মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কক্সবাজার: কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগে চলতি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বিশ্বব্যাংকের ধার করা অর্থায়নে বাগানের নার্সারির চারা উত্তোলন ও রোপন কাজে সীমাহীন অনিয়ম ও দূর্ণীতি চলছে। এতে লোপাট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নার্সারির মালামাল ক্রয়ের জন্য টেন্ডার আইডি নং-৫৯৯০৩৩ ও টেন্ডার আইডি নং-৫৯৯০৩৪ ২টির দরপত্র আহবান করলে ১ম আইডিতে ৫জন ঠিকাদার ও ২য় আইডিতে ৭ জন ঠিকাদার দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন। এ দুটি কাজে নিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয় মেসার্স জাকের উল্লাহ এন্টারপ্রাইজ, চকরিয়া,কক্সবাজার।
বনবিভাগের অনভিজ্ঞ কম্পিউটার অপারেটার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান নিম্ম দরদাতা মেসার্স জাকের উল্লাহ এন্টারপ্রাইজের মালিকের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করে। তার অনৈতিক চাহিদা পূরন না করায়, টেন্ডারের পিপিআরের ধারা সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় ২য় দরদাতার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে বিভাগীয় বনকর্মকর্তাকে ভুল তথ্য দিয়ে কাজ ২টি ২য় দরদাতা মেসার্স মীম ট্রেডার্সকে সুকৌশলে দিয়ে দেয় এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে ১ম টেন্ডার আইডিতে ২৬ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৮২টাকা ও ২য় আইডিতে ১৮লক্ষ ৫৫হাজার ২০০টাকা বিল প্রদান করে। ওই টাকাতে ১ টাকার মালামালও ক্রয় করা হয়নি। পুরো টাকাগুলো ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে।যা সরেজমিনে প্রতিটি নার্সারির বেড তদন্ত করা হলে এর সত্যতা মিলবে।
অভিযোগ রয়েছে, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগে সুফল প্রকল্পের নার্সারির চারা উত্তোলন ও বাগানের চারা রোপনের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের ধার করা কোটি কোটি টাকা এভাবে লুটপাট হচ্ছে। মূল বরাদ্দের সিকিভাগ টাকাও এসব কাজে ব্যয় করা হচ্ছে না।এ অভিযোগ স্ব-স্ব এলকার পরিবেশ সচেতন জনতার।
অনভিজ্ঞ দূর্ণীতিবাজ কম্পিউটার অপারেটার মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে পরিবেশও বনমন্ত্রী, সচিব,ও প্রধান বনসংরক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, পিপিআরের ধারা সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ওই কম্পিউটার অপারেটারের অনিয়ম ও দূর্ণীতি যে কেনো মন্ত্রণালয়ের একজন সৎ প্রকৌশলী দ্বারা তদন্ত করা হলে এসব অনিয়ম ও দূর্ণীতির সত্যতা পাওয়া যাবে।এ ব্যাপারে কাজের ন্যায্য প্রাপ্যদার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকের উল্লাহ দূর্ণীতি দমন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন।
Post Views: 246