ইজাজুল, উত্তরা প্রতিনিধি: পাউবো”র জায়গা অবৈধ ভাবে দখল বাঁজদের তালিকা তৈরী করছে স্থানীয় প্রশাসন। রাজধানীর উত্তরা এবং টঙ্গির প্রধান সড়কের মধ্যস্থল আব্দুল্লাহপুর। বাস স্ট্যান্ডের পূর্বপাশে তাকালেই চোখে পড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুবউদ্দিন রোড। এ রাস্তাটি কোটবাড়ি রেলগেট পেরিয়ে সোজা ময়নারটেক – উলুখোলা রোড। বেড়িবাঁধ থেকে রেলগেট পর্যন্ত চোখে পড়ে উভয় পাশে নানা ধরনের সারি সারি দোকান।যেমন কাঁচাবাজার, ফল, মাছ, মাংস,মুদি, চা, কসমেটিক, হিউম্যান মেডিসিনের দোকান- ফার্মেসী, যেখানে নানা ধরনের অবৈধ ঔষধ বেচা-কেনা চলে। সব মিলিয়ে রাস্তার দুপাশে শতাধিক ছোট-বড় দোকান রয়েছে। এসব দোকান গুলি একদিকে যেমন রাস্তা সংকোচন সৃষ্টি করেছে, আবার যানচলাচলেও যানজটের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। এখন প্রশ্ন হলো, প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব নিয়ন্ত্রণ করছে কে ?
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী আইনুল হক দি ক্রাইমকে বলেন, আব্দুল্লাহপুর বেড়ি বাঁধের জায়গা প্রতিনিয়তই দখলবাজরা গিলে খাচ্ছে । দখলবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।আমরা দখলবাঁজদের তালিকা ডিসি অফিসে জমা দিবো এবং একজন দায়িত্বশীল মেজিষ্ট্রেট দিয়ে এই অবৈধ দখল উচ্ছেদ করবো।
বেড়ি বাঁধের জনৈক দোকানীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন প্রতি দোকান থেকে ৩শ থেকে ৬ শত টাকা চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। দিন শেষে এই চাঁদার পরিমান প্রায় ৪০ -৫০ হাজার টাকা।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এই চাঁদাবাজ আর কেউ নয়, সে ১নং ওয়ার্ডের কথিত যুবলীগ নেতা জাকির। উত্তরা পূর্বথানার অধিনস্থ আব্দুল্লাহপুর পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় এসব চাঁদাবাজি চলছে। তাই সাধারণ মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন বেপরোয়া জাকিরের খুঁটির জোড় কোথায়? প্রায় এক যুগ ধরে চলছে এই চাঁদাবাজী। এ নিয়ে সাংবাদিকরা নিউজ করলেই মারধর ও মৃত্যুর হুমকি দেয় এই চাঁদাবাজ জাকির।
সূত্রে উঠে আসে নানা তথ্য, জাকির দোকানদারদের নিকট থেকে দৈনিক এবং মাসিক চাঁদা আদায় করে তার ভাগ চলে যায় পূর্বথানার প্রভাবশালী আওমীলীগ নেতার পকেটে।