নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)’র ছাত্রীদের আবাসন সংকটে রয়েছে। ছাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট পাঁচটি হল থাকলেও এর মধ্যে একটি হল এখনো চালু হয়নি। বিশেষ করে চবি’র ছাত্রীদের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা হল, প্রীতিলতা হল, খালেদা জিয়া হল, শামসুন নাহার হল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এখনো চালু হয়নি। তবে ছাত্রীদের জন্য হলগুলোতে পর্যাপ্ত আসন না থাকায় আসা যাওয়ায় তাদের গুনতে হচ্ছে ভাড়া। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ছাত্রীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় হয়েও চবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই হলে আবাসিক সুবিধা না থাকায় তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে শুধু বঞ্চিতই হচ্ছেন না, অনেক ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়াও, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন শাটল ট্রেনে ‘গাদাগাদি’ করে। বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও মেয়ে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়ার ঘটনা শোনা যায় প্রায়ই। অন্যদিকে গর্ভবর্তী শিক্ষার্থীরা হোষ্টেলে থাকতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় সৃষ্টি হয়। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের আপত্তি এবং হলের পরিবেশের কারণে সেসব সমস্যার সৃষ্টি হয়ে আসছেন। তবে চবি’র শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট ড. লাইলা খালেদা আঁখি বলেন, এমন সমস্যায় কোন নারী শিক্ষার্থী মুখোমুখি হয়না। তারা অন্য শিক্ষার্থীদের মতো থেকে আসছেন। সরকারী কোন আদেশ নেই যে, গর্ভবতী শিক্ষার্থীরা হোষ্টেলে থাকতে পারবেনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট এ.কে.এম. রেজাউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের হল সংখ্যা বাড়ানো জরুরি, বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের। শহর থেকে দূরে হওয়ায় যাতায়াতেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে কিছু হল নির্মাণাধীন রয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের একটি অংশ এখনো নির্মাণাধীন, কিছু ছাত্রীকে সেখানে আবাসন সুবিধা দেয়া যাবে।

চবি’র হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে সাড়ে ২৫ হাজার। ১১টি আবাসিক হল ও একটি হোস্টেল মিলিয়ে মোট ৫ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা রয়েছে ক্যাম্পাসে। সে হিসেবে মাত্র ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ব্যবস্থা করতে পেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী শহর ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকে। এর মধ্যে ক্যাম্পাসের পাশের এলাকাগুলোতে কটেজ ও মেসে থাকে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, চবির আবাসিক হলগুলোতে সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুন মাসে আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার দায়িত্ব গ্রহণের পর দু’দফায় আসন বরাদ্দের সাক্ষাৎকারের তারিখ ঘোষণা করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা পিছিয়ে দেয়া হয়।

হল সূত্রে জানা যায়, চবির ছাত্র হলগুলোর মধ্যে আলাওল হলে আসন রয়েছে ২৬০টি, এ এফ রহমান হলে ২৫৭টি, শাহজালাল হলে ৪৭৫টি, শাহ আমানত হলে ৬৩২টি, সোহ্‌রাওয়ার্দী হলে ৩৭৫টি, শহীদ আব্দুর রব হলে ৫০৯টি ও মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ১৭৬টি আসন রয়েছে। ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে শামসুন নাহার হলে ৪৮১টি, প্রীতিলতা হলে ৫৩১টি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে ৫০৮টি, জননেত্রী শেখ হাসিনা হলে ৭৫০টি (আংশিক নির্মাণাধীন), মাস্টারদা সূর্যসেন হলে (আংশিক) ৩৯টি আসন রয়েছে। এছাড়া ছাত্রদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও অতীশ দীপঙ্কর হল এবং ছাত্রীদের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল নির্মাণাধীন রয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ ভূঁইয়ার চাচা তরুণ ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের প্রচুর আবাসন সংকট রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীরা মোট আসন সংখ্যার মাত্র ২১% আবাসিক সুবিধা পায়।

আবাসন সংকটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও মননশীলতা চর্চায়, সমৃদ্ধ জ্ঞানার্জনে এবং ব্যক্তিত্ব গঠনের পাশাপাশি যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিসীম তাৎপর্য। এক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আবাসন ব্যবস্থা, তথা হল সুবিধা। কেননা, হল ভিত্তিক শিল্প-সাহিত্য, বিতর্ক, খেলাধুলা ও সাংগঠনিক চর্চার অনেক বেশি সুযোগ রয়েছে। সেই সাথে হলের গ্রন্থাগার থেকে একাডেমিক পড়াশোনা, পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিন পড়ার সুবিধা থাকে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনকে বৈচিত্র্যময়, উপভোগ্য ও স্মৃতিময় করতেও হলের অবদান যে কতখানি তা কেবল হলে থাকা শিক্ষার্থীই বুঝতে পারেন। এছাড়া ক্যাম্পাসে যাতায়াতে বিড়ম্বনাসহ মেস-বাসা ভাড়া নিয়েও ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতসব সমস্যা সমাধানকল্পে এবং শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু-স্বাভাবিক বিকাশ ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

ফাইন্যান্স বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, স্বপ্ন পূরণের জন্য শিক্ষার্থীরা দূরদূরান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে। আবাসিক সুবিধা না থাকায় এ স্বপ্ন পূরণে বাধাপ্রাপ্ত হন অনেকেই। তিনি বলেন, আমাদের এত বিশাল আয়তনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অবাসিক সুবিধা পায় না। যারা বিভিন্ন মেস বা কটেজে থাকে, তাদের বিভিন্ন সময় আবাসন ব্যয় বহন করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও পড়ালেখার জন্য অনেক সময় অনুকূল পরিবেশ পাওয়া যায় না মেসগুলোতে। সময়মত ক্লাসে উপস্থিত থাকাটাও চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসের আশেপাশে মেসগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ খুবই দুর্লভ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে হওয়ায় শহর থেকে যাতায়াতে সময়ের একটা বড় অংশ অপচয় হয় প্রতিদিন। সবমিলিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সুবিধা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন দিক থেকে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)’র ছাত্রীদের আবাসন সংকটে রয়েছে। ছাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট পাঁচটি হল থাকলেও এর মধ্যে একটি হল এখনো চালু হয়নি। বিশেষ করে চবি’র ছাত্রীদের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা হল, প্রীতিলতা হল, খালেদা জিয়া হল, শামসুন নাহার হল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এখনো চালু হয়নি। তবে ছাত্রীদের জন্য হলগুলোতে পর্যাপ্ত আসন না থাকায় আসা যাওয়ায় তাদের গুনতে হচ্ছে ভাড়া। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ছাত্রীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় হয়েও চবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই হলে আবাসিক সুবিধা না থাকায় তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে শুধু বঞ্চিতই হচ্ছেন না, অনেক ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়াও, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন শাটল ট্রেনে ‘গাদাগাদি’ করে। বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও মেয়ে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়ার ঘটনা শোনা যায় প্রায়ই। অন্যদিকে গর্ভবর্তী শিক্ষার্থীরা হোষ্টেলে থাকতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় সৃষ্টি হয়। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের আপত্তি এবং হলের পরিবেশের কারণে সেসব সমস্যার সৃষ্টি হয়ে আসছেন। তবে চবি’র শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট ড. লাইলা খালেদা আঁখি বলেন, এমন সমস্যায় কোন নারী শিক্ষার্থী মুখোমুখি হয়না। তারা অন্য শিক্ষার্থীদের মতো থেকে আসছেন। সরকারী কোন আদেশ নেই যে, গর্ভবতী শিক্ষার্থীরা হোষ্টেলে থাকতে পারবেনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট এ.কে.এম. রেজাউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের হল সংখ্যা বাড়ানো জরুরি, বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের। শহর থেকে দূরে হওয়ায় যাতায়াতেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে কিছু হল নির্মাণাধীন রয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের একটি অংশ এখনো নির্মাণাধীন, কিছু ছাত্রীকে সেখানে আবাসন সুবিধা দেয়া যাবে।

চবি’র হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে সাড়ে ২৫ হাজার। ১১টি আবাসিক হল ও একটি হোস্টেল মিলিয়ে মোট ৫ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা রয়েছে ক্যাম্পাসে। সে হিসেবে মাত্র ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ব্যবস্থা করতে পেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী শহর ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকে। এর মধ্যে ক্যাম্পাসের পাশের এলাকাগুলোতে কটেজ ও মেসে থাকে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, চবির আবাসিক হলগুলোতে সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুন মাসে আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার দায়িত্ব গ্রহণের পর দু’দফায় আসন বরাদ্দের সাক্ষাৎকারের তারিখ ঘোষণা করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা পিছিয়ে দেয়া হয়।

হল সূত্রে জানা যায়, চবির ছাত্র হলগুলোর মধ্যে আলাওল হলে আসন রয়েছে ২৬০টি, এ এফ রহমান হলে ২৫৭টি, শাহজালাল হলে ৪৭৫টি, শাহ আমানত হলে ৬৩২টি, সোহ্‌রাওয়ার্দী হলে ৩৭৫টি, শহীদ আব্দুর রব হলে ৫০৯টি ও মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ১৭৬টি আসন রয়েছে। ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে শামসুন নাহার হলে ৪৮১টি, প্রীতিলতা হলে ৫৩১টি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে ৫০৮টি, জননেত্রী শেখ হাসিনা হলে ৭৫০টি (আংশিক নির্মাণাধীন), মাস্টারদা সূর্যসেন হলে (আংশিক) ৩৯টি আসন রয়েছে। এছাড়া ছাত্রদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও অতীশ দীপঙ্কর হল এবং ছাত্রীদের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল নির্মাণাধীন রয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ ভূঁইয়ার চাচা তরুণ ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের প্রচুর আবাসন সংকট রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীরা মোট আসন সংখ্যার মাত্র ২১% আবাসিক সুবিধা পায়।

আবাসন সংকটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও মননশীলতা চর্চায়, সমৃদ্ধ জ্ঞানার্জনে এবং ব্যক্তিত্ব গঠনের পাশাপাশি যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিসীম তাৎপর্য। এক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আবাসন ব্যবস্থা, তথা হল সুবিধা। কেননা, হল ভিত্তিক শিল্প-সাহিত্য, বিতর্ক, খেলাধুলা ও সাংগঠনিক চর্চার অনেক বেশি সুযোগ রয়েছে। সেই সাথে হলের গ্রন্থাগার থেকে একাডেমিক পড়াশোনা, পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিন পড়ার সুবিধা থাকে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনকে বৈচিত্র্যময়, উপভোগ্য ও স্মৃতিময় করতেও হলের অবদান যে কতখানি তা কেবল হলে থাকা শিক্ষার্থীই বুঝতে পারেন। এছাড়া ক্যাম্পাসে যাতায়াতে বিড়ম্বনাসহ মেস-বাসা ভাড়া নিয়েও ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতসব সমস্যা সমাধানকল্পে এবং শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু-স্বাভাবিক বিকাশ ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

ফাইন্যান্স বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, স্বপ্ন পূরণের জন্য শিক্ষার্থীরা দূরদূরান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে। আবাসিক সুবিধা না থাকায় এ স্বপ্ন পূরণে বাধাপ্রাপ্ত হন অনেকেই। তিনি বলেন, আমাদের এত বিশাল আয়তনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অবাসিক সুবিধা পায় না। যারা বিভিন্ন মেস বা কটেজে থাকে, তাদের বিভিন্ন সময় আবাসন ব্যয় বহন করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও পড়ালেখার জন্য অনেক সময় অনুকূল পরিবেশ পাওয়া যায় না মেসগুলোতে। সময়মত ক্লাসে উপস্থিত থাকাটাও চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসের আশেপাশে মেসগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ খুবই দুর্লভ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে হওয়ায় শহর থেকে যাতায়াতে সময়ের একটা বড় অংশ অপচয় হয় প্রতিদিন। সবমিলিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সুবিধা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন দিক থেকে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়ছে।