বিশেষ প্রতিবেদক: সুগন্ধা নদীতে আগুন লাগা লঞ্চে কি কারণে আগুনের সুত্রপাত সে বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে লঞ্চের ইঞ্জিনিরে ক্রটি ও মালিক চালকের গাফিলতি ধরা পড়েছে।

লঞ্চের মালিক থেকে শুরু করে মাস্টার, সুকানিসহ কর্মচারীদের সবার দায়িত্বহীনতার কারণে ঝরে গেছে ৪১ প্রাণ। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্তে লঞ্চের ইঞ্জিনের ত্রুটি এবং দায়িত্বশীলদের গাফিলতির তথ্য পেয়েছেন।

অনুমতি ছাড়াই বদলে ফেলা হয় ‘এমভি অভিযান ১০’ লঞ্চের ইঞ্জিন। সেই ইঞ্জিনের ত্রুটি থেকেই প্রচন্ড উত্তাপের সৃষ্টি। আর সেই তাপ থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার পরও যাত্রীদের সতর্ক করেনি লঞ্চে কর্তব্যরত কর্মীরা। যথেষ্ট সময় পেলেও যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি তারা।

গতকাল শনিবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান-১০ পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা কয়েকটি লঞ্চের মাস্টারদের ডেকে তাদের মতামত জানতে চান।

কমিটির সদস্যরা বলেন, ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী ওই লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত ইঞ্জিন রুমে। লঞ্চের দুটি ইঞ্জিনের একটির ছয়টি ইন্ডিকেটর কভারের মধ্যে ৩ নম্বর নাট (নজেল) ঢিলা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া একই ইঞ্জিনের ৬ নম্বর সিলিন্ডার হেডের কভার ভাঙা পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে প্রচ- তাপ সৃষ্টি হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

এদিকে পুড়ে অঙ্গার ৩০ জনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কাতরাচ্ছে ১৫ জন। কয়েকজন এখনো নিখোঁজ। প্রিয়জনের মৃতদেহটা পেতে এখনো সুগন্ধার পাড়ে স্বজনদের ভিড়। ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

স্বজনদের কাছে ৩০টি পোড়া মুখ একেবারে অচেনা। শরীর পুড়ে অঙ্গার। বাকি শুধু কঙ্কালটুকু। যা দেখে পরিচয় নিশ্চিত করার কোনো উপায় নেই। মৃতদেহ সংরক্ষণের আধুনিক প্রযুক্তি না থাকায় গণকবরে তাদের দাফন করা হয়েছে। প্রিয়জনকে শেষ বিদায়ে ছুঁয়ে দেখতে পারেনি স্বজনরা।

লঞ্চের কর্মচারীরা তদন্ত কমিটিতে বলেন, বেশিরভাগ লঞ্চে সমুদ্রগামী জাহাজের পুরনো জেনারেটর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। তাপে ইঞ্জিন রুম উত্তপ্ত হয়ে যায়। ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনের বিষয়টি আগে থেকে খেয়াল না করলে তাপ থেকে আগুন লেগে গেলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ইঞ্জিন রুমে থাকা দাহ্যপদার্থ আগুন ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে দেয়।

অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, আগের ইঞ্জিনে ত্রুটি থাকায় গত অক্টোবরে ইঞ্জিন বদলানো হয়।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার মাহবুবুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, কাঠামোগত পরিবর্তন বা ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন পরিবর্তনের আগে আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি।

লঞ্চের সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রাত আড়াইটার দিকে তিনি নিচতলার টয়লেটে থাকা অবস্থায় বাতি বন্ধ হয়েছে যায়। এর পর বের হয়ে দেখেন ইঞ্জিন রুমে আগুন। চালক কামাল ও গ্রিজারম্যান সুমন দৌড়াদৌড়ি করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র খুঁজলেও অন্ধকারে কিছুই পাচ্ছিল না। তাদের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র খোঁজার সময়ই দ্বিতীয় তলায় আগুন দেখতে পান। ইঞ্জিন রুমের আগুন দ্বিতীয় তলায় যাওয়ায় অবাক হয়ে যান। এর পর দৌড়ে ইঞ্জিন রুম থেকে বেরিয়ে যান।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত শেষে সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দিবে বলে জানা যায়। দোষীদের আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

বিশেষ প্রতিবেদক: সুগন্ধা নদীতে আগুন লাগা লঞ্চে কি কারণে আগুনের সুত্রপাত সে বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে লঞ্চের ইঞ্জিনিরে ক্রটি ও মালিক চালকের গাফিলতি ধরা পড়েছে।

লঞ্চের মালিক থেকে শুরু করে মাস্টার, সুকানিসহ কর্মচারীদের সবার দায়িত্বহীনতার কারণে ঝরে গেছে ৪১ প্রাণ। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্তে লঞ্চের ইঞ্জিনের ত্রুটি এবং দায়িত্বশীলদের গাফিলতির তথ্য পেয়েছেন।

অনুমতি ছাড়াই বদলে ফেলা হয় ‘এমভি অভিযান ১০’ লঞ্চের ইঞ্জিন। সেই ইঞ্জিনের ত্রুটি থেকেই প্রচন্ড উত্তাপের সৃষ্টি। আর সেই তাপ থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার পরও যাত্রীদের সতর্ক করেনি লঞ্চে কর্তব্যরত কর্মীরা। যথেষ্ট সময় পেলেও যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি তারা।

গতকাল শনিবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান-১০ পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা কয়েকটি লঞ্চের মাস্টারদের ডেকে তাদের মতামত জানতে চান।

কমিটির সদস্যরা বলেন, ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী ওই লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত ইঞ্জিন রুমে। লঞ্চের দুটি ইঞ্জিনের একটির ছয়টি ইন্ডিকেটর কভারের মধ্যে ৩ নম্বর নাট (নজেল) ঢিলা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া একই ইঞ্জিনের ৬ নম্বর সিলিন্ডার হেডের কভার ভাঙা পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে প্রচ- তাপ সৃষ্টি হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

এদিকে পুড়ে অঙ্গার ৩০ জনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কাতরাচ্ছে ১৫ জন। কয়েকজন এখনো নিখোঁজ। প্রিয়জনের মৃতদেহটা পেতে এখনো সুগন্ধার পাড়ে স্বজনদের ভিড়। ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

স্বজনদের কাছে ৩০টি পোড়া মুখ একেবারে অচেনা। শরীর পুড়ে অঙ্গার। বাকি শুধু কঙ্কালটুকু। যা দেখে পরিচয় নিশ্চিত করার কোনো উপায় নেই। মৃতদেহ সংরক্ষণের আধুনিক প্রযুক্তি না থাকায় গণকবরে তাদের দাফন করা হয়েছে। প্রিয়জনকে শেষ বিদায়ে ছুঁয়ে দেখতে পারেনি স্বজনরা।

লঞ্চের কর্মচারীরা তদন্ত কমিটিতে বলেন, বেশিরভাগ লঞ্চে সমুদ্রগামী জাহাজের পুরনো জেনারেটর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। তাপে ইঞ্জিন রুম উত্তপ্ত হয়ে যায়। ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনের বিষয়টি আগে থেকে খেয়াল না করলে তাপ থেকে আগুন লেগে গেলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ইঞ্জিন রুমে থাকা দাহ্যপদার্থ আগুন ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে দেয়।

অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, আগের ইঞ্জিনে ত্রুটি থাকায় গত অক্টোবরে ইঞ্জিন বদলানো হয়।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার মাহবুবুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, কাঠামোগত পরিবর্তন বা ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন পরিবর্তনের আগে আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি।

লঞ্চের সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রাত আড়াইটার দিকে তিনি নিচতলার টয়লেটে থাকা অবস্থায় বাতি বন্ধ হয়েছে যায়। এর পর বের হয়ে দেখেন ইঞ্জিন রুমে আগুন। চালক কামাল ও গ্রিজারম্যান সুমন দৌড়াদৌড়ি করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র খুঁজলেও অন্ধকারে কিছুই পাচ্ছিল না। তাদের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র খোঁজার সময়ই দ্বিতীয় তলায় আগুন দেখতে পান। ইঞ্জিন রুমের আগুন দ্বিতীয় তলায় যাওয়ায় অবাক হয়ে যান। এর পর দৌড়ে ইঞ্জিন রুম থেকে বেরিয়ে যান।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত শেষে সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দিবে বলে জানা যায়। দোষীদের আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।