নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলার ও সুবেদারসহ পাঁচ কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মো. শামীম নামে সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদিকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাটি তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আসফাকুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, জেলার দেওয়ান তারিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার মো. সাইমুর, আইজি প্রিজনের গোয়েন্দা কারারক্ষী সবুজ দাশ এবং সুবেদার মো. এমদাদ হোসেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, পারভিন আকতার হিরার স্বামী মো. শামীম দায়রা মামলা ১৮/২০০৬ এর সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আছেন। শামীম প্রায় সময় শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কারাগারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১৭ জুলাই পর্যন্ত কারাগারের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অর্থাৎ হাসপাতালে ছিলেন। অভিযুক্তরা কারা অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিকভাবে নাজেহাল ও মারধর করেন। সঠিক সময়ে খাবার না দেওয়ার প্রতিবাদ করায় গত ১২ জুলাই জেলার তারিকুল কয়েদি শামীমকে বেধড়ক মারধর করেন।
এরপর ১৭ জুলাই ভোরে এমদাদ, সবুজ ও সাইমুর গিয়ে তাকে কারা অভ্যন্তরে একটি আমগাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। পরে জেলারের অফিসে নিয়ে যাওয়া হলে জেলার তারিকুল বলেন, শালা এখনও মরেনি, মরিলে এক কলম লিখে দেব, কিছুই হবে না। একথা বলে জেলারও পুনরায় শামীমকে মারধর করেন। এরপর সন্ধ্যা সাতটার দিকে শামীমকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২২ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে শামীম টেলিফোনে স্ত্রীকে বিষয়টি জানান।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোতাহের হোসেন বলেন, মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট মামলাটি ফেরত দিয়ে উপযুক্ত আদালতে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমরা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করলে তা গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও ভিকটিমের স্ত্রী পারভিন আকতার হিরা গত ২৫ নভেম্বর মামলার আবেদনটি করেছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালতে। পরে ৩০ নভেম্বর আদালত তা গ্রহণ না করে উপযুক্ত আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলার ও সুবেদারসহ পাঁচ কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মো. শামীম নামে সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদিকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাটি তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আসফাকুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, জেলার দেওয়ান তারিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার মো. সাইমুর, আইজি প্রিজনের গোয়েন্দা কারারক্ষী সবুজ দাশ এবং সুবেদার মো. এমদাদ হোসেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, পারভিন আকতার হিরার স্বামী মো. শামীম দায়রা মামলা ১৮/২০০৬ এর সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আছেন। শামীম প্রায় সময় শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কারাগারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১৭ জুলাই পর্যন্ত কারাগারের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অর্থাৎ হাসপাতালে ছিলেন। অভিযুক্তরা কারা অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিকভাবে নাজেহাল ও মারধর করেন। সঠিক সময়ে খাবার না দেওয়ার প্রতিবাদ করায় গত ১২ জুলাই জেলার তারিকুল কয়েদি শামীমকে বেধড়ক মারধর করেন।
এরপর ১৭ জুলাই ভোরে এমদাদ, সবুজ ও সাইমুর গিয়ে তাকে কারা অভ্যন্তরে একটি আমগাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। পরে জেলারের অফিসে নিয়ে যাওয়া হলে জেলার তারিকুল বলেন, শালা এখনও মরেনি, মরিলে এক কলম লিখে দেব, কিছুই হবে না। একথা বলে জেলারও পুনরায় শামীমকে মারধর করেন। এরপর সন্ধ্যা সাতটার দিকে শামীমকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২২ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে শামীম টেলিফোনে স্ত্রীকে বিষয়টি জানান।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোতাহের হোসেন বলেন, মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট মামলাটি ফেরত দিয়ে উপযুক্ত আদালতে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমরা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করলে তা গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও ভিকটিমের স্ত্রী পারভিন আকতার হিরা গত ২৫ নভেম্বর মামলার আবেদনটি করেছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালতে। পরে ৩০ নভেম্বর আদালত তা গ্রহণ না করে উপযুক্ত আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।