নিজস্ব প্রতিনিধি: ৪র্থ ধাপে লোহাগাড়ায় ৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয় গত ২৬ ডিসেম্বর রবিবার। এ নির্বাচনে পদুয়া, কলাউজান ও চুনতি ইউনিয়নে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থীরা। উক্ত তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীগণ। তবে, এ তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিতরা পরাজিতদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উপজেলার পদুয়া ইউয়িনে, পদুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দফায়-দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শিক্ষক মো. আবু বকর জানিয়েছেন, সংঘর্ষের কারণে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে, নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় ভোটগ্রহণ পুণরায় শুরু করা হয়। স্থানীয়দের মতে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্থানীয়ভাবে মেম্বার প্রার্থীরা সংঘর্ষের জন্য দায়ী। এ কেন্দ্রে অনিয়মের ছবি ধারণ করতে গিয়ে একজন ছাত্রলীগ নেতার হাতে নাজাল হন জাতীয় দৈনিক খবরপত্রের লোহাগাড়া প্রতিনিধি। এছাড়াও পদুয়া দারুসুন্নাহ্ আইনুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ব্যালটে একতরফা সীল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীও বিরুদ্ধে। একইভাবে পদুয়া ফরিয়াদুলকুল কেন্দ্রেও নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কলাউজান ইউনিয়নে আদারচর কেন্দ্র ও ডা. এয়াকুব বজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে একতরফা সীল মারার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। সাতকানিয়া উপজেলার এক ইউনিয়নের জনৈক সাবেক চেয়ারম্যান ওই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সীল মেরেছেন তাঁর লোকজন নিয়ে। এই কেন্দ্রে চট্টগ্রাম শহর হতে আসা একাধিক সাংবাদিক নাজেহাল হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এছাড়াও আরও একাধিক কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে নৌকা প্রার্থীও বিরুদ্ধে। কলাউজান ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চুনতি ইউপি নির্বাচনে ২, ৩, ৭, ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত প্রার্থী। এই ইউনিয়নেও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত প্রার্থী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আরও জানান, ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে নৌকায় ভোট দিয়েছেন।
চরম্বা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগের সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে, অত্র ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে নির্বাচিত ওসমান গণির বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন মেম্বার পদে প্রার্থী মো. জমির। এ ব্যাপারে তিনি উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। মো. জমির জানান, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থরা ভোট গণনার শেষপর্যায়ে অতর্কিতভাবে প্রার্থী জমিরের সমর্থকদের ওপর শসস্ত্র হামলা করা হয়েছে। এ হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন মো. ইলিয়াছ (৩৫)। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। এছাড়াও হামলা আহত হয়েছেন মেম্বার প্রার্থী জমির ও তার সমর্থক সালাহ উদ্দীন। এ সব অভিযোগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।