নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৮৯ সালের ১০ জানুয়ারী চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন জামায়াত শিবিরের বোমা হামলায় স্কুলে যাওয়ার পথে নিহত তৎকালীন ৭ম শ্রেনীর ছাত্র উত্তম বিশ্বাসের পরিবার দীর্ঘ ৩২ বছর শোক বয়ে বেড়াচ্ছে। যে বাড়ি থেকে উত্তম বিশ্বাস স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর জীবিত ফিরে আসেনি, সে বাড়িতে উত্তমের ভাই-বোন দুখে কষ্টে দীর্ঘ বছর পার করলেও এখন তারা প্রধানমন্ত্রীর চাকুরী পেয়ে স্বচ্ছল জীবন যাপন করেছে। ওই ঘটনার ঘটনার ১৪ দিন পর ১৯৮৯ সালের ২৫ জানুয়ারী দুপুর ১২টায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাথরঘাটাস্থ উত্তমের বাসায় এসে তার মা-বাবা, ভাই বোনকে শান্তনা দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় কোন মামলা না হলেও পরিবারের সদস্যরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশায় দীর্ঘ বছর ধরে অপেক্ষার প্র্রহর গুনছেন। আগামী ১০ জানুয়ারী সোমবার উত্তম বিশ্বাসের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
গত বছর শহীদ উত্তম বিশ্বাসের পরিবার বর্গ নিয়ে একটি প্রতিবেদন পরিবেশিত হলে প্রধানমন্ত্রী পুনরায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যকে খোঁজ খবর নেন। তিনি তাদের পরিবারের সদস্যদের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চাকুরীর ব্যবস্থা করেন। অর্পিত সম্পত্তিতে বসবাস করার কারণে পরিবারের সদস্যরা যে আতংকে ছিল তাও কেটে গেছে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম জেলা প্রশসকের মাধ্যমে তাদের বসবাসকৃতস্থানটি নিজেদের নামে রেজিট্রি করে দেন।
জানা গেছে, তৎকালীন ক্ষমতাসীন সেনাশাসক জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের শাসনামালে ১৯৮৯ সালের ১০ জানুয়ারী প্রতিদিনের মত ৭ম শ্রেনীর টগবগে ছাত্র উত্তম বিশ্বাস বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলো। পাথারঘাটায় গির্জার কাছাকাছি আসলে তার উপর একটি বোমা নিক্ষেপ হয়। এসময় উত্তমের বুকের বাম পাজর উড়ে যায়। ঢলে পড়ে মাটিতে। সকলে তাকে নিয়ে আসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ১২ ঘন্টায়ও তার জ্ঞান ফিরেনি। অবশেষে মুখ থেকে রক্ত বমি করতে করতে উত্তম তার মায়ের হাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরেদিন বেলা ১২টায় উত্তম বিশ্বাসের লাশ কড়া পুলিশ পাহারায় তাদের ৪১ ব্রিকফিল্ড রোডস্থ বাসায় আনা হলে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয়। এ সময় পলিশ তাড়া দেয় দুই মিনিটের বেশী সময় দেয়া যাবেনা। আপনারা দুইজন সঙ্গে চলুন। বেশী লোকজন শ্মশানে যাওয়া যাবেনা। আমাদের পাহারায় লাশের সৎকার করতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ সারতে হবে। লাশের বুকে ব্যান্ডেজ বাধা। বোমায় উত্তমের বুকের বা দিকের পাজর উড়ে যায়।
ঘটনার ১৪ দিন পর ২৫ জানুয়ারী দুপুর ১২টায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাথরঘাটাস্থ উত্তমের বাসায় এসে উত্তমের বাবা-মা, ভাই-বোনকে শান্তনা দিয়ে যান। আরো অনেকে আসেন তাদের বাসায়। এরপর দীর্ঘ ৩১ বছরের কেউ আর খবর রাখেনি। পুত্র শোকে মা লক্ষী বিশ্বাস আর বাবা অমল কান্তি বিশ্বাস মারা গেছেন অনেক আগেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তাদের সবকিছুর ব্যবস্থা করে দেন। উত্তমের অলকা বিশ্বাস আর সুলেখা বিশ্বাস নামে দুই বোন ও এক ভাই রয়েছেন যার নাম মনোজ বিশ্বাস।
উত্তমের বোন অলকা বিশ্বাস ভাইয়ের পুরোনো ছবি বুকে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ভাই হারানো দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে আজো বেঁচে আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের আয় রোজগারের ব্যস্থা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে। এখন আমার ভাইয়ের নামে একটি ভবন করতে চাই। বর্তমানে চাল ফেটে যাওয়ার কারণে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি সব ঘরেই পড়ে। তিনি বলেন, বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বাসায় যখন এসেছিলেন তখন আমার বাবায় একটি দরখাস্ত দিয়েছিলেন। ওই দরখাস্তে আমাদের এই বাসাটা শহীদ উত্তম ভবন নামকরণ করতে।
নিহত উত্তমের বোন সুলেখা বিশ্বাস বলেন, আমার বড় ভাই উত্তম বেঁচে থাকলে আমাদের পরিবারকে আগলে রাখত। সবাই যাতে একটু ভালো থাকি সে চেষ্টা করত। এখন আর আগলে রাখার মানুষ নেই, ভালোবাসাও নেই। আসলে মানুষ চলে গেলে কিছুই থাকে না। তিনি কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, উত্তম দাদা নেই মানে আমাদের কিছুই নেই। চোখ বুজলে এখনো দেখি রক্তাক্ত দেহ হাসপাতালের বেডে পড়ে আছে। যন্ত্রণায় ছটফটাতে দেখি। এহন তার আত্মার শান্তি কামনা ছাড়া আর কী করার আছে আমাদের। তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করিনা, রাজনীতি বুঝি না। তবু কেন রাজনীতির আগুনে আমার ভাইকে মরতে হলো।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য দীপক ভট্টাচার্য্য বলেন, ঘটনাটি হৃদয় বিদারক। এরশাদ সরকারের শাসনামলে স্কুলে যাওয়ার পথে বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনা আজো আমাদের নাড়া দেয়। হতদরিদ্র এই পরিবারের একটি স্কুল পড়ুয়া সন্তান হারানোর বেদনা যে কত কষ্টকর সেটা সহজেই বোঝা যায়।
পাথরঘাটা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. জালাল উদ্দিন ইকবাল বলেন, সে দিন হরতাল ছিল। বেলা ১২টায় বাড়ির কাছে সেন্ট প্লাসিডস্ স্কুলের সামনে এমন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। উত্তর সে সময় একটি মিছিলের পেছনে পেছনে স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। আমার বাবা উত্তমের বাবার বন্ধু। সেই সুবাধে আমাদের এবং এলাকাবাসী তখন শোকাতুর হয়ে উঠে।
এদিকে উত্তম নিহতের ঘটনায় ১৯৮৯ সালের ১৩ জানুয়ারী দৈনিক সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর আগের দিন ১২ জানুয়ারী বাংলার বাণীতে প্রকাশিত হয়। ওই সময় উত্তম বিশ্বাস নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সারাদেশে ১২ জানুয়ারী পূর্ণদিবস এবং ১৩ জানুয়ারী অর্ধ দিবস হরতাল পালন করেন। এ সময় সংগঠনটি এক বিবৃতিতে হরতাল চলাকালে মিছিলের উপর জামায়াত শিবিরের বোমা নিক্ষেপে উত্তম বিশ্বাস নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৮৯ সালের ১০ জানুয়ারী চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন জামায়াত শিবিরের বোমা হামলায় স্কুলে যাওয়ার পথে নিহত তৎকালীন ৭ম শ্রেনীর ছাত্র উত্তম বিশ্বাসের পরিবার দীর্ঘ ৩২ বছর শোক বয়ে বেড়াচ্ছে। যে বাড়ি থেকে উত্তম বিশ্বাস স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর জীবিত ফিরে আসেনি, সে বাড়িতে উত্তমের ভাই-বোন দুখে কষ্টে দীর্ঘ বছর পার করলেও এখন তারা প্রধানমন্ত্রীর চাকুরী পেয়ে স্বচ্ছল জীবন যাপন করেছে। ওই ঘটনার ঘটনার ১৪ দিন পর ১৯৮৯ সালের ২৫ জানুয়ারী দুপুর ১২টায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাথরঘাটাস্থ উত্তমের বাসায় এসে তার মা-বাবা, ভাই বোনকে শান্তনা দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় কোন মামলা না হলেও পরিবারের সদস্যরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশায় দীর্ঘ বছর ধরে অপেক্ষার প্র্রহর গুনছেন। আগামী ১০ জানুয়ারী সোমবার উত্তম বিশ্বাসের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
গত বছর শহীদ উত্তম বিশ্বাসের পরিবার বর্গ নিয়ে একটি প্রতিবেদন পরিবেশিত হলে প্রধানমন্ত্রী পুনরায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যকে খোঁজ খবর নেন। তিনি তাদের পরিবারের সদস্যদের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চাকুরীর ব্যবস্থা করেন। অর্পিত সম্পত্তিতে বসবাস করার কারণে পরিবারের সদস্যরা যে আতংকে ছিল তাও কেটে গেছে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম জেলা প্রশসকের মাধ্যমে তাদের বসবাসকৃতস্থানটি নিজেদের নামে রেজিট্রি করে দেন।
জানা গেছে, তৎকালীন ক্ষমতাসীন সেনাশাসক জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের শাসনামালে ১৯৮৯ সালের ১০ জানুয়ারী প্রতিদিনের মত ৭ম শ্রেনীর টগবগে ছাত্র উত্তম বিশ্বাস বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলো। পাথারঘাটায় গির্জার কাছাকাছি আসলে তার উপর একটি বোমা নিক্ষেপ হয়। এসময় উত্তমের বুকের বাম পাজর উড়ে যায়। ঢলে পড়ে মাটিতে। সকলে তাকে নিয়ে আসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ১২ ঘন্টায়ও তার জ্ঞান ফিরেনি। অবশেষে মুখ থেকে রক্ত বমি করতে করতে উত্তম তার মায়ের হাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরেদিন বেলা ১২টায় উত্তম বিশ্বাসের লাশ কড়া পুলিশ পাহারায় তাদের ৪১ ব্রিকফিল্ড রোডস্থ বাসায় আনা হলে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয়। এ সময় পলিশ তাড়া দেয় দুই মিনিটের বেশী সময় দেয়া যাবেনা। আপনারা দুইজন সঙ্গে চলুন। বেশী লোকজন শ্মশানে যাওয়া যাবেনা। আমাদের পাহারায় লাশের সৎকার করতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ সারতে হবে। লাশের বুকে ব্যান্ডেজ বাধা। বোমায় উত্তমের বুকের বা দিকের পাজর উড়ে যায়।
ঘটনার ১৪ দিন পর ২৫ জানুয়ারী দুপুর ১২টায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাথরঘাটাস্থ উত্তমের বাসায় এসে উত্তমের বাবা-মা, ভাই-বোনকে শান্তনা দিয়ে যান। আরো অনেকে আসেন তাদের বাসায়। এরপর দীর্ঘ ৩১ বছরের কেউ আর খবর রাখেনি। পুত্র শোকে মা লক্ষী বিশ্বাস আর বাবা অমল কান্তি বিশ্বাস মারা গেছেন অনেক আগেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তাদের সবকিছুর ব্যবস্থা করে দেন। উত্তমের অলকা বিশ্বাস আর সুলেখা বিশ্বাস নামে দুই বোন ও এক ভাই রয়েছেন যার নাম মনোজ বিশ্বাস।
উত্তমের বোন অলকা বিশ্বাস ভাইয়ের পুরোনো ছবি বুকে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ভাই হারানো দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে আজো বেঁচে আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের আয় রোজগারের ব্যস্থা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে। এখন আমার ভাইয়ের নামে একটি ভবন করতে চাই। বর্তমানে চাল ফেটে যাওয়ার কারণে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি সব ঘরেই পড়ে। তিনি বলেন, বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বাসায় যখন এসেছিলেন তখন আমার বাবায় একটি দরখাস্ত দিয়েছিলেন। ওই দরখাস্তে আমাদের এই বাসাটা শহীদ উত্তম ভবন নামকরণ করতে।
নিহত উত্তমের বোন সুলেখা বিশ্বাস বলেন, আমার বড় ভাই উত্তম বেঁচে থাকলে আমাদের পরিবারকে আগলে রাখত। সবাই যাতে একটু ভালো থাকি সে চেষ্টা করত। এখন আর আগলে রাখার মানুষ নেই, ভালোবাসাও নেই। আসলে মানুষ চলে গেলে কিছুই থাকে না। তিনি কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, উত্তম দাদা নেই মানে আমাদের কিছুই নেই। চোখ বুজলে এখনো দেখি রক্তাক্ত দেহ হাসপাতালের বেডে পড়ে আছে। যন্ত্রণায় ছটফটাতে দেখি। এহন তার আত্মার শান্তি কামনা ছাড়া আর কী করার আছে আমাদের। তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করিনা, রাজনীতি বুঝি না। তবু কেন রাজনীতির আগুনে আমার ভাইকে মরতে হলো।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য দীপক ভট্টাচার্য্য বলেন, ঘটনাটি হৃদয় বিদারক। এরশাদ সরকারের শাসনামলে স্কুলে যাওয়ার পথে বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনা আজো আমাদের নাড়া দেয়। হতদরিদ্র এই পরিবারের একটি স্কুল পড়ুয়া সন্তান হারানোর বেদনা যে কত কষ্টকর সেটা সহজেই বোঝা যায়।
পাথরঘাটা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. জালাল উদ্দিন ইকবাল বলেন, সে দিন হরতাল ছিল। বেলা ১২টায় বাড়ির কাছে সেন্ট প্লাসিডস্ স্কুলের সামনে এমন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। উত্তর সে সময় একটি মিছিলের পেছনে পেছনে স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। আমার বাবা উত্তমের বাবার বন্ধু। সেই সুবাধে আমাদের এবং এলাকাবাসী তখন শোকাতুর হয়ে উঠে।
এদিকে উত্তম নিহতের ঘটনায় ১৯৮৯ সালের ১৩ জানুয়ারী দৈনিক সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর আগের দিন ১২ জানুয়ারী বাংলার বাণীতে প্রকাশিত হয়। ওই সময় উত্তম বিশ্বাস নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সারাদেশে ১২ জানুয়ারী পূর্ণদিবস এবং ১৩ জানুয়ারী অর্ধ দিবস হরতাল পালন করেন। এ সময় সংগঠনটি এক বিবৃতিতে হরতাল চলাকালে মিছিলের উপর জামায়াত শিবিরের বোমা নিক্ষেপে উত্তম বিশ্বাস নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন।