ক্রাইম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রাম হতে ঢাকা নিয়ে যাওয়া সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারীর সক্রিয় চক্রের ৩ সদস্য আটকসহ ১ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভিকটিম উদ্ধার করেছে র্যাব-৭।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর মোঃ আলম (৪৫) র্যাব এ লিখিত অভিযোগ করেন যে, তার মেয়ে চট্টগ্রামের একটি বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ করে আসছে। গত ১৩ ডিসেম্বর বাড়ির মালিক জানান, তার মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরত আসে নি। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের পিতা হাটহাজারী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন, যার নং-৯১৯, তারিখ-১৪/১২/২০২১ইং।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গোয়েন্দা নজরদারির এক পর্যায়ে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব জানতে পারে যে, ভিকটিম ঢাকার ফকিরাপুল এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ ডিসেম্বর র্যাব এর একটি চৌকস দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাস থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত ভিকটিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী মোঃ নাঈম (২২) এবং মোঃ আসাদুজ্জামান নুর (২৭) রংপুরদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেওয়া তথ্যমতে হাটহাজারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী ফাতেমা বেগম (৩০) কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্থ উর্পাজনের জন্য চট্টগ্রাম হতে ঢাকায় নিয়ে আটক রাখার সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা মানব পাচারকারীর সক্রিয় সদস্য এবং দীর্ঘদিন যাবত একে অপরের সহায়তায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের সরলতা, দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্থ উর্পাজনের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীদের পাচার করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।