সংকলন, আমেনা বেগম: শীত আসতে না আসতেই ঠোঁট ফাটার যন্ত্রণা শুরু হয়। আবহাওয়া শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়ায় কিছুক্ষণ পরপর ঠোঁট শুকিয়ে আসে। এই ঠোঁট ফাটার সমস্যায় যত্ন না নিলে সমস্যা বাড়তেই থাকে। তাই শীতে ঠোঁটের যত্ন নেওয়া জরুরি।
শীতের শুরু থেকেই ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি, নারকেল তেল বা গ্লিসারিন ঠোঁট ও ঠোঁটের চারদিকে লাগাতে হবে। বাইরে গেলে লিপবাম অথবা লিপজেল সবসময় সাথে রাখা ভালো।
সপ্তাহে একবার আধা চামচ চিনি ও কোল্ড ক্রিম একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে মাখিয়ে রাখুন।
শীতকালে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় এমন লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। ঠোঁটে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লিপস্টিক লাগাতে হবে। এসময় ম্যাট লিপস্টিক পরিহার করাই ভালো।
লেবু ও চিনি একসাথে ঠোঁটে ২-৩ মিনিট স্ক্রাব করা উচিত। সপ্তাহে দুই/তিন দিন এই স্ক্রাব করতে পারেন।
কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল ও সামান্য মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগাতে পারেন। সপ্তাহে প্রতিদিন এটি লাগাতে পারেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, ফল ও সবজি খেতে হবে। এতে ঠোঁট ময়েশ্চার থাকবে। এতে শরীরের তথা ঠোঁটে পানির ঘাটতি থাকবে না।
ঠোঁট ফাটলে মরা চামড়া আঙ্গুল দিয়ে উঠানো যাবে না। রাতে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে পরেরদিন সকালে পাতলা কাপড় দিয়ে ঘষলেই মরা চামড়া উঠে যাবে।
অনেকেই ঠোঁটের শুষ্কতা রোধের জন্য জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখেন। কিন্তু এতে ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হয়। অনেক সময় ঠোঁট ফেটেও যায় এর কারণে। তাই ঠোঁট শুষ্ক হলে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত।
রাতে শোবার আগে আমন্ড অয়েল মাখিয়ে রাখলে ঠোঁট সুস্থ থাকে।
ঠোঁটের মসৃণতা বজায় রাখতে স্ট্রবেরির ক্বাথ, মধু ও দুধের সর মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। ১৫/২০ পর ধুয়ে ফেলুন।
ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতে প্রতিদিন অলিভ অয়েল, মধু ও গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট ১০ পর আলতো ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার করাই ভালো। নন ব্র্যান্ডের বা কম দামি লিপস্টিক ঠোঁটের অনেক ক্ষতি করে। তাৎক্ষণিক ভাবে না হলেও ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হয়।