নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শুভেচ্ছা আর শ্রদ্ধায় শহীদজায়া মুশতারী শফীর মরদেহ। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তার কফিন ভরে গেছে ফুলে ফুলে।
আজ বুধবার (২২ ডিসেম্বর-২১ইং) সকালে শহীদজায়ার মরদেহ আনা হয় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। গার্ড অব অনার দেন সিএমপির একটি চৌকস দল। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
স্মৃতিচারণ করেন কবি আবুল মোমেন, চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, অধ্যাপক বেণু কুমার চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বালাগাত উল্লাাহ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, প্রমার সভাপতি রাশেদ হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন প্রমুখ।
শ্রদ্ধা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবসার, নারীনেত্রী নূরজাহান খান, প্রফেসর রীতা দত্ত,নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, লেখিকা আনোয়ারা আলম, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, ডা. চন্দন দাশ, শীলা দাশগুপ্ত, কবি আশীষ সেন, রাশেদ হাসান, রমেন দাশগুপ্ত, প্রণব চৌধুরীসহ বীর চট্টলার অগণিত মানুষ।
এছাড়া ও বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে আওয়ামী লীগ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ, উদীচী, কমিউনিস্ট পার্টি, সনাক, বোধন, প্রমা, খেলাঘর, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, মহিলা কলেজ, বাসদ, জেলা শিল্পকলা, সিআরবি রক্ষা মঞ্চ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, নারী যোগাযোগ কেন্দ্র, ফুলকি, বিটা, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, যুব ইউনিয়ন, বিজয় মেলা পরিষদ, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, অগ্নবীণা পাঠাগার, গণজাগরণ মঞ্চ, ব্লাস্ট, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বিপ্লবী তারেকশ্বর স্মৃতি পরিষদ, লুসাই লোকজ শিল্পীগোষ্ঠী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
আজ বুধবার বাদে জোহর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য যে, বরেণ্য সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধা, নারীনেত্রী, উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি, শহীদজায়া মুশতারী শফী সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। এ ছাড়া বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগও ছিল তার। তিনি দুই ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য বাংলা একাডেমি ২০১৬ সালে তাঁকে ‘ফেলোশিপ’ প্রদান করে। তিনি ২০২০ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘রোকেয়া পদক’ লাভ করেন।