বনানী (ঢাকা) প্রতিনিধি: রাজধানীর গুলশান-বনানীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে শত শত রেস্টুরেন্ট। অসংখ্য রেস্টুরেন্ট এর  লাইসেন্স নেই। অস্বস্তিকর খাবার পরিবেশনসহ রয়েছে নানা অভিযোগ। বনানীতে অবস্থিত শালিমার গার্ডেন রেস্টোঁরা এর নামে অসংখ্য অভিযোগ এসেছে প্রতিবেদকের কাছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, খাদ্য অধিদপ্তরে নীতিমালা না মেনে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে দিনের পর দিন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ী মোস্তফা তাজ ও তার সঙ্গীরা।
অভিযোগ এসেছে শালিমার গার্ডেন রেস্টোঁরায় দ্বিগুণ দামে অস্বস্তিকর ভেজাল, বাঁসি-পঁচা খাদ্য বিক্রি। একই স্থানে পতিতা ব্যবসা, রেস্টোঁরার ভিতরে ছোট কক্ষের ভেতরে অশ্লীল কার্যক্রম। খদ্দেরের কাছ থেকে  সরকারি ভ্যাট আদায় করলেও সঠিকভাবে সরকারি দপ্তরে জমা পড়ছে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শালিমার গার্ডেন রেস্টোঁরার মালিক মোস্তফা তাজ কিছুদিন পূর্বেও হোটেলবয় ছিলেন। কিন্তু কার ছায়ায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন তা অনেকেরই অজানা।
এদিকে, গত ১৬ নভেম্বর, ২০২১ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট  উম্মে সালিক রুমাইয়া এর নেতৃত্বে সালিমার গার্ডেন রেস্টোঁরা বনানী ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল। অভিযানকালে দেখা যায়, বেশ কিছু পণ্যে আমদানিকারকের প্রমাণক নেই, পেস্ট কন্ট্রোল ম্যাকানিজম নেই, প্রিমিসেস লাইসেন্স নেই, ফায়ার লাইসেন্স নেই, ট্রেড লাইসেন্স নেই, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ নেই। পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর। এ সকল অপরাধে সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ টাকা) অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। জেনারেল ম্যানেজার তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক অর্থদণ্ড দিতে চান ও তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়।
পরে সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
অভিযানকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক জনাব মোঃ আব্দুস সালাম মৃধা, বিএফএসএ এর অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযানে জরিমানার পর সালিমার গার্ডেন রেস্টোঁরা কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেছিলেন তার কোনোটিই তাঁরা মানছে না। খাদ্য কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে তাঁরা আগের মতোই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে।

বনানী (ঢাকা) প্রতিনিধি: রাজধানীর গুলশান-বনানীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে শত শত রেস্টুরেন্ট। অসংখ্য রেস্টুরেন্ট এর  লাইসেন্স নেই। অস্বস্তিকর খাবার পরিবেশনসহ রয়েছে নানা অভিযোগ। বনানীতে অবস্থিত শালিমার গার্ডেন রেস্টোঁরা এর নামে অসংখ্য অভিযোগ এসেছে প্রতিবেদকের কাছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, খাদ্য অধিদপ্তরে নীতিমালা না মেনে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে দিনের পর দিন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ী মোস্তফা তাজ ও তার সঙ্গীরা।
অভিযোগ এসেছে শালিমার গার্ডেন রেস্টোঁরায় দ্বিগুণ দামে অস্বস্তিকর ভেজাল, বাঁসি-পঁচা খাদ্য বিক্রি। একই স্থানে পতিতা ব্যবসা, রেস্টোঁরার ভিতরে ছোট কক্ষের ভেতরে অশ্লীল কার্যক্রম। খদ্দেরের কাছ থেকে  সরকারি ভ্যাট আদায় করলেও সঠিকভাবে সরকারি দপ্তরে জমা পড়ছে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শালিমার গার্ডেন রেস্টোঁরার মালিক মোস্তফা তাজ কিছুদিন পূর্বেও হোটেলবয় ছিলেন। কিন্তু কার ছায়ায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন তা অনেকেরই অজানা।
এদিকে, গত ১৬ নভেম্বর, ২০২১ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট  উম্মে সালিক রুমাইয়া এর নেতৃত্বে সালিমার গার্ডেন রেস্টোঁরা বনানী ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল। অভিযানকালে দেখা যায়, বেশ কিছু পণ্যে আমদানিকারকের প্রমাণক নেই, পেস্ট কন্ট্রোল ম্যাকানিজম নেই, প্রিমিসেস লাইসেন্স নেই, ফায়ার লাইসেন্স নেই, ট্রেড লাইসেন্স নেই, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ নেই। পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর। এ সকল অপরাধে সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ টাকা) অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। জেনারেল ম্যানেজার তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক অর্থদণ্ড দিতে চান ও তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়।
পরে সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
অভিযানকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক জনাব মোঃ আব্দুস সালাম মৃধা, বিএফএসএ এর অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযানে জরিমানার পর সালিমার গার্ডেন রেস্টোঁরা কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেছিলেন তার কোনোটিই তাঁরা মানছে না। খাদ্য কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে তাঁরা আগের মতোই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে।