নিজস্ব প্রতিবেদক: পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৩ উপজেলার আ’লীগের ২০ জন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আ’লীগের দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের যারা সহযোগিতা করবে তাদেরকেও দল থেকে বহিস্কারের হুশিয়ারী দিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাঃ সম্পাদক।

উল্লেখ্য আগামি ৫ জানুয়ারী অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে। ৯০-তম কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার গত ২৭ নভেম্বর (শনিবার) নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ’লীগের কেউ কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র)  হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। এতে আ’লীগের কর্মী ও জনগণের মধ্যে তীব্র সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার দায়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের তিন উপজেলার ২০ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে দক্ষিণ জেলা আ’লীগ।

তিন উপজেলা হলো, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী ও আনোয়ারা উপজেলা। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাঁদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। তবে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপরিশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। বহিস্কারের মধ্যে কেউ কেউ গত নির্বাচনেও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছিলেন। এতে তাদেরকে গতবারও সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছিল। এই সাময়িক বহিস্কার আবার পরে আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত হওয়াকে নিয়ে জনমনে তীব্র সমালোচনায় ঝড় বইছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য গিয়াস উদ্দিন সোহেল। সারোয়াতলী ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এ এম এম ইউসুফ চৌধুরী। চরণদ্বীপ ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক নুরুল আমিন খান। ৮ নং শ্রীপুর খরন্দ্বীপ ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দিন। আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো: আমিনুল হক চৌধুরী। রায়পুর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিন শরিফ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সদস্য ফজলুল কাদের। বরুমচড়া ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বশর। সদর ইউনিয়নে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম টিপু।  চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে আবদুল শুক্কুর, হাশিমপুর ইউনিয়নে আলমগীর ইসলাম, আমির মোঃ সাইফুদ্দীন ও মোজাম্মেল হক, ধোপাছড়ি ইউনিয়নে মোরশেদুল আলম, বরমা ইউনিয়নে জাবেদ গাউছ মিল্টন ও খোরশেদুল আলম টিটু, বরকল ইউনিয়নে আবদুর রহিম ও রাশেদুল আলম, বৈলতলী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এড. আনোয়ারুল মোস্তফা চৌধুরী দুলাল।

জানা যায়, বহিস্কারকৃত বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ারা রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিন শরিফ একজন রাজাকার পুত্র। যার বিরুদ্ধে স্থানীয় সচেতন মহলে চট্টগ্রামের এক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গভেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। লেখক তার গ্রন্থে ঐ নেতার পিতা একজন রাজাকার ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। যা বর্তমান প্রজন্মের সামনে প্রকাশ্যে আসাতেই লেখক ও গবেষক জামাল উদ্দিন ও আনোয়ারার মুক্তিযোদ্ধা ইউছুপের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেন এই নেতা। ঐ মামলা প্রত্যাহারের জন্য গত  ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন চট্টগ্রামের লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, আনোয়ারা প্রেস ক্লাবসহ সচেতন নাগরিক সমাজ। জনমনে প্রশ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় একজন রাজাকার পুত্র কিভাবে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হতে পারে এবং আ’লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারে।

আনোয়ারা ৭নং সদর এর দিদারুল ইসলাম টিপু এবং বরমা ইউনিয়নের জাবেদ গাউজ মিল্টনকে গত নির্বাচনেও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করাতেই দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করেন বলে জানা গেছে।

বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অর্থাৎ নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে যে সকল নেতা কাজ করছেন বা প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ করছেন তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ার করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাঃ সম্পাদক।

নিজস্ব প্রতিবেদক: পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৩ উপজেলার আ’লীগের ২০ জন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আ’লীগের দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের যারা সহযোগিতা করবে তাদেরকেও দল থেকে বহিস্কারের হুশিয়ারী দিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাঃ সম্পাদক।

উল্লেখ্য আগামি ৫ জানুয়ারী অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে। ৯০-তম কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার গত ২৭ নভেম্বর (শনিবার) নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ’লীগের কেউ কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র)  হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। এতে আ’লীগের কর্মী ও জনগণের মধ্যে তীব্র সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার দায়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের তিন উপজেলার ২০ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে দক্ষিণ জেলা আ’লীগ।

তিন উপজেলা হলো, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী ও আনোয়ারা উপজেলা। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাঁদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। তবে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপরিশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। বহিস্কারের মধ্যে কেউ কেউ গত নির্বাচনেও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছিলেন। এতে তাদেরকে গতবারও সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছিল। এই সাময়িক বহিস্কার আবার পরে আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত হওয়াকে নিয়ে জনমনে তীব্র সমালোচনায় ঝড় বইছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য গিয়াস উদ্দিন সোহেল। সারোয়াতলী ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এ এম এম ইউসুফ চৌধুরী। চরণদ্বীপ ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক নুরুল আমিন খান। ৮ নং শ্রীপুর খরন্দ্বীপ ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দিন। আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো: আমিনুল হক চৌধুরী। রায়পুর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিন শরিফ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সদস্য ফজলুল কাদের। বরুমচড়া ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বশর। সদর ইউনিয়নে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম টিপু।  চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে আবদুল শুক্কুর, হাশিমপুর ইউনিয়নে আলমগীর ইসলাম, আমির মোঃ সাইফুদ্দীন ও মোজাম্মেল হক, ধোপাছড়ি ইউনিয়নে মোরশেদুল আলম, বরমা ইউনিয়নে জাবেদ গাউছ মিল্টন ও খোরশেদুল আলম টিটু, বরকল ইউনিয়নে আবদুর রহিম ও রাশেদুল আলম, বৈলতলী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এড. আনোয়ারুল মোস্তফা চৌধুরী দুলাল।

জানা যায়, বহিস্কারকৃত বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ারা রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিন শরিফ একজন রাজাকার পুত্র। যার বিরুদ্ধে স্থানীয় সচেতন মহলে চট্টগ্রামের এক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গভেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। লেখক তার গ্রন্থে ঐ নেতার পিতা একজন রাজাকার ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। যা বর্তমান প্রজন্মের সামনে প্রকাশ্যে আসাতেই লেখক ও গবেষক জামাল উদ্দিন ও আনোয়ারার মুক্তিযোদ্ধা ইউছুপের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেন এই নেতা। ঐ মামলা প্রত্যাহারের জন্য গত  ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন চট্টগ্রামের লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, আনোয়ারা প্রেস ক্লাবসহ সচেতন নাগরিক সমাজ। জনমনে প্রশ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় একজন রাজাকার পুত্র কিভাবে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হতে পারে এবং আ’লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারে।

আনোয়ারা ৭নং সদর এর দিদারুল ইসলাম টিপু এবং বরমা ইউনিয়নের জাবেদ গাউজ মিল্টনকে গত নির্বাচনেও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করাতেই দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করেন বলে জানা গেছে।

বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অর্থাৎ নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে যে সকল নেতা কাজ করছেন বা প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ করছেন তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ার করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাঃ সম্পাদক।