নিজস্ব প্রতিবেদক :  জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বেনিন শহীদ শান্তিসেনা দিবস’ এর ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আজ  শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় স্মরণসভায় হারুনুর রশিদ এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সিএলএনবি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান উন্নয়ন কর্মী নাজমা আক্তার।

স্মরণ সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তির আলোক বর্তীকাবাহী বাংলাদেশ। সারাবিশ্বের সংঘাতময় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের শান্তিসেনাদের আত্মত্যাগ বিশ্বে সর্বজনস্বীকৃত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক সামরিক ও পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশ বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে সাত হাজার শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। এই বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রায় পনে দুই লক্ষ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১১টি দেশে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালন করছেন।

বক্তাগণ আরও বলেন, “ মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে গড়ে ওঠা আমাদের গৌরব বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা শান্তির জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। সংঘাতময় দেশে শান্তি স্থাপন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের ১৫৯ জনকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। এজন্য তাঁরা দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনছে। আমরা এই শান্তিরক্ষী সেনাসহ শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত/মৃত্যুবরনকারী দেশের সকল শান্তি সেনা ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।”

বক্তাগণ বলেন, আজ বেনিন শহীদ শান্তিসেনা দিবস ১৮তম বর্ষপূর্তি। ২০০৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়া ও সিয়েরালিওন থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন সমাপ্ত করে দেশে ফেরার পথে বেনিন সাগর উপকূলে এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় শহীদ হন বাংলাদেশের ১৫ সেনা কর্মকর্তা। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ এর আত্মদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশের শান্তি রক্ষা মিশন দ্যাগ হেমারসোল্ড  জাতিসংঘ শান্তি পুরস্কার লাভ করেছে। আমরা আশা করি, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদানের জন্য বাংলাদেশ একদিন নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করবে।”

স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী কে. এম. জাবির, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর, দেশরক্ষা আন্দোলনের নেতা মুক্তিযোদ্ধা এম সানোয়ার হোসেন, শ্রমিক নেতা এ.এ.এম ফয়েজ হোসেন, বজলুর রহমান বাবলু, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, শ্রমিক নেত্রী কামরুননাহার, গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি কমান্ডার মোস্তফা

উল্লেখ্য, বেনিনে দুর্ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তারা হলেন লেঃ কর্নেল আরেফিন, মেজর রওনক, মেজর রহিম, মেজর মুস্তাফিজ, মেজর মোশাররফ, মেজর ইমতিয়াজ, মেজর বাতেন, ক্যাপ্টেন আব্দুল মাবুদ, ক্যাপ্টেন রাকিব, ক্যাপ্টেন আরিফ, ক্যাপ্টেন রফিক, ক্যাপ্টেন ফরিদ, ক্যাপ্টেন জাহিদ, ক্যাপ্টেন আলাউদ্দিন ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শফিক।

নিজস্ব প্রতিবেদক :  জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বেনিন শহীদ শান্তিসেনা দিবস’ এর ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আজ  শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় স্মরণসভায় হারুনুর রশিদ এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সিএলএনবি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান উন্নয়ন কর্মী নাজমা আক্তার।

স্মরণ সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তির আলোক বর্তীকাবাহী বাংলাদেশ। সারাবিশ্বের সংঘাতময় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের শান্তিসেনাদের আত্মত্যাগ বিশ্বে সর্বজনস্বীকৃত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক সামরিক ও পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশ বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে সাত হাজার শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। এই বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রায় পনে দুই লক্ষ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১১টি দেশে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালন করছেন।

বক্তাগণ আরও বলেন, “ মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে গড়ে ওঠা আমাদের গৌরব বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা শান্তির জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। সংঘাতময় দেশে শান্তি স্থাপন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের ১৫৯ জনকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। এজন্য তাঁরা দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনছে। আমরা এই শান্তিরক্ষী সেনাসহ শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত/মৃত্যুবরনকারী দেশের সকল শান্তি সেনা ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।”

বক্তাগণ বলেন, আজ বেনিন শহীদ শান্তিসেনা দিবস ১৮তম বর্ষপূর্তি। ২০০৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়া ও সিয়েরালিওন থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন সমাপ্ত করে দেশে ফেরার পথে বেনিন সাগর উপকূলে এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় শহীদ হন বাংলাদেশের ১৫ সেনা কর্মকর্তা। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ এর আত্মদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশের শান্তি রক্ষা মিশন দ্যাগ হেমারসোল্ড  জাতিসংঘ শান্তি পুরস্কার লাভ করেছে। আমরা আশা করি, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদানের জন্য বাংলাদেশ একদিন নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করবে।”

স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী কে. এম. জাবির, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর, দেশরক্ষা আন্দোলনের নেতা মুক্তিযোদ্ধা এম সানোয়ার হোসেন, শ্রমিক নেতা এ.এ.এম ফয়েজ হোসেন, বজলুর রহমান বাবলু, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, শ্রমিক নেত্রী কামরুননাহার, গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি কমান্ডার মোস্তফা

উল্লেখ্য, বেনিনে দুর্ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তারা হলেন লেঃ কর্নেল আরেফিন, মেজর রওনক, মেজর রহিম, মেজর মুস্তাফিজ, মেজর মোশাররফ, মেজর ইমতিয়াজ, মেজর বাতেন, ক্যাপ্টেন আব্দুল মাবুদ, ক্যাপ্টেন রাকিব, ক্যাপ্টেন আরিফ, ক্যাপ্টেন রফিক, ক্যাপ্টেন ফরিদ, ক্যাপ্টেন জাহিদ, ক্যাপ্টেন আলাউদ্দিন ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শফিক।