ক্রীড়া প্রতিবেদক: আগের দিন নেপালের বিপক্ষে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছিলেন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। এবার কুয়েতের সঙ্গে তিন অঙ্কের দেখা পেলেন ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম। তার বিদায়ের পর ঝড় তুললেন মেহরব হোসেন। তাতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল পেল প্রায় তিনশ ছোঁয়া সংগ্রহ। বাকি কাজটা অনায়াসে সারলেন বোলাররা। যুব এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় জয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল নাভিদ নেওয়াজের শিষ্যরা। আজ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) শারজাহতে ২২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ৪৯.২ ওভারে ২৯১ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে কুয়েত অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২৫.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ৬৪ রানে।

মাহফিজুল ১১২ রান করেন ১১৯ বলে। তার ইনিংসে ছিল ১২ চার ও ৪ ছক্কা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মেহেরব ২৪ বলে ৪২ রান করেন ৫ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে। পেসার রিপন মন্ডল ৮ ওভারে ১০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল। ২টি করে উইকেট যায় অফ স্পিনার মেহেরব ও বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানের ঝুলিতে। একই ভেন্যুতে নেপালকে ১৫৪ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এদিন রকিবুলের নেতৃত্বাধীন দলের কাছে পাত্তা পেল না কুয়েতও। দুই দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রত্যাশিত জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগামীকাল শারজাহতেই নেপালের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানরা জিতলে তাদের পাশাপাশি বাংলাদেশও উঠে যাবে আসরের সেমিতে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশের যুবারা। দলীয় ৩ রানে সাজঘরের পথ ধরেন ইফতেখার হোসেন। এরপর মাহফিজুল ও আইচ মোল্লা বড় জুটি গড়ে দলকে দেন বড় সংগ্রহের ভিত। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ৮৪ রান। জুটিতে অগ্রগামী ভূমিকায় ছিলেন মাহফিজুল।আইচ ফেরেন ৩৯ বলে ২০ করে। এর আগেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মাহফিজুল। চার মেরে ফিফটিতে পৌঁছাতে তার লাগে ঠিক ৫০ বল। একপ্রান্ত আগলে রেখে আরও দুটি কার্যকর জুটি গড়েন তিনি। আরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগ করেন ৫৩ রান, তাহজিবুল ইসলামের সঙ্গে ৪৪। ইনিংসের ৩২তম ওভারে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মাহফিজুল। সিঙ্গেল নিয়ে এই মাইলফলকে যেতে তিনি মোকাবিলা করেন ১০৭ বল। সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টেকেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। তাকে বিদায় করেন মোহাম্মদ উমর।

ক্রিজে গিয়েই বাউন্ডারির মেলা বসিয়ে দেন বাঁহাতি মেহেরব। তাতে দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে রান। আব্দুল সাদিকের শিকার হয়ে তিনি সাজঘরে ফেরার পর শেষদিকে প্রত্যাশিত ঝড় তোলা হয়নি বাংলাদেশের। তবে রকিবুল ও মুশফিক হাসানের ব্যাটে ২৯১ পর্যন্ত পৌঁছায় তারা।

আরিফুল ২৪ বলে করেন ২৩ রান। ১ চার ও ৩ ছয়ে তাহজিবুল ২৫ রানের ইনিংস খেলেন ১৯ বলে। রকিবুল ২১ বলে করেন ২১ রান। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ১৩ রানে। রিপনকে আউট করে বাংলাদেশের ইনিংস থামানো সাদিক ৩ উইকেট পান ৪০ রানে। ২টি করে উইকেট দখল করেন উমর ও হেনরি থমাস।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই তোপের মুখে পড়ে কুয়েত। ৩৪ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট। এরপর অধিনায়ক মিত ভাবসার ও মির্জা আহমেদ ২৭ রানের জুটি গড়েন। এরপর ৩ রানে বাকি ৩ উইকেট খুইয়ে অলআউট হয় তারা। ওপেনিংয়ে নেমে ভাবসার ৭৭ বলে ৪৩ রানে বিদায় নেন শেষ ব্যাটার হিসেবে। মির্জা ২৭ বলে করেন ১১ রান। বাকিরা কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।

ক্রীড়া প্রতিবেদক: আগের দিন নেপালের বিপক্ষে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছিলেন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। এবার কুয়েতের সঙ্গে তিন অঙ্কের দেখা পেলেন ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম। তার বিদায়ের পর ঝড় তুললেন মেহরব হোসেন। তাতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল পেল প্রায় তিনশ ছোঁয়া সংগ্রহ। বাকি কাজটা অনায়াসে সারলেন বোলাররা। যুব এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় জয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল নাভিদ নেওয়াজের শিষ্যরা। আজ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) শারজাহতে ২২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ৪৯.২ ওভারে ২৯১ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে কুয়েত অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২৫.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ৬৪ রানে।

মাহফিজুল ১১২ রান করেন ১১৯ বলে। তার ইনিংসে ছিল ১২ চার ও ৪ ছক্কা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মেহেরব ২৪ বলে ৪২ রান করেন ৫ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে। পেসার রিপন মন্ডল ৮ ওভারে ১০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল। ২টি করে উইকেট যায় অফ স্পিনার মেহেরব ও বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানের ঝুলিতে। একই ভেন্যুতে নেপালকে ১৫৪ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এদিন রকিবুলের নেতৃত্বাধীন দলের কাছে পাত্তা পেল না কুয়েতও। দুই দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রত্যাশিত জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগামীকাল শারজাহতেই নেপালের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানরা জিতলে তাদের পাশাপাশি বাংলাদেশও উঠে যাবে আসরের সেমিতে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশের যুবারা। দলীয় ৩ রানে সাজঘরের পথ ধরেন ইফতেখার হোসেন। এরপর মাহফিজুল ও আইচ মোল্লা বড় জুটি গড়ে দলকে দেন বড় সংগ্রহের ভিত। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ৮৪ রান। জুটিতে অগ্রগামী ভূমিকায় ছিলেন মাহফিজুল।আইচ ফেরেন ৩৯ বলে ২০ করে। এর আগেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মাহফিজুল। চার মেরে ফিফটিতে পৌঁছাতে তার লাগে ঠিক ৫০ বল। একপ্রান্ত আগলে রেখে আরও দুটি কার্যকর জুটি গড়েন তিনি। আরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগ করেন ৫৩ রান, তাহজিবুল ইসলামের সঙ্গে ৪৪। ইনিংসের ৩২তম ওভারে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মাহফিজুল। সিঙ্গেল নিয়ে এই মাইলফলকে যেতে তিনি মোকাবিলা করেন ১০৭ বল। সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টেকেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। তাকে বিদায় করেন মোহাম্মদ উমর।

ক্রিজে গিয়েই বাউন্ডারির মেলা বসিয়ে দেন বাঁহাতি মেহেরব। তাতে দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে রান। আব্দুল সাদিকের শিকার হয়ে তিনি সাজঘরে ফেরার পর শেষদিকে প্রত্যাশিত ঝড় তোলা হয়নি বাংলাদেশের। তবে রকিবুল ও মুশফিক হাসানের ব্যাটে ২৯১ পর্যন্ত পৌঁছায় তারা।

আরিফুল ২৪ বলে করেন ২৩ রান। ১ চার ও ৩ ছয়ে তাহজিবুল ২৫ রানের ইনিংস খেলেন ১৯ বলে। রকিবুল ২১ বলে করেন ২১ রান। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ১৩ রানে। রিপনকে আউট করে বাংলাদেশের ইনিংস থামানো সাদিক ৩ উইকেট পান ৪০ রানে। ২টি করে উইকেট দখল করেন উমর ও হেনরি থমাস।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই তোপের মুখে পড়ে কুয়েত। ৩৪ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট। এরপর অধিনায়ক মিত ভাবসার ও মির্জা আহমেদ ২৭ রানের জুটি গড়েন। এরপর ৩ রানে বাকি ৩ উইকেট খুইয়ে অলআউট হয় তারা। ওপেনিংয়ে নেমে ভাবসার ৭৭ বলে ৪৩ রানে বিদায় নেন শেষ ব্যাটার হিসেবে। মির্জা ২৭ বলে করেন ১১ রান। বাকিরা কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।