ইজাজুলঃ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিনটি ছিলো বৃহস্পতিবার। বাঙালি জাতির জীবনে ১৬ ডিসেম্বর এক আনন্দের দিন।পৌষের সেই পড়ন্ত বিকেলে ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে। বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেশ বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানা অফিসার্স ইনচার্জ আখতারুজ্জামা ইলিয়াস।
তিনি বলেন, পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। বিজয়ের গল্পটা শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। পাকিস্থানী শাসকদের দ্বারা নির্যাতিত বাঙ্গালী জাতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নিজেদের জীবন দিয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিল।
১৯৭১ সাল অগ্নিঝরা মার্চে দেশের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে পুলিশসহ সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাঙ্গালিরা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ছিলেন উজ্জিবীত। সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙ্গালী অফিসার ও সৈনিকরা দিন দিন নিরব পর্যবেক্ষণের শিকার হচ্ছিলেন পাকিস্থানী শাসকবাহিনী দ্বারা। সেনা ছাউনির বাহিরে সাধারণ মানুষের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ ছিলনা তাদের। সেদিন অস্ত্রধারী বাঙ্গালী হিসেবে দেশের সাধারণ মানুষের একা্ন্ত আপনজন ছিলেন পুলিশ। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স সে সময় দখলদার বাহিনীর দুশ্চি্ন্তার কারণ হয়ে দাড়ায়। মূলত এ সময় পূর্ব পাকিস্থান পুলিশের বাঙ্গালী সদস্যগণ জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়।
উল্লেখ্য, তৎকালীন পুলিশের আইজি জনাব তসলিমউদ্দিন আহমেদ অসহযোগ আন্দোলনের সময় বাঙ্গালির অধিকার আন্দোলনের অনুকূলে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম থেকেই পুলিশ বিভাগের সদস্যদের সাথে আন্দোলনরত জনগণের একাত্মতা ছিল লক্ষণীয়। জেলা, মহকুমা এবং থানা পর্যায়ে এ একাত্মতা সংগ্রামী জনগণকে আরো উৎসাহিত করে তোলে । সকল স্তরের পুলিশ সদস্য যে কোন ত্যাগে প্রস্তুত ছিলেন এবং সকল সদস্যের একাত্মতা ও মানসিক প্রস্তুতি ২৫শে মার্চ রাতে পাকবাহিনীর আক্রমণের প্রাথমিক অবস্থাতেই সকল জেলা পর্যায়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। শুরু হয় বাঙ্গালী জাতির অধিকার আদায়ের যুদ্ধ মহান মুক্তিযুদ্ধ। সমগ্র দেশবাসীর সাথে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অংশ নেয় মহান মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে বিজয়ের সেই মহান সূর্যটাকে। ইতিহাসের পাতায় লেখা হয় ১৬ ডিসেম্বর তারিখের এক মহান অধ্যায়, যেটা বাঙ্গালি জাতির এক গৌরব গাঁথা মহান বিজয় দিবস।
আজ এই বিজয়ের দিনটিতে আনন্দের পাশাপাশি বেদনার সুরও বাজবে বাঙালির বুকে। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করবে বীর শহীদদেরকে। সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ দিনটিকে উৎযাপণ করবে গভীর শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও উৎসব মুখর পরিবেশে। আর বিজয়ের এ শক্তিকে প্রাণে ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশ দেশের জনগণ এবং দেশ মাতৃকার সেবায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করে দিতে বদ্ধ পরিকর।১৬ ডিসেম্বর গৌরব ও অহঙ্কারের মহান বিজয় দিবস
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিনটি ছিলো বৃহস্পতিবার। বাঙালি জাতির জীবনে ১৬ ডিসেম্বর এক আনন্দের দিন।পৌষের সেই পড়ন্ত বিকেলে ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। বিজয়ের গল্পটা শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। পাকিস্থানী শাসকদের দ্বারা নির্যাতিত বাঙ্গালী জাতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নিজেদের জীবন দিয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিল।
১৯৭১ সাল অগ্নিঝরা মার্চে দেশের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে পুলিশসহ সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাঙ্গালিরা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ছিলেন উজ্জিবীত। সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙ্গালী অফিসার ও সৈনিকরা দিন দিন নিরব পর্যবেক্ষণের শিকার হচ্ছিলেন পাকিস্থানী শাসকবাহিনী দ্বারা। সেনা ছাউনির বাহিরে সাধারণ মানুষের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ ছিলনা তাদের। সেদিন অস্ত্রধারী বাঙ্গালী হিসেবে দেশের সাধারণ মানুষের একা্ন্ত আপনজন ছিলেন পুলিশ। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স সে সময় দখলদার বাহিনীর দুশ্চি্ন্তার কারণ হয়ে দাড়ায়। মূলত এ সময় পূর্ব পাকিস্থান পুলিশের বাঙ্গালী সদস্যগণ জনগণের পাশে এসে দাড়ায়।
আজ এই বিজয়ের দিনটিতে আনন্দের পাশাপাশি বেদনার সুরও বাজবে বাঙালির বুকে। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করবে বীর শহীদদেরকে। সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ দিনটিকে উৎযাপণ করবে গভীর শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও উৎসব মুখর পরিবেশে। আর বিজয়ের এ শক্তিকে প্রাণে ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশ দেশের জনগণ এবং দেশ মাতৃকার সেবায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করে দিতে বদ্ধ পরিকর।
Post Views: 279