ঢাকা : খৃষ্টীয় নববর্ষের প্রথম দিনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে ফাতেহা পাঠ ও ফুলেল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নববর্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা প্রত্যাশা করি- এই নববর্ষে ২০২২ সালে জনগণ মুক্ত হবে, গণতন্ত্র মুক্ত হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এবং দেশে অবশ্যই আমরা একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব। আজ শনিবার (০১ জানুয়ারি ) সকালে শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে ফাতেহা পাঠ ও ফুলেল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এখানে আসেন তারা।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলে নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী জিয়াউর রহমানের মাজারে আসেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা স্লোগান দেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এর কিছুক্ষণ পর আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফুলেল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে, জিয়া পরিবার এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ জিয়াউর রহমান সাহেবের মাজারে জিয়ারত করে তারা শপথ নিয়েছে, দেশনেত্রীর মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করবে। ২০২২ সালে তা সফল হবে ইনশাআল্লাহ। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এই সংলাপকে অর্থহীন মনে করছি। আমরা মনে করি যে, বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট নির্বাচন কমিশন গঠনের সঙ্কট নয় বা আইন তৈরি করার সঙ্কট নয়। এই প্রধান যে সঙ্কট তা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে কোন রকম সরকার থাকবে? যদি আওয়ামী লীগ সরকার থাকে, তাহলে সেই নির্বাচনের অর্থই হতে পারে না। আমরা বলেছি, নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে, যারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং তাদের পরিচালনায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন। তাকে যে বন্দি করে রাখা হয়েছে এবং তাকে সে সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। আজকে তাকে যে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটা কোনো আইনি ব্যাপার নয়, এটা প্রতিহিংসার বিষয়। আজকে শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণেই এই ধরনের একটা অবস্থা তৈরি করে রেখেছেন, যাতে দেশনেত্রী কোনো চিকিৎসার সুযোগ না পান। তিনি যেন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যান, এটাই তারা চাচ্ছে। তবে দায়-দায়িত্ব সমস্ত এই সরকারকেই বহন করতে হবে। আর এর পরিণতি যদি কোন খারাপ হয়, তারও দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে।
১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি “শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি” এই তিন মূলনীতি নিয়ে ছাত্রদল গঠন করেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম।
Post Views: 414