নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চট্টগ্রামে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য কূচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অভিবাদন গ্রহণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ণিল সাজে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হলো।
মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চট্টগ্রাম কেন্দীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের অত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক ও সমাজসেবী সংগঠনসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ।
May be an image of 3 people, people standing and outdoors
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সমাবেশে উপস্থিত বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, আজ মহান বিজয় দিবস। এবারের বিজয় দিবস অন্য যে কোন বছর থেকে অনন্য ও অসাধারণ। আজ বাঙালি জাতির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। বাঙালি জাতির এ অনন্য অসাধারণ দুটি মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত বোধ করছি। আজকের এই দিনে সকলকে সুবর্ণজয়ন্তীর ও মুজিব শতবর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
তিনি বলেন, এই মাহেন্দ্রক্ষণে পরম শ্রদ্ধাভরে স্মারণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ (৩০) লক্ষ শহীদ ও দুই (২) লক্ষ সম্ভ্রম হারা মা, বোনদের।
May be an image of 7 people and people standing
তিনি বলেন, হাজার বছরের ইতিহাসের পরিক্রমায় বাঙালি কখনো সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনি। জাতির পিতার হাতধরেই সর্বপ্রথম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এদেশে মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিল তিল করে জাতিকে স্বাধীনতার বীজমন্ত্রে উজ্জীবিত করে এই দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে সদ্যস্বাধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনি স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ নিমজ্জিত হলো অমানিষার অন্ধকারে।
তিনি আরো বলেন, আজ দেশ বঙ্গবন্ধু ত্বনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজের মেধা, শ্রম ও প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোলমডেল। আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কর্ণফুলী টানেলসহ বড় বড় মেঘা প্রকল্প। আগামীতে আপনাদের সাথে নিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের কাতারে পৌঁছাবো ইনশাআল্লাহ। পরে তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও কূচকাওয়াছে অভিবাদন গ্রহণ করেন। এসময় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার, কারারক্ষী, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, গ্রাম রক্ষা বাহিনী, মেরিন ফিসারিজ একাডেমি, বিএনসিসি, স্কাউটস, যুব রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা বর্ণাঢ্য কূচকাওয়া অংশ নেয়।
সকাল ১১টায় তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণের শেখ রাসেল চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান আনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
May be an image of 10 people, people standing and outdoors
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একসাথে ৩২০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। পরে বিকেল ৪.৩০ টায় নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বিভিন্ন সারকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি, স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ জাতীয় পতাকা হতে এক সাথে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আলোকিত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার প্রয়াসে শপথ গ্রহণ করেন। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এতে অংশ নেয়। সন্ধ্যার পর আকর্ষনীয় আতশবা ফুটানো হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমান এর সভাপতিত্বে বর্ণাঢ্য কূচকাওয়াজ ও সংবর্ধনা প্রদান এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানসমূহে ডি আই জি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পিপিএম পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এ কে এম সরোয়ার কামাল, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এর সাবেক পরিচালক মাহফুজুর রহমান এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চট্টগ্রামে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য কূচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অভিবাদন গ্রহণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ণিল সাজে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হলো।
মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চট্টগ্রাম কেন্দীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের অত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক ও সমাজসেবী সংগঠনসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ।
May be an image of 3 people, people standing and outdoors
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সমাবেশে উপস্থিত বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, আজ মহান বিজয় দিবস। এবারের বিজয় দিবস অন্য যে কোন বছর থেকে অনন্য ও অসাধারণ। আজ বাঙালি জাতির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। বাঙালি জাতির এ অনন্য অসাধারণ দুটি মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত বোধ করছি। আজকের এই দিনে সকলকে সুবর্ণজয়ন্তীর ও মুজিব শতবর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
তিনি বলেন, এই মাহেন্দ্রক্ষণে পরম শ্রদ্ধাভরে স্মারণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ (৩০) লক্ষ শহীদ ও দুই (২) লক্ষ সম্ভ্রম হারা মা, বোনদের।
May be an image of 7 people and people standing
তিনি বলেন, হাজার বছরের ইতিহাসের পরিক্রমায় বাঙালি কখনো সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনি। জাতির পিতার হাতধরেই সর্বপ্রথম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এদেশে মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিল তিল করে জাতিকে স্বাধীনতার বীজমন্ত্রে উজ্জীবিত করে এই দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে সদ্যস্বাধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনি স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ নিমজ্জিত হলো অমানিষার অন্ধকারে।
তিনি আরো বলেন, আজ দেশ বঙ্গবন্ধু ত্বনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজের মেধা, শ্রম ও প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোলমডেল। আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কর্ণফুলী টানেলসহ বড় বড় মেঘা প্রকল্প। আগামীতে আপনাদের সাথে নিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের কাতারে পৌঁছাবো ইনশাআল্লাহ। পরে তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও কূচকাওয়াছে অভিবাদন গ্রহণ করেন। এসময় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার, কারারক্ষী, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, গ্রাম রক্ষা বাহিনী, মেরিন ফিসারিজ একাডেমি, বিএনসিসি, স্কাউটস, যুব রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা বর্ণাঢ্য কূচকাওয়া অংশ নেয়।
সকাল ১১টায় তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণের শেখ রাসেল চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান আনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
May be an image of 10 people, people standing and outdoors
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একসাথে ৩২০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। পরে বিকেল ৪.৩০ টায় নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বিভিন্ন সারকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি, স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ জাতীয় পতাকা হতে এক সাথে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আলোকিত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার প্রয়াসে শপথ গ্রহণ করেন। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এতে অংশ নেয়। সন্ধ্যার পর আকর্ষনীয় আতশবা ফুটানো হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমান এর সভাপতিত্বে বর্ণাঢ্য কূচকাওয়াজ ও সংবর্ধনা প্রদান এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানসমূহে ডি আই জি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পিপিএম পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এ কে এম সরোয়ার কামাল, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এর সাবেক পরিচালক মাহফুজুর রহমান এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।