নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বর্ণনীতি না থাকায় বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ নীতিমালা দিয়েছেন, আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। নতুন দিগন্তের সূচনা হতে যাচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পে। একসময় এ খাতে আমাদের ঐতিহ্য ছিল। বাজুস নির্বাচন (২০২১-২৩) বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বক্তব্যে এ কথা বলেন।
রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের জিইসির বনজৌর রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) চট্টগ্রাম জেলা শাখার নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছেন বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। গোল্ড রিফাইনারি করছেন দেশে। আমাদের স্বর্ণালংকার রফতানি হবে সারা বিশ্বে। জুয়েলারি শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে চান তিনি। হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চান তিনি৷
তিনি বলেন, আমাদের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট ভেদাভেদ পছন্দ করেন না। ঢাকার দুইপক্ষকে নিয়ে কমিটি করেছেন। বাকি ৩৫ জনকে নিয়ে স্ট্যান্ডিং করবেন বলে জানিয়েছেন। ঢাকা থেকে নির্দেশনা আসবে, চট্টগ্রাম শাখাও বড় হবে। আমাদের প্রেসিডেন্ট চান, সবাই এক হবেন। কেউ কারও পেছনে লাগবেন না। পেছনে লাগলে পুরো সেক্টরের ক্ষতি হয়। তিনি চান ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন, তিনি দায়িত্ব নেবেন। কাজ করতে না পারলে তার কাছে দাম নেই। তিনি চান স্বর্ণালংকার রফতানি হবে বাংলাদেশ থেকে।
বাজুস চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা দায়িত্ব পালনকালে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সাবেক সভাপতি নুরুল আবছার বলেন, অনেক দিন পর নির্বাচন। সমিতির যেকোনও সদস্যকে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা করবে এই কমিটি। বাজুসের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। যখনই কমিটির নেতারা সহযোগিতা চাইবেন আমরা এগিয়ে আসবো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাজুস চট্টগ্রাম জেলা শাখার নবনির্বাচিত সভাপতি মৃণাল কান্তি ধর। বক্তব্য দেন সহ সম্পাদক কাজল বণিক। সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক হিরন্ময় ধর।