বিশেষ প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে একের পর এক মারা যাচ্ছে ডলফিন। নৌপুলিশ ও প্রশাসনের ভ্রম্যমান টহল যান মাঝে মধ্যে নদীতে দেখা গেলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না জালপাতা আর ছোট বড় যান্ত্রিক নৌযান চলাচল। এই নদীর উপর যারা নজরদারী করেন তাদের মতে গত চার বছরে এই নদীর ৩৩টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া এসব ডলফিনের গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সর্বশেষ মরা একটি ডলফিন পাওয়া গেছে গত রোববার মাদশা এলাকায়। ওই ডলফিনটির শরীরের পঁচন ধরেছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্যানুসারে অধিকাংশ মারা ডলফিন পাওয়া গেছে হালদার কচুখাইন থেকে মাদর্শা আমতুয়া এলাকার মধ্যে। হালদার মুখ থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার উজানের গড়দুয়া পর্যন্ত রয়েছে জাল পেতে মাছ চোরদের তৎপরতা ।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা বলেছেন এই এলাকায় সংঘবদ্ধ মাছ চোররা রাতের বেলায় নদীতে বড় বড় জাল পেতে মাছ মারে। নদীতে দেখা যায় দিনের রাতে বালুবাহী নৌযান চলাচলের দৃশ্য। নদী পাড়ের বাসিন্দা উরকিরচর ইউনিয়নের মেম্বার কাউছার আলম বলেছেন গত প্রায় তিন মাস আগে তার গ্রামের পার্শ্ববর্তী হালদায় মাছ চোরদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা ওই অভিযানে নদীতে পেতে রাখা প্রায় পাঁচ হাজার মিটার জাল জব্দ করে প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছেন।

হালদা পাড়ের মদুনাঘাট এর ব্যবসায়ী ও হালদা রক্ষা কমিটির একসদস্য মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঝে মধ্যে নদীতে নেমে অভিযান চালিয়ে জাল নৌকা জব্দ করে ধ্বংস করলেও জালপাতা ও নৌযান চলাচল বন্ধ হচ্ছে না।

তিনি বলেন হালদার জলজ প্রাণী রক্ষা করতে হলে আইনের কঠোর প্রযোগ করতে হবে। হালদা মুখ এলাকার বাসিন্দাদের মতে কর্ণফুলী ও হালদার সংযোগস্থলে কয়েক’শ বালুবাহি নৌযান চলাচল করে। কর্ণফুলী ও হালদার চর থেকে বড় বড় ড্রেজারে বালু উঠিয়ে ওসব যান্ত্রিক নৌযানে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। তাদের ধারণা ওই এলাকায় চলাচলকারী যান্ত্রিক নৌযানের ডুবন্ত পাখায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ডলফিল মারা যাচ্ছে। কিছু কিছু ডলফিন জালে আটকেও মারা যাচ্ছে।

হালদা নদীর তীরে ইটের ভাটায় ইট তৈয়ারীর জন্য বড় বড় যান্ত্রিক নৌযানে করে মাটি ও ইট ভাটায় তৈয়ারী করা ইট যান্ত্রিক নৌযানে করে হালদা নদী দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে । অপরদিকে হালদা নদীর ভাঙ্গনরোধে বাধ নির্মান কাজের জন্য পাথর, বালু, সিমেন্ট লোহর রড বড় বড় যান্ত্রিক নৌযান ও ড্রেজার দিয়ে হালাদা নদী দিয়ে প্রতিনিয়ত পরিবহন করা হচ্ছে ।

জানা যায় নদীর দুই পাড় রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা মৎস্যকর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, হালদা নদীতে প্রশাসনের অভিযানে গত চার বছরে কয়েক লাখ মিটার জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। সুত্র মতে প্রশাসন যখনই নদিতে অভিযানে যাচ্ছেন প্রতিবারেই জাল জব্দ করছেন, নৌযান ধ্বংস করছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভোগের অধ্যাপক ও হালদা রির্সাচ কেন্দ্রের সমন্বয়ক মনজুরুল কিবরীয়া একের পর এক ডলফিন মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন নদীর মা মাছ ও ডলফিন রক্ষায় আইনের প্রয়োগ কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা না হলে হালদার জীব বৈচিত্র ও নদীতে থাকা অবশিষ্ট ডলফিনও অচিরেই হারিয়ে যাবে।

বিশেষ প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে একের পর এক মারা যাচ্ছে ডলফিন। নৌপুলিশ ও প্রশাসনের ভ্রম্যমান টহল যান মাঝে মধ্যে নদীতে দেখা গেলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না জালপাতা আর ছোট বড় যান্ত্রিক নৌযান চলাচল। এই নদীর উপর যারা নজরদারী করেন তাদের মতে গত চার বছরে এই নদীর ৩৩টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া এসব ডলফিনের গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সর্বশেষ মরা একটি ডলফিন পাওয়া গেছে গত রোববার মাদশা এলাকায়। ওই ডলফিনটির শরীরের পঁচন ধরেছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্যানুসারে অধিকাংশ মারা ডলফিন পাওয়া গেছে হালদার কচুখাইন থেকে মাদর্শা আমতুয়া এলাকার মধ্যে। হালদার মুখ থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার উজানের গড়দুয়া পর্যন্ত রয়েছে জাল পেতে মাছ চোরদের তৎপরতা ।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা বলেছেন এই এলাকায় সংঘবদ্ধ মাছ চোররা রাতের বেলায় নদীতে বড় বড় জাল পেতে মাছ মারে। নদীতে দেখা যায় দিনের রাতে বালুবাহী নৌযান চলাচলের দৃশ্য। নদী পাড়ের বাসিন্দা উরকিরচর ইউনিয়নের মেম্বার কাউছার আলম বলেছেন গত প্রায় তিন মাস আগে তার গ্রামের পার্শ্ববর্তী হালদায় মাছ চোরদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা ওই অভিযানে নদীতে পেতে রাখা প্রায় পাঁচ হাজার মিটার জাল জব্দ করে প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছেন।

হালদা পাড়ের মদুনাঘাট এর ব্যবসায়ী ও হালদা রক্ষা কমিটির একসদস্য মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঝে মধ্যে নদীতে নেমে অভিযান চালিয়ে জাল নৌকা জব্দ করে ধ্বংস করলেও জালপাতা ও নৌযান চলাচল বন্ধ হচ্ছে না।

তিনি বলেন হালদার জলজ প্রাণী রক্ষা করতে হলে আইনের কঠোর প্রযোগ করতে হবে। হালদা মুখ এলাকার বাসিন্দাদের মতে কর্ণফুলী ও হালদার সংযোগস্থলে কয়েক’শ বালুবাহি নৌযান চলাচল করে। কর্ণফুলী ও হালদার চর থেকে বড় বড় ড্রেজারে বালু উঠিয়ে ওসব যান্ত্রিক নৌযানে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। তাদের ধারণা ওই এলাকায় চলাচলকারী যান্ত্রিক নৌযানের ডুবন্ত পাখায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ডলফিল মারা যাচ্ছে। কিছু কিছু ডলফিন জালে আটকেও মারা যাচ্ছে।

হালদা নদীর তীরে ইটের ভাটায় ইট তৈয়ারীর জন্য বড় বড় যান্ত্রিক নৌযানে করে মাটি ও ইট ভাটায় তৈয়ারী করা ইট যান্ত্রিক নৌযানে করে হালদা নদী দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে । অপরদিকে হালদা নদীর ভাঙ্গনরোধে বাধ নির্মান কাজের জন্য পাথর, বালু, সিমেন্ট লোহর রড বড় বড় যান্ত্রিক নৌযান ও ড্রেজার দিয়ে হালাদা নদী দিয়ে প্রতিনিয়ত পরিবহন করা হচ্ছে ।

জানা যায় নদীর দুই পাড় রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা মৎস্যকর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, হালদা নদীতে প্রশাসনের অভিযানে গত চার বছরে কয়েক লাখ মিটার জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। সুত্র মতে প্রশাসন যখনই নদিতে অভিযানে যাচ্ছেন প্রতিবারেই জাল জব্দ করছেন, নৌযান ধ্বংস করছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভোগের অধ্যাপক ও হালদা রির্সাচ কেন্দ্রের সমন্বয়ক মনজুরুল কিবরীয়া একের পর এক ডলফিন মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন নদীর মা মাছ ও ডলফিন রক্ষায় আইনের প্রয়োগ কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা না হলে হালদার জীব বৈচিত্র ও নদীতে থাকা অবশিষ্ট ডলফিনও অচিরেই হারিয়ে যাবে।