রাসুল করিম (স:) বিশেষ কোন জাতি, গোষ্ঠী বা ভুখন্ডের জন্যে প্রেরিত হননি। তিনি লিখিত বিশে^র জন্য রহমত স্বরুপ প্রেরিত হয়েছেন। তিনি কখনো কঠোর ছিলেন না। তিনি ছিলেন উদার ও কোমল হৃদয়ের, তিনি অমুসলিমদের প্রতি উদারতা ও মহানুভবতার যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা সত্যিই পুরো বিশ্বকে বিমোহিত করে তুলেছে কারণ সহিষ্ণুতা ও উদারতাই হচ্ছে ইসলামের ভুষন। আজ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বাদে মাগরিব আগ্রাবাদস্থ রংগী পাড়া ছাত্র ও যুব সংঘের উদ্যোগ এলাকার সকল প্রয়াত মুরুব্বীদের ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে বায়তুশ শরফ মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশীদ নূরী একথা বলেন।
হযরত মাওলানা ফজুল্লাহ আল হুসাইনীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইসালে ছাওয়াব মাহফিলে তিনি আরো বলেন, ইসলামের স্বর্বজনীন নীতি হচ্ছে সকল ধর্মের মানুষের সাথে দয়া ও মহানুভবতার ভিত্তিতে সামাজিক সহাস্থান তৈরী করা। কোন অমুসর্লিমদের উপর কোন ধরনের জুলুম ও তাদের অধিকার হরন করার ও ইসলামে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তাই উগ্রতা ও শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে একমাত্র প্রচার প্রসারের কোন সুযোগই ইসলামের নেই। একমাত্র কুরআন সুন্নাহর মাধ্যমেই প্রাপ্ত আল্লাহর মনোনীত জীবন যাপন ইসলামকে ব্যক্তি, পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কাংখিত শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে পারে।
মাহফিলে অন্যাদের মধ্যে বিশেষ মেহমানের বক্তব্য রাখেন রমনা আবাসিক জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শাহ হাফেজ আসহাব উদ্দীন কুতুবী, আগ্রাবাদ হাউজিং জামে মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা আয়ুব আলী আনসারী ও রঙ্গী পাড়া বড় মসজিদের খতিব মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ আল হুসাইনী প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি