নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করেছে । দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখস্থ শেখ রাসেল চত্বরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। একই দিনে সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর এম. এ. আজিজ স্টেডিয়ামে বিজয়ের আতশবাজি ও লেজার শো করা হবে।
দিবসের মূল কর্মসূচি শুরু হবে ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ৫০ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে। একই সময়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। একই সময়ে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এইদিন সকাল ৮টায় নগরীর এম. এ. আাজিজ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এসময় বাংলাদেশ পুলিশ, অনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়াস সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ স্কাউট, গার্লস গাইড এবং শিশু-কিশোর সংগঠন কর্তৃক বর্ণাঢ্য কূচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হবে। বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কূচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করবেন।
একই দিনে সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেখ রাসেল চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকিটে ছাত্রছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, জেলা ও উপজেলা সদরে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, নৌকা বাইচ, ফুটবল, কাবাডি ও হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন ও সিজেকেএস বনাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে । সন্ধ্যা ৬টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে “সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ” শীর্ষক আলোচনা ও সিম্পোজিয়াম এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসিসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে আলোচনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, আত্মদানকারী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কার্যক্রমে জনমত সৃষ্টির জন্য বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
বিজয় দিবসের কর্মসূচির শেষদিন ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখস্থ শেখ রাসেল চত্বরে ‘‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস’’ পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
Post Views: 547