তেজগাঁও প্রতিনিধি: রাজধানীর মহাখালী রেলগেইট থেকে ইউনিভার্সেল হাসপাতাল পর্যন্ত এলাকার ফুটপাত যেন চাঁদারহাট।
স্থানীয়দের দাবি, লাইনম্যান ফিরোজের মাধ্যমে তোলা চাঁদার টাকা যাচ্ছে প্রশাসনের পকেটে। অবৈধ এ টাকার জোরেই হকারমুক্ত করা যায় না মহাখালীর ফুটপাত। ফুটপাত দখল করায় বিড়ম্বনায় পড়ছে পথচারী ও স্থানীয়রা। পাশেই মহাখালী পুলিশ বক্স এবং ডিওএইচএস ট্রাফিক পুলিশ বক্স থাকলেও তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ!
মহাখালী রেলগেইটে ফুটপাতের এক ব্যবসায়ী বলেন, ফুটপাতে ব্যবসা করলে পুঁজি লাগেনা অল্প পুজিতেই ব্যবসা করা যায়, প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টাকা বেচাকেনা হয় এরমধ্যে লাভ থাকে প্রায় হাজার টাকা। তবে প্রতিদিন ও সাপ্তাহিক চাঁদা দেওয়ার ফলে খুব কষ্ট করে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু এই চাঁদা না দিলে ফুটপাতে কারো ব্যবসা করার ক্ষমতা নেই। আর এই ব্যবসা করতে না পারলে পরিবারের সবাইকে উপোস থাকতে হবে। তাই বাধ্য হয়েই চাঁদা দিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা করি।
তিনি আরও বলেন, শুধু আমার জন্য নয়। যারা এই এলাকায় ফুটপাতে ব্যবসা করেন তাদের সবাইকে চাঁদা দিতে হয়।
কারা চাঁদা নেন জানতে চাইলে ব্যবসায়ী বলেন, লাইনম্যান ফিরোজ হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। কথিত আছে এর অংশ রাজনৈতিক দল থকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনের পকেটে যায়।
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, মহাখালী ডিওএইচএস এবং আরজতপাড়ার মাথায় ফ্লাইওভারের নীচে ভাসমান দোকানগুলো বন্ধ করতে পেরেছি। কিন্তু মহাখালী রেলগেইট থেকে ইউনিভার্সেল হাসপাতাল পর্যন্ত ফুটপাতগুলো কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমাদের ইউনিট আওয়ামী লীগের কোন নেতা কর্মী এবং ইউনিট আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কেউই এসমস্ত দোকান থেকে টাকা খায় না। ফুটপাতের দোকানদারদের আমরা ইউনিট আওয়ামী লীগ এবং মহল্লাবাসীরা যতবারই উঠিয়ে দিয়েছি দু’এক দিনের বেশি তা রাখতে পারিনি। পরে আবার পুলিশের নেতৃত্বে ফিরোজ লাইনম্যান নতুন করে আরও ফুটপাতে দোকান বসায়।
তিনি আরও বলেন, লাইনম্যান ফিরোজ বিএনপি’র কর্মী হয়েও পুলিশের নেতৃত্বে সে ফুট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, পুলিশের ছত্রছায়ায় থাকায় কাউকে পাত্তা দিচ্ছে না।
স্থানীয় বসবাসকারীরা বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় চলছে এই চাদাঁবাজি, তারা যদি সহযোগীতা না করতো তাহলে অবৈধভাবে কখনই রাস্তা দখল হতো না। রাস্তা দখল হয়ে যাওয়ার কারনে চলাচলে সমস্যায় পরতে হয় সব সময়। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এর প্রতিকার চাই। সেই সাথে হকার মুক্ত ফুটপাত চাই। তাই প্রশাসনসহ সিটি কর্পোরেশন এবং এর সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Post Views: 577