বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করেছে। দেশপ্রেম, আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তিতে জেগে উঠেছে পুরো জাতি। আজ রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে আলেম-ওলামা বিজয় মিছিল পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একুশে পদক প্রাপ্ত পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বিকেল চারটায় সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক জিনাত সোহানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জয়লাভের বড় হাতিয়ার দেশপ্রেম উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ মাটির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা পাকিস্থানি বাহিনীকে পরাজিত করে লাল-সবুজ পতাকার জন্ম দিয়েছেন। বাঙালির বিজয়ের অর্ধশত বছর পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ এ সময় ক্ষুধা-দারিদ্র্যকে জয় করেছে এই জাতি। তলাবিহীন ঝুড়িতে এখন উন্নত দেশের হাতছানি বাঙালির। মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং বিজয়ের পর যারা এই জাতির ভবিষ্যৎ কটুকাটব্য করেছে আজ সেসব প্রভাবশালী দেশ এবং ব্যক্তির কাছে বাংলাদেশের উন্নয়ন রোল মডেল হয়েছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। এখনো বাকি আছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলার। আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশের মতো একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যপীড়িত দেশের পক্ষে গত ৫০ বছরে যে অর্জন সেটি অবিশ্বাস্য।
সংবাদিক শুকলাল দাশের উপস্থাপনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান,গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মোসাহেব উদ্দীন বখতিয়ার,তরুণ ইসলামিক স্কলার সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আজহারী,চবি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম বোরহান উদ্দীন,ইসলামি ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক মুনিরুজ্জামান,নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা এনামুল হক সিকদার, সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের উপদেষ্টা স্থপতি আশিক ইমরান,প্রভাষক মুহাম্মদ তারেকুল ইসলাম,সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইমরান, চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ন সমন্বয়ক ডা.হোসেন আহম্মদ,সুচিন্তার যুগ্ম সমন্বয়ক আবুল হাসনাত চৌধুরী,যুবনেতা দেবাশীষ পাল দেবু,কার্যকরী সদস্য বোখারী আজম, প্রণব চৌধুরী,সৈয়দ আহমেদ রেজা কাদেরী।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল,মো.সাহাব উদ্দিন মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ সাজিবুল ইসলাম সজিব,মাকছুদুর রহমান,শামীম উদ্দিন,আকবর জুয়েল,সৈয়দ সুলতান,আবিদ হাসান,ইফতেখার ইফতি,মো.জাবেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ছৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান বলেন, হেফাজত যখন ইসলামের নামে দেশজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল তখন সুচিন্তা বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। যারা দেশের ক্ষতি করে,মানুষের জান মালের ক্ষতি করে তারা দেশের দুশমন,ইসলামের দুশমন। দেশকে ভালোবাসা একজন মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে জিনাত সোহানা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা আমাদের কাঙ্খিত সোনার বাংলা গড়তে পারব। এ জন্য শুধু সরকার নয়, প্রতিটি ব্যক্তিপর্যায় থেকে একসঙ্গে আওয়াজ তুলতে হবে, সচেতন হতে হবে। এর আগে বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাদ্রাসার হাজারোধিক আলেম-ওলামাকে সাথে নিয়ে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ থেকে বিজয় মিছিল শুরু হয়ে জামালখান প্রেসক্লাব চত্বরে শেষ হয়।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি