজ সে মাঠগুলো অবশিষ্ট নেই। শিশু, ছাত্র, যুবকদের খেলাধুলা কিংবা শরীর চর্চার কোন অবকাশ নেই। নেই পর্যাপ্ত বিনোদনের সুব্যবস্থা। যার ফলে ছাত্র, তরুন এবং যুবকরা সারাদিন মোবাইলে তাদের বিনোদনের খোরাক মেটাতে ব্যস্ত থাকে। এর ফলে মেধাবী তরুনরা যারা আগামী দিনের ভবিষ্যত হিসেবে বেড়ে উঠার কথা তারা হতাশায় নিমজ্জিত থাকছে প্রতিনিয়িত। খেলাধুলা, সুস্থ বিনোদন ছাড়া কোনভাবেই একটি মেধাবী জাতি গড়ে উঠতে পারে না বলে মত প্রকাশ করেন সুজন।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে যদি যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে চট্টগ্রাম থেকেই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা যাবে। নদী, পাহাড় এবং সাগরের সমন্বয়ে অপূর্ব সৌন্দর্যমন্ডিত চট্টগ্রামকে যদি আরেকটু পরিকল্পনা মাফিক সাজানো যায় তাহলে এই চট্টগ্রাম দেশের একটি অনন্য সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে পরিণত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। চট্টগ্রামকে আগামী দিনের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন সুজন।

শোকরানা দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী এবং মাওলানা জালাল উদ্দিন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, মাওলানা করিম উদ্দিন নূরী, আবুল বশর শিকদার, আব্দুর রহমান মিয়া, রুহুল আমিন তপন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মো. নাজিম উদ্দীন, নুরুল আবছার আজম খান, নুরুল কবির, মো. ইলিয়াছ, মোরশেদ আলম, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, মো. শাহজাহান, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, জমির উদ্দিন মাসুদ, শহীদ উল্ল্যাহ লিটন, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, সরওয়ার্দী এলিন, মো. ওয়াসিম, মো. জাহাঙ্গীর, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, সহ-সভাপতি জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, আ.ফ.ম সাইফুদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী রনি, আরাফাত রুবেল প্রমূখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের নির্দেশনা, নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নে ২৪৯১ কোটি টাকা অনুমোদন চট্টগ্রামবাসীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নতুন বছরের উপহার বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।আজ রোববার (০৯ জানুয়ারী) বাদ আছর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য শোকরানা দোয়া মাহফিলে উক্ত মন্তব্য করেন সুজন।

এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ অনেক ভাগ্যবান। না চাইতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে অনেক কিছুই দিয়েছেন। কর্ণফুলীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, আউটার সিটি রিং রোড, ফ্লাইওভার, জলজট নিরসন, পানি সরবরাহ প্রকল্প, স্যুয়ারেজ, বে-টার্মিনালের মতো মেগা প্রকল্পগুলো একান্তই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার ফসল। আমরা তাই শোকরানা দোয়া মাহফিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি যাতে তিনি চট্টগ্রামবাসীর জন্য আরো বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প উপহার দিতে পারেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম প্রাচ্যের রাণী। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হলো এই চট্টগ্রাম। দেশের সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর হওয়ার কারণে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। আমদানি-রফতানি এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমে চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু উপযুক্ত দৃষ্টি আকর্ষনের অভাবে চট্টগ্রামবাসী পরিপূর্ণ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম শহরটি বন্দর নগরী হওয়ার কারণে সারাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক, ট্রেইলর, কাভাডভ্যানসহ বিভিন্ন গাড়ী নগরীতে প্রবেশ করে এবং বাহির হয়। দুঃখজনকভাবে চট্টগ্রাম শহরে একটি বাস এবং ট্রাক টার্মিনাল নেই। যে কারণে প্রতিনিয়ত যানজটে নিমজ্জ্বিত থাকছে চট্টগ্রাম নগরী। এতে করে নগরীর ট্রাফিক শৃংখলা ভেঙ্গে পড়ছে। নগরবাসীর অমূল্য শ্রমঘন্টার অপচয় হচ্ছে। তাছাড়া চট্টগ্রামে খেলার কোন মাঠ নেই। মাঠ নামে যেগুলো অবশিষ্ট আছে সেগুলো সারাবছর বিভিন্ন মেলার নামে বরাদ্দ করা থাকে। যে মাঠে খেলে একসময় নান্নু, নোবেল, আকরাম খান, তামিমের মতো খেলোয়াড়রা জাতীয় দলে স্থান পেয়েছিল, আজ সে মাঠগুলো অবশিষ্ট নেই। শিশু, ছাত্র, যুবকদের খেলাধুলা কিংবা শরীর চর্চার কোন অবকাশ নেই। নেই পর্যাপ্ত বিনোদনের সুব্যবস্থা। যার ফলে ছাত্র, তরুন এবং যুবকরা সারাদিন মোবাইলে তাদের বিনোদনের খোরাক মেটাতে ব্যস্ত থাকে। এর ফলে মেধাবী তরুনরা যারা আগামী দিনের ভবিষ্যত হিসেবে বেড়ে উঠার কথা তারা হতাশায় নিমজ্জিত থাকছে প্রতিনিয়িত। খেলাধুলা, সুস্থ বিনোদন ছাড়া কোনভাবেই একটি মেধাবী জাতি গড়ে উঠতে পারে না বলে মত প্রকাশ করেন সুজন।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে যদি যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে চট্টগ্রাম থেকেই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা যাবে। নদী, পাহাড় এবং সাগরের সমন্বয়ে অপূর্ব সৌন্দর্যমন্ডিত চট্টগ্রামকে যদি আরেকটু পরিকল্পনা মাফিক সাজানো যায় তাহলে এই চট্টগ্রাম দেশের একটি অনন্য সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে পরিণত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। চট্টগ্রামকে আগামী দিনের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন সুজন।

শোকরানা দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী এবং মাওলানা জালাল উদ্দিন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, মাওলানা করিম উদ্দিন নূরী, আবুল বশর শিকদার, আব্দুর রহমান মিয়া, রুহুল আমিন তপন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মো. নাজিম উদ্দীন, নুরুল আবছার আজম খান, নুরুল কবির, মো. ইলিয়াছ, মোরশেদ আলম, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, মো. শাহজাহান, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, জমির উদ্দিন মাসুদ, শহীদ উল্ল্যাহ লিটন, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, সরওয়ার্দী এলিন, মো. ওয়াসিম, মো. জাহাঙ্গীর, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, সহ-সভাপতি জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, আ.ফ.ম সাইফুদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী রনি, আরাফাত রুবেল প্রমূখ।