জস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কথিত তছের পীরের দরবার শরিফ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় ঐ দরবার শরিফের ভক্তদের ছোড়া ইটপাটকেলে দুজন জখম হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউপির কল্যাণপুর চরদিয়াড়ে অবস্থিত ঐ দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দরবার শরিফের খাদেম বাদী হয়ে শতাধিক এলাকাবাসীর নামে মামলা করেছে। শনিবার রাত পর্ষন্ত পুলিশ ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, কথিত তছের পিরের দরবার শরিফের বহিরাগত অনুসারীরা স্থানীয় এক তরুণীকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে সেই বখাটে যুবকরা ঐ তরুণীর পিতাকে মারধর করে এবং এলাকাবাসীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কল্যাণপুর, চরদিয়াড়, সোনাইকুন্ডি ও গাছেরদিয়াড় গ্রামের ৪০০-৫০০ মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে কথিত ঐ তছের পিরের দরবার শরিফে হামলা চালায়। তারা দরবার শরিফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করলে বহিরাগত যুবকেরা ভেতর থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ সময় সামিউল (৫০) ও কিরণ (২০) নামে দুই গ্রামবাসী আহত হন। তাদের দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জাকির নামে একজনকে আটক করে। দরবার শরিফে অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী দরবার শরিফ ঘেরাও করে রাখলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জাব্বার, দৌলতপুর থানার ওসি জাবীদ হাসান এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এরপর এলাকাবাসী ঐ স্থান ত্যাগ করে।

শনিবার বিকালে আস্তানার খাদেম হিসেবে পরিচিত ভেড়ামারার বাসিন্দা আনিসুর রহমান সুইট বাদী হয়ে ২২ জন এজাহারনামীয়সহ অজ্ঞাত আরও ৮০-৯০ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ এজাহারনামীয় আসামি জাকির, রেজু, রাজা ও শাহীনসহ ৫জন কে গ্রেফতার করেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ জুন এক ভক্তকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় কথিত পির তছেরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর থেকে তছের পলাতক রয়েছেন।

জস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কথিত তছের পীরের দরবার শরিফ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় ঐ দরবার শরিফের ভক্তদের ছোড়া ইটপাটকেলে দুজন জখম হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউপির কল্যাণপুর চরদিয়াড়ে অবস্থিত ঐ দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দরবার শরিফের খাদেম বাদী হয়ে শতাধিক এলাকাবাসীর নামে মামলা করেছে। শনিবার রাত পর্ষন্ত পুলিশ ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, কথিত তছের পিরের দরবার শরিফের বহিরাগত অনুসারীরা স্থানীয় এক তরুণীকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে সেই বখাটে যুবকরা ঐ তরুণীর পিতাকে মারধর করে এবং এলাকাবাসীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কল্যাণপুর, চরদিয়াড়, সোনাইকুন্ডি ও গাছেরদিয়াড় গ্রামের ৪০০-৫০০ মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে কথিত ঐ তছের পিরের দরবার শরিফে হামলা চালায়। তারা দরবার শরিফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করলে বহিরাগত যুবকেরা ভেতর থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ সময় সামিউল (৫০) ও কিরণ (২০) নামে দুই গ্রামবাসী আহত হন। তাদের দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জাকির নামে একজনকে আটক করে। দরবার শরিফে অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী দরবার শরিফ ঘেরাও করে রাখলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জাব্বার, দৌলতপুর থানার ওসি জাবীদ হাসান এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এরপর এলাকাবাসী ঐ স্থান ত্যাগ করে।

শনিবার বিকালে আস্তানার খাদেম হিসেবে পরিচিত ভেড়ামারার বাসিন্দা আনিসুর রহমান সুইট বাদী হয়ে ২২ জন এজাহারনামীয়সহ অজ্ঞাত আরও ৮০-৯০ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ এজাহারনামীয় আসামি জাকির, রেজু, রাজা ও শাহীনসহ ৫জন কে গ্রেফতার করেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ জুন এক ভক্তকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় কথিত পির তছেরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর থেকে তছের পলাতক রয়েছেন।