ঢাকা : সরকার দেশের মানুষকে সঠিক ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ শনিবার বিকালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশনের হলরুমে জিয়া শিশু একাডেমির ‘শাপলাকুঁড়ি’র অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমি’র উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘শাপলাকুঁড়ি’র শিল্পীদের পুরস্কার বিতরণ ও বড়দিনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেছেন, আমরা অনেকে ভুলে যাচ্ছি অথবা ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছি এই যে একটা আবহ সৃষ্টি হয়েছে, অতীতের যা কিছু মহান, যা কিছুকে ভালো সবকিছু ভুলিয়ে দাও। আর যারা ভালো কাজ করছে, করেছে, আমাদের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে তাদের মনে করার কোনো দরকার নেই- এ ধরনের একটা আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা খুব কষ্টের, বেদনার। এমন পরিস্থিতি কখনও কোনো জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় না। আমরা নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে চাই, আনন্দময় স্বপ্ন দেখতে চাই। আমরা আলোকিত পৃথিবী চাই, অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। যদি আমাদের চারদিকে অন্ধকার ছেয়েও ফেলে, তবুও আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।
শিশুরা একটি নতুন পৃথিবী নির্মাণে সুন্দর স্বপ্ন দেখবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখতেন একটা আনন্দময়, কল্যাণময় সমৃদ্ধ একটা বাংলাদেশ গড়বার। তিনি শুরু করেছিলেন সেইভাবে, প্রতিটি শিশুকে শ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সংকটটা বড় জটিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে এই বছর। একইসঙ্গে চলছে বিজয়ের মাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, পথ দেখিয়েছিলেন, আমাদের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, আমাদের জন্য বন্দি ছিলেন- এই বিজয়ের মাসে তাদেরকে আমরা সেইভাবে সামনে নিয়ে আসতে পারছি না, মনে করতে পারছি না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অবশ্যই স্মরণ করবো আমাদের সেই মহান প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম খালেদা জিয়াকে, যিনি সমস্ত প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন। তিনি আজ অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আজকের এই বড়দিনে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি- তিনি যেন তাকে সুস্থ করে আবার আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে দেন। শাপলা কুঁড়ির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। ১৯৯৯ সাল থেকে এই পর্যন্ত যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন তাদেরকে এই অনুষ্ঠানে শাপলা কুঁড়ি মেডেল দেওয়া হয়।
জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টা প্রমুখ।
Post Views: 575