নিজস্ব প্রতিবেদক: বীর মুক্তিযোদ্ধা লে: শেখ জামাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আইটি পার্কের ফলক উন্মোচন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
ফলক উন্মোচনকালে তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর জন্য ডিজিটাল জগতে প্রবেশ এবং সঠিক ব্যবহারের বিকল্প নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান, কারিগরী ও প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশের যে ভিত্তি তৈরী করে গেছেন সেই পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং সরকারের আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়’র পরামর্শে সারা দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে যার মধ্যে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটে স্থাপিত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল হাইটেক পার্ক একটি। মেয়র বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সামনে রেখে আমাদের উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের মাধ্যমে দেশকে উন্নতবিশ্বের কাতারে সামিল করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশকে ডিজিটালাইজ করার ফলে এ পর্যন্ত সারা দেশে ১৫হাজার উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও ২০লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. শেখ জামাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধন ও ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, আইটি পরিচালক শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু, কাউন্সিলর শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলী নেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিউল আলম, এস.এম ফরিদুল আলম ফরহাদ, এ.বি.এম জুলফিকার আলী ভুট্টো, অর্থ সম্পাদক মো. পারভেজ উদ্দিন, মো. নুরুল আলম, রাশেদ ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও প্রযুক্তির সহায়তায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু থাকায় আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। প্রযুক্তির সহায়তায় করোনা সচেতনতা, বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যেন থেমে না যায় সেজন্য তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরী, ভার্চুয়াল ক্লাস প্লাটফর্ম চালু, করোনা মহামারি থেকে দেশের জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে ভ্যাক্সিন ম্যানজেমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ চালু, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, গার্মেন্টস কর্মী এবং প্রবাসী নাগরিকদের জন্য আলাদা ডিজিটাল সেন্টার চালু রয়েছে।
মেয়র বলেন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য অর্থনীতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থানসহ এমন কোন খাত নেই যেখানে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে না। এটা সম্ভব হচ্ছে মূলত সারাদেশে শক্তিশালী আইসিটি অবকাঠামো গড়ে উঠার কারণে যা গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মানুষের এ বিশ্বাস অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলায় সবচেয়ে বড় পাওয়া ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সুফল দেশের প্রত্যেক মানুষের দোড় গোড়ায় পৌছে যাচ্ছে।